অফবিট

যৌন জীবনই প্রধান কারন। কেন বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবনতা?

নিউজ ডেস্ক – বিশ্ব উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং বর্তমানে এমন একটি পৃথিবীর অসুখ যা আস্তে আস্তে গোটা পৃথিবীকে গ্রাস করে চলেছে। জনজীবনের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উদ্ভিদজগৎ। তবেই বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব দেখা দিয়েছে ইনুইট সম্প্রদায় গোষ্ঠীর উপর। কারণ আলাস্কা, গ্রীনল্যান্ড, সাইবেরিয়া আর কানাডার পূর্বাংশে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় এই ইনুইটদের দেখা যায়। সাধারণ মানুষের কাছে ‘এস্কিমো’ নামেই এরা পরিচিত। তবে ‘এস্কিমো’ শব্দের প্রকৃত অর্থ ‘কাঁচা মাংসখেকো’।  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার এই এস্কিমো  নামটিকে এরিয়ে যাওয়া কথা বললেও এই গোষ্ঠীর সম্প্রদায়ের মানুষেরা নিজেদের এই নামে পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। 

তবে সম্প্রতি দেখা গিয়েছে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার দরুন পার্বত্য অঞ্চলের সাদা বরফ ইতিমধ্যেই গলতে শুরু করেছে। যার কারণে জনজীবনে ব্যাঘাত ঘটছে ইনুইট সম্প্রদায় গোষ্ঠীর বাসিন্দাদের।

এই প্রসঙ্গে ৬১ বছর বয়সী এক ইনুইট গবেষক ডেরিক পোটল নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছিলেন, সম্প্রতি গোটা বিশ্বে বৃক্ষচ্ছেদনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্ব উষ্ণায়ন এর মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এই কারণেই মূর্খ দেশগুলির বরফ গলতে শুরু করেছে। বরফ গলতে শুরু হওয়ার কারণে সেখানেজায়গায় জায়গায় কমছে বরফের পুরুত্ব। স্নো-মোবাইল কিংবা স্লেজ টানা গাড়ি দিয়ে যাতায়াত হয়ে উঠছে অনেকটাই বিপজ্জনক। তবে মেরুর বরফ গলে যাওয়ায় তৈরী হচ্ছে ‘Arctic amplification’।তবে এই সমস্যা সমাধানের কথা বলেছেন  বিজ্ঞানীরা।  তাদের মতে বিশ্ব উষ্ণায়ন বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রকৃতির বায়ুমণ্ডলের যে পরিকাঠামো পরিবর্তন ঘটছে তাতে ইনুইট সম্প্রদায়ের মানুষদের শারীরিক বিকাশের উপর প্রভাব পড়ছে। যার কারণে উচ্চ প্রোটিন ও ফ্যাট জাতীয় খাবারের পরিবর্তে তাদের খুব দ্রুত খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হচ্ছে। এতে করে শারীরিক অবনতি পাশাপাশি মানসিক দিক থেকে ও বিকৃতি দেখা যাচ্ছে। তবে সম্প্রতি কানাডায় রিডোলেট এলাকায় বসবাসরত ইনুইট সম্প্রদায়ের তরুণ সমাজের আত্মহত্যা করার প্রবণতা হার বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিসংখ্যান করে দেখা গিয়েছে ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত অধিক সংখ্যক তরুণরা আত্মঘাতী হয়েছেন। তবে এমন নতুন প্রজন্মের মধ্যে আত্মহত্যার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করার পর বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন প্রকৃতির পরিবর্তনের জন্য যে যৌন জীবনের আমূল পরিবর্তন ঘটেছে তার জেরেই এমন আত্মহত্যার হার বৃদ্ধি পেয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *