কামসূত্র বইতে নারীদের সম্পর্কে কি লেখা আছে জানেন?
নিউজ ডেস্ক – বর্তমান যুগে প্রায়শই দেখা যায় একটি পুরুষের একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছেন অথবা এক বিবাহিত স্বামী অন্য এক রমণীর সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়েছেন। কিন্তু কেন নিজের সঙ্গী থাকতে অন্য কোনো নারীর প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন এই বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে কামসূত্র’ বইটিতে। অনেকের কাছেই বইটি লজ্জাজনক বা নিষিদ্ধ বই হিসেবে পরিচিত। কিন্তু বাস্তবে এই বইটি পড়লে জানা যায় কিভাবে নিজের সঙ্গীকে সুখী করতে হয় এবং নিজের সাংসারিক জীবন বা দাম্পত্য জীবনে সুখ আনা যায়।
কামসূত্র’ বইটি গভর্মেন্টের তরফ থেকে কেন নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে তার বিস্তারিত বর্ণনা করে জানা গেছে কামসূত্র’ বইটি যেমন একদিকে কোন স্বামী কেন তার স্ত্রীকে প্রতারণা করে অন্য নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন তার বর্ণনা করা আছে ঠিক সেরকমই কেন আজ এক প্রেমিক নিজের প্রেমিকাকে ছেড়ে অন্য মেয়ে বা কোন বয়স্ক লোক অল্প বয়সি মেয়ের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে তারও বর্ণনা করেছেন। বইটিতে বলা আছে অন্য নারীর প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার নতুন করে কারো প্রেমে পড়া কোন অপরাধ নয়। জীবনে বাঁচতে গেলে যেমন খাদ্য, জল, বায়ু ইত্যাদির প্রয়োজন ঠিক তেমনি সকল মানুষের জীবনে একটি যৌন চাহিদা রয়েছে। যার কারণে যে সকল সঙ্গীরা তাদের স্বামী বা স্ত্রীকে সুখ দিতে পারেন না তারাই পরবর্তীতে অন্য কারো প্রতি আকৃষ্ট হন।
কোথাও কোথাও দেখা যায় একটি দাম্পত্য জীবন কোনো বাঁধাবিঘ্ন ছাড়াই বছরের পর বছর পার করে দিতে পারছেন মানুষ আবার কোথাও দেখা যায় দু’বছরের বেশি টিকছে না একটি বিবাহিত সম্পর্ক। যাদের সম্পর্ক বিচ্ছেদ হচ্ছে এমনকি দশ জন নারীকে বিয়ে করে বা তাদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করার পরেও স্যাটিস্ফাইড হচ্ছেনা কোন ব্যক্তি তাহলে তার ক্ষেত্রে কামসূত্র’ বইটি পড়া অবশ্যই জরুরি। কারণ কামসুত্র বইটিতে পরিষ্কার অক্ষরে লেখা হয়েছে কীভাবে একজন সঙ্গী তার অপর সঙ্গীকে শারীরিক দিক থেকে সুখ দিতে পারবেন অথবা কেন কোন ব্যক্তি নিজের স্ত্রী কিংবা প্রেমিকা থাকার পরেও অন্য নারীর প্রতি আকর্ষন বোধ করেন। এছাড়াও আরও সবিস্তারিতো বলতে গেলে কিভাবে একজন ব্যক্তি তার নিজের সঙ্গীকে শারীরিক সুখ দিতে পারবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে যৌনসঙ্গমের সময় কোন পজিশনে থাকা উচিত তার বর্ণনাও করা হয়েছে কামসূত্র’ বইটিতে। তবে যদি কোন ব্যক্তি এইটা মনে করেন প্রথম দিক থেকেই যে তিনি অন্য কোনো নারীর প্রতি আকৃষ্ট হবেন না বা তার স্ত্রী অন্য কোন পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হবেন না তাহলে সেটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। সকলেই জানেন প্রকৃতি সর্বদা পরিবর্তনশীল সেই ক্ষেত্রে একজনের জীবনে বহু মানুষের অবস্থান হতেই পারে। কিন্তু একজন ব্যক্তিই কোন নারীর জীবনে অধিষ্ঠান করবে এমন মনোভাব পোষণ করলে তার নিজের সঙ্গীকে শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে সর্বদা সুখী রাখতে হবে। কারণ কোন মানুষ যখনই নিজের সঙ্গীর কাছ থেকে সার্বিকভাবে সুখ পায় তখনই সেই বাইরে কোন ব্যক্তির সঙ্গে কোনো অবৈধ সম্পর্ক হয় না। সোজা ভাষায় বলতে গেলে বাড়িতে পঞ্চব্যঞ্জন রান্না হলে বাইরের দিকে সকল মানুষের ঝোঁক কমই দেখা যায়।