অফবিট

রাবন তাঁর নিজের বোন সূর্পনখার স্বামী বিদ্যুৎ জিহ্বাকে হত্যা করেছিলেন! সেই প্রতিশোধ নিতেই কি?

নিউজ ডেস্কঃ রামায়ণে রাম, লক্ষন, সীতা এবং রাবণ যেমন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ঠিক তেমন এখানে সূর্পনখা অর্থাৎ রাবনের বোনও একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। এই সূর্পনখার নাক লক্ষন কাটার পরে রাম এবং রাবনের মধ্যে দ্বৈরথ শুরু হয়।তাই কথিত আছে, যে সূর্পনখা না থাকত, তাহলে হয়ত এই রামায়ণও লেখা হত না। তাহলে বোঝায় যাচ্ছে যে রাম এবং রাবনের থেকে কিছু কম  গুরুত্বপূর্ণ নয় এই চরিত্রটি। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র অর্থাৎ সূর্পনখার সম্পর্কে বিশদে আমরা তেমন কিছুই জানি না।

সূর্পনখার শারীরিক গঠণ -সূর্পনখা জন্মগ্রহণ করেছিলেন একটি রাক্ষস পরিবারে। আর এই জন্য  সূর্পনখার মধ্যে একটি বিশেষ ক্ষমতা ছিল। এই ক্ষমতাটি হল যে সে নিজের শারীরিক গঠণ পরিবর্তন করতে পারতেন। এছাড়াও তিনি নিজের মুখমণ্ডল পরিবর্তন করা ছাড়াও নিজের গলার স্বরও পরিবর্তন করতে পারতেন। সূর্পনখার শারীরিক গঠণ এবং গায়ের রং অত্যন্ত ভয়ঙ্কর ছিল আর এই তথ্যটি জানা যায় বাল্মিকীর রামায়ন থেকে। 

রাম এবং রাবণের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টি করা – পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে,  সূর্পনখা রামের রূপ দেখে তাঁর প্রতি মোহিত হয়ে যান। তবে পত্নীব্রতা হওয়ার জন্য রাম সূর্পনখাকে তাঁর ভাই  লক্ষনের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।কিন্তু লক্ষণও তো বিবাহিত ছিলেন।তাই লক্ষনও  বিয়ে করতে অস্বীকার করেন সূর্পনখাকে। এর ফলে সূর্পনখা প্রচন্ড ক্রোধিত হয়ে যান।আর তাঁর এই ক্রোধের বশে তিনি সীতার উপরে আক্রমণ করতে উদ্যত হন।আর তখনই  সূর্পনখার নাক কেটে দেন লক্ষণ ।

এছাড়াও আরেকটি প্রচলিত পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, রাবন সূর্পনখার স্বামী বিদ্যুৎ জিহ্বাকে হত্যা করেছিলেন।তাঁর স্বামীকে হত্যা করার জন্যে সূর্পনখা তাঁর নিজের ভাই রাবণের থেকে প্রতিশোধ নিতে গিয়েছিলেন। তবে তিনি জানতে রাবণের শক্তি সম্পর্কে। তখনই তিনি জানতে পারেন শ্রীরামচন্দ্রের পরাক্রম সম্পর্কে। আর তখনই তাঁর মধ্যে আরও একবার জ্বলে ওঠে সেই প্রতিশোধের আগুন। এই জন্যই রাম এবং রাবণের মধ্যে সূর্পনখা শত্রুতা তৈরি করেন। যার ফলে সীতাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় রাবণ। আর তারপরই শুরু হয় রাম রাবনের যুদ্ধ যাতে রামের হাতে নিহত হন রাবন।

সূর্পনখার মৃত্যু – প্রচলিত তথ্য অনুসারে, রাবণের মৃত্যুর পর সূর্পনখা আবারও লঙ্কায় ফিরে আসেন বিভীষণের সাথে। ঠিক তার কয়েক বছর পর  সূর্পনখা এবং তাঁর বোন কুম্বিনীকে সমুদ্রের ধারে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *