বেশিরভাগ যৌনকর্মী। জাপানের অবাক করা ফেস্টিভ্যাল
নিউজ ডেস্ক – গোটা ভূ-ভারতে এমন বহু নিয়ম রয়েছে যা আমাদের কাছে আজব মনে হলেও তাদের কাছে চিরাচরিত চলে আসছে। এমন দশটি নিয়ম রয়েছে যা শুনলে আঁতকে উঠবে গোটা পৃথিবী।
১) নাইট হান্টিং – হিমালয় রাজ্যের পূর্ব অংশ যেটি বোমেনা নামে পরিচিত অর্থাৎ ভুটানে রীতি অনুযায়ী যুবকরা তাদের প্রেমিকা কিংবা স্ত্রীদের খোঁজ করতে রাতে এক ধরনের বিশেষ করে বের হয়। সেই শিকারের তারা সফল হলে তাদের মনের মতো যুবতী নারীদের সঙ্গে এক ঘরে রাত কাটায়। পরে তারা ধরা পড়ে গেলে সেই নারীকে বিয়েও করতে হয়। অথবা শশুরের জমিতে চাষাবাদ করতে হয়। এই নিয়ম চিরাচরিত চলে আসছে ভুটানে। কিন্তু সম্প্রতি সরকার অভিযোগ তুলেছেন এই নিয়মের বিরুদ্ধে। এর জন্য বহু মেয়েরা প্রতিনিয়ত ধর্ষিত হচ্ছে। তাই বিষয়টি সম্প্রতি বিতর্কিত অবস্থায় রয়েছে।
২) বুলেট অ্যান্ট গ্লাভস – আমাজনে এই বিশেষ রীতির প্রচলন রয়েছে। এখানে নিয়মানুসারে যুবকরা প্রাপ্তবয়স্ক হলেই তাদের পুরুষত্ব প্রমাণের তাগিদে পাতা দিয়ে গ্লাভস তৈরি করে তারমধ্যে বুলেট অ্যান্ট ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপরই সেই পাতা তথা গ্লাভসের মধ্যে যুবকদের হাত দিয়ে তাদের ধৈর্য্য ক্ষমতা পরীক্ষা করা হয়। তবে এই অসহ্য পিঁপড়ের কামড়ের যন্ত্রনা যদি সহ্য করতে না হয় তার জন্য সেই সময় তারা উদ্দাম নাচে মত্ত থাকে। এই পরীক্ষায় তারা সফল হলে তবেই তারা আদর্শ পুরুষ হিসেবে প্রমাণিত হয়।
কিন্তু এই অসহ্য যন্ত্রণার প্রসঙ্গে একজন বিজ্ঞানী লিখেছেন যে, ” বুলেট অ্যান্টের কামড় কয়লার আগুনের উপর রাখা তিন ইঞ্চির মাপের পেরেকের উপর দিয়ে হাঁটার মতো বেদনাদায়ক”।
৩) থাইপুসাম – এই নিয়ম মূলত দক্ষিণ ভারত এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার হিন্দুরা উদ্দীপিত করে থাকে। এই উৎসবের নিয়মানুসারে অশুভ আত্মার উপর জয় লাভ করে তাদের ইষ্ট দেবতা মুরগান। এটি মূলত পূর্ণ সমাধিতে যাওয়ার সময় ভক্তরা তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে ধরাল বস্তুর মাধ্যমে ক্ষতবিক্ষত করে। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে তাদের পিঠে হুক বাধিয়ে গাড়ি পর্যন্ত টানে।
৪) টিডিং সম্প্রদায় – ইন্দোনেশিয়ার এই সম্প্রদায়ভুক্ত বাসিন্দারাবিয়ের পর টানা তিনদিন বাথরুম ব্যবহার করেন না। যেকোনো মূল্যে যেকোনো পরিস্থিতিতে বাথরুমে পা রাখেন না এরা। কারণ তাদের মতানুসারে বিয়ের পর বাথরুম গেলে দাম্পত্য জীবন সুখী হয়। তাই ওই কয়েকটা দিন তাদের আত্মীয়রা তদারকি করার পর তারা বাথরুমে যাওয়ার অনুমতি পান।
৫) পেনিস ফেষ্টিভেল – জাপানে এই উৎসবটি হয়ে থাকে। রীতি অনুযায়ী কানমারা মাতসুরি নামে আরো বেশি পরিচিত পেনিস ফেষ্টিভেল। এখানে কাওয়াসাকি রাস্তায় ভক্তরা পেনিস আকৃতির একটি বিশাল ভাস্কর্য প্যারেড আকৃতিতে বহন করে মন্দিরে নিয়ে যায়। এরপরে সেখানে ধাতব লিঙ্গ দিয়ে সমস্ত অশুভ শক্তির বিনাশ করে পুরোহিতরা। এই অনুষ্ঠানে যোগদান করেন বেশিরভাগ যৌনকর্মী। তারা নিজেদের সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রার্থনা করেন এবং বিভিন্ন যৌন রোগের থেকে দূরে থাকার আর্জি জানান।
৬) মৃতদের খাওয়া – ভেনেজুয়েলা ও ব্রাজিল সীমান্তে অ্যামাজন রেইন ফরেস্টে বসবাসকারী ইয়ানোমামি উপজাতি সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা মৃত দেহ ফেলে রাখতে ঘোর বিরোধিতা করেন। তাদের গোষ্ঠীতে কোন মানুষের মৃত্যু হলে সেই মৃতদেহ ঝালিয়ে অবশিষ্ট ছাই ও হার জলে গুলে স্যুপ বানিয়ে তারা সবাই খায়। তাদের মতানুসারে হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তি তাদের মধ্যে জীবিত থাকবে।
৭) ফামাদিহানা – মৃত ব্যক্তির সঙ্গে পুনরায় সংলাপ করার নিয়ম হচ্ছে ফামাদিহানা। এটি মূলত মাদাগাস্কায় দেখা যায়। এই রীতি অনুযায়ী যে সকল ব্যক্তিদের কবর দেওয়া হয়েছে তাদের কবরের পাশে গিয়ে কবর থেকে মৃতদের হাড়গোড় তুলে তাদের নতুন পোশাক পরানো হয়। পাশাপাশি তাদের সুখ দুঃখের কথাও সোনা হয়। এই প্রক্রিয়ায় নাকি মৃত ব্যক্তির তাদের ইচ্ছাও প্রকাশ করে থাকেন। বিষয়টি ভৌতিক হলেও বর্তমানে বাস্তব। পাশাপাশি মনোরঞ্জন করতে কবরের পাশে নিত্য করে থাকে নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
৮) শিশুকে ছুড়ে ফেলার নিয়ম – বেশ কিছু রাজ্য যেমন গুজরাট, মহারাষ্ট্র ,কর্ণাটক ও ভারতের বেশ কিছু অঞ্চল এই নিয়ম দেখা যায়। সেখানে মন্দিরের উপর থেকে প্রায় পনের ত্রিশ ফুট উঁচু থেকে শিশুদের নিচে ছুড়ে ফেলা হয়। তবে নিচে মন্দিরের পবিত্র চাঁদ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে পরিবারের সদস্যরা। সেই চাদরের উপর শিশু পড়লে তার নাকি সৌভাগ্যবতী হয় এমনটাই মনে করেন বহু মানুষ। তবে ২০১১ ছেলে শিশু অধিকার এর তরফ থেকে অভিযোগ তোলা কিছু দিনের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল অনুষ্ঠানটি। তবে ধর্মের সামনে আইন বড়ই বেমানান। ২০১২ সালে পুনরায় এই নিয়ম চালু হতে দেখা যায় একাধিক দেশে।
৯) দাঁত ঘষার নিয়ম – বর্তমানে রুপবর্তি হতে অনেক মেয়েরাই নিজেদের লোক ফাইলিং করে থাকেন। কিন্তু বালিতে নজর দিলে দেখা যায় সেখানকার যুবতী মেয়েরা তাদের দাঁত ফিলিং করেন। এই প্রক্রিয়াটি বড়ই বেদনাদায়ক। তবে এটি করা হয় মূলত অবিবাহিত মেয়েরা যাতে লোভ, রাগ ,ঈর্ষা ও যৌন ইচ্ছা থেকে মুক্তি পায়।
১০) এনডানি – এই সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের মূলত দেখতে পাওয়া যায় পশ্চিম পাপুয়া নিউগিনির বালিমা উপত্যাকার উর্বর জমিতে। এসি আদিবাসী সম্প্রদায়ের নিয়ম অনুযায়ী তাদের গোষ্ঠীর কোন ব্যক্তি মারা গেলে তাদের আঙ্গুল কেটে দুঃখ প্রকাশ করতে হয়। পাশাপাশি কোন মানুষ তার ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ করতে গেলে আঙ্গুল কেটে দেন। তবে শুধু কোন গোষ্ঠীর মৃত্যু ক্ষেত্রে না নিজের ভালবাসার মানুষকে বিদায় জানাতে কাটা আংগুল সহিত তাদের কবর দেওয়া হয়। বিষয়টি অদ্ভুত লাগলেও প্রাচীন যুগ থেকেই মেনে আসছেন এই নিয়ম নীতি।