পৃথিবীর কোন দেশে ঘুরতে গেলে টাকার গর্ত দেখতে পাবেন?
নিউজ ডেস্ক – প্রাচীন যুগের রাজারা তাদের অধিক মাত্রায় সোনা অথবা তাদের হেফাজত করত মাটির তলে রাখতেন। আর সেইখান থেকেই শুরু হয়েছে গুপ্তধনের। ছোট কিংবা বড় একটি আলাদা আকর্ষণ রয়েছে গুপ্তধনের প্রতি। আরে আকর্ষণেই প্রাণ হারালো ৬ জন ব্যক্তি। হ্যাঁ এটা সত্য ঘটনা। এমন একটি দ্বীপ রয়েছে যেখানে গুপ্তধনের খোঁজ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে এই সকল মানুষদের। প্রাণ হরণকারী জায়গাটি হল কানাডার নোভা স্কটিয়ার কাছেই ওক দ্বীপে।
লোকো কথা অনুযায়ী ১৭৯৫ সালে কানাডার ওক দ্বীপে একদিন আচমকা একটা গর্ত থেকে আলো নিঃসরণ হয়। আলোর অনুকরণ করে সেখানে গিয়ে পৌঁছায় স্থানীয় যুবক। ভালো করে দেখলে সে দেখতে পায় একটি গর্ত রয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ মাটি খুঁড়ে সেটি প্রায় ৯০ ফুট মতো গর্ত তৈরি করে। তবে কোন গুপ্তধন না পেলেও একটি সাংকেতিক চিহ্ন বিশিষ্ট চাকতির মতো বস্তু উদ্ধার করে তারা। এরপরই গুপ্তধন খোঁজার আসা আরও দৃঢ় হয়ে ওঠে তাদের। তবে শুধু সেটি ওই কয়েকজন বালকের মধ্যে অবশিষ্ট ছিল না আস্তে আস্তে গোটা শহর তথা গোটা বিশ্বে বিষয়টি রটে যায় যে ওই গর্ত থেকে গুপ্তধন পাওয়া সম্ভব।
কার্যত গুপ্তধনের লোভে স্থানীয় সহ সেখানে ছুটে আসে বেশ কয়েকটি নামিদামি কোম্পানির মালিক। এরপর প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে ওই গর্তের পাশে একাধিক গর্ত খুঁড়েও কোন রকম গুপ্তধন উদ্ধার করতে পারেননি তারা। যার কারণে একাধিক গর্ত খুঁড়ে বর্তমানে মূল গর্তটি হারিয়ে গিয়েছে অজস্র গর্তের মধ্যে। তবু আশা ছাড়েনি একজন ব্যক্তিও। গুপ্তধন সন্ধানের ভুয়ো সংবাদটির রটে গিয়েছে গোটা বিশ্বে। কিন্তু গুপ্তধন না পাওয়া গেলেও এই অতি লোভের কারণে প্রাণ গিয়েছে ৬ জন ব্যক্তি।