লাইফস্টাইল

অ্যালার্জি দূর করতে বিশেষ উপকারী। হরিতকীর অবাক করা কিছু তথ্য

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শাস্ত্রে উল্লেখযোগ্য গুনীয় ভেষজ দ্রব্য হচ্ছে ত্রিফলা। এ ত্রিফলার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ও পরিচিত একটি ফলের নাম হরিতকী। এটিকে অনেক জায়গায় হট্টই বলেও জানে। অনেকেই খাওয়ার পর মুখশুদ্ধি হিসেবেও এটি ব্যবহার করে থাকেন।

 আয়ুর্বেদ চিকিৎসা শাস্ত্র তিতা স্বাদের ছোট এ ফলটিকে মানব দেহের জন্য মহৌষধ হিসেবে যুগ যুগ ধরে স্বীকৃতি দিয়ে এসেছে। হরিতকী দেহের অন্ত্র পরিষ্কার করে এবং একই সঙ্গে মানব দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে। এটা রক্তচাপ ও অন্ত্রের খিঁচুনি কমাতে বেশ কার্যকর।

হরীতকী হৃৎপিন্ড ও অন্ত্রের অনিয়ম দূর করতে সাহায্য করে থাকে। এটি পরজীবীনাশক, পরিবর্তন সাধক, ও স্নায়ুবিক শক্তিবর্ধকও বটে। হরিতকী কোষ্ঠকাঠিন্য, স্নায়ুবিক দুর্বলতা, অবসাদ এবং অধিক ওজন কমানোর চিকিৎসায়ও ব্যবহৃত হয়।

                  তাহলে জেনে নেওয়া যাক হরিতকীর আরও কি কি উপকারিতা রয়েছে-

  • হরীতকীতে অ্যানথ্রাইকুইনোন থাকার কারণে রেচক বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে হরিতকী।
  • অ্যালার্জি দূর করতে বিশেষ উপকারী। হরীতকী জলে ফুটিয়ে সেই জল খেলে শরীরের অ্যালার্জি কমায় সাহায্য করে। 
  • হরীতকীর গুঁড়ো নারকেল তেলের সঙ্গে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে মাথায় লাগালে চুল ভালো থাকে। 
  • হরীতকীর গুঁড়ো জলে মিশিয়ে খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
  • হরীতকীর গুঁড়ো জলে মিশিয়ে খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। 
  • গলা ব্যথা বা মুখ ফুলে গেলে হরিতকী জলে ফুটিয়ে সেই জল দিয়ে গর্গলা করলে আরাম পাওয়া যায়।
  • দাঁতে ব্যথা হলে হরিতকী গুঁড়ো লাগালে, দ্রুত দাঁতের ব্যথা দূর হয় যায়।
  •  রাতে শোয়ার আগে অল্প বিট লবণের সঙ্গে ২ গ্রাম লবঙ্গ বা দারচিনির সঙ্গে হরীতকীর গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে পেট পরিষ্কার থাকে। 

                       তবে হরিতকীর যেমন উপকারিতা আছে তেমনই কিছু পার্শপ্রতিক্রিয়া আছে। জেনে নিন সেইসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া-

  • ক্লান্ত, দুর্বল, উচ্চ পিত্ত এবং গর্ভবতী মহিলাদের হরিতকী খাওয়া উচিৎ নয়।
  • বদহজম, শুকনো খাবার, মদ্যপান, খিদে, তৃষ্ণা ও গরমে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের হরিতকী খাওয়া উচিৎ নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *