একই মহিলার শরীরে দুটি আত্মা। কোথায় জানেন?
নিউজ ডেস্ক – গোটা পৃথিবীতে নানা ধরনের বিকৃত জিনিসপত্রের দেখা আর মেলে।কারণ বৈচিত্র্যময় পৃথিবীতে বসবাস করি আমরা। কিন্তু একটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছিল যে একটি মহিলার শরীরে রয়েছে দুটি আত্মা। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি প্রচার হতে খুব একটা সময় লাগেনি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে মানুষের মধ্যে। তবে সমস্ত কল্পনায় জল ঢেলে দিয়ে এর পেছনে লুকাইত কাহিনী প্রকাশ্যে আনলেন চিকিৎসকরা।
যে ব্যক্তিকে নিয়ে এতো রহস্য তিনি মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা টেইলর মুহল। পেশায় একজন গায়িকা। তিনি নিজেই নিজের জমজ। আর এই বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত হয়েছিলেন শৈশবকালে। জানা যায় জন্ম সময় থেকেই তার শরীরের মধ্যভাগের দু’পাশে দুটি রং ছিল। অর্থাৎ দুটি ভিন্ন মানুষের গায়ের রং কেমন হয় ঠিক তেমন। এছাড়াও তিনি নানান অসুখে ভুগছিলেন। যার কারণে তার পরিবার ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে প্রথমে ডাক্তার তার রঙ দেখে ভেবেছিলেন একটি জন্মদাগ। কিন্তু নানা টেস্ট করে তারা জানতে পারেন মূল বিষয়টি। ডাক্তারি ভাষায় শৈশব কাল থেকেই তিনি আক্রান্ত হয়েছিলেন চিমেরিজম নামের এক বিরল প্রজাতির রোগের সঙ্গে। যেটি গোটা দুনিয়ায় হয়ে থাকে ১ শতাংশ মানুষের।
বিজ্ঞানীরা বলেন, এমন বিরল প্রজাতির রোগের পেছনে রয়েছে বিশেষ কিছু দৈহিক কারণ। টেইলর মুহলের জন্মের সময় যখন তার পিতা-মাতা শারিরীক মিলন ঘটিয়েছিলেন ঠিক সেই সময় তার বাবার দুটি শুক্রাণু একসঙ্গে মিশিয়ে দুটি সন্তানের বদলে একটি সন্তান জন্ম হয়। আর তাতেই দেখা দেয় এই বিরল রোগ।
যদিও এই বিষয়ে টেইলর মুহল নিজে জানিয়েছেন, খুব অল্প বয়সেই তিনি তার এই অস্বাভাবিক অবস্থাটি শনাক্ত করতে পারেন। কারণ তার মতো আর কারো দেহই মধ্যভাগ থেকে দুপাশে দুই রঙয়ে রাঙানো ছিল না। পরে যখন তার নানা ধরনের বিস্ময়কর রোগ হতে থাকে তখন তার ডাক্তাররা বুঝতে পারেন মুহলের দেহের একপাশের যে ভিন্ন ধরনের রঙ তা কোনো জন্মদাগ নয়। বরং অন্য কিছু। তিনি তার ইন্সটাগ্রাম পেজেও এই সমস্যার কথা শেয়ার করে।
তিনি অন্যদের এই বার্তা দিচ্ছেন দৈহিক কোনো সীমাবদ্ধতা যেন কারো জীবনে সাফল্যের পথে বাধা তৈরি না করে। তিনি বলেন, ‘আমি অনুভব করছি যে আমার যে দৈহিক সমস্যা আছে তা সকলকে দেখানো উচিত। কেননা বিনোদন ব্যবসার ক্ষেত্রে সাধারণত নিখুঁত দেহের অধিকারী হওয়ার একটা চাপ আছে। তাই বিশেষ কিছু দৈহিক সৌন্দর্য সমাজের সামনে তুলে ধরা একান্ত প্রয়োজন। ’