সন্তান হলেই কয়েক হাজার ডলার উপহার। পৃথিবীর কোন দেশে এই নিয়ম রয়েছে জানেন?
নিউজ ডেস্ক – শারীরিক মিলন হওয়া নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে একটি সাধারন ব্যাপার। দুই মানব মানবী মিলিত হলে তবেই এক তৃতীয় প্রাণ জন্মের সম্ভব। তবে পৃথিবীর কোনায় কোনায় যৌনমিলনে রয়েছে একাধিক রীতিনীতি। কোন সমাজে এটি লজ্জার কারণ যার জন্য সকলে আড়ালে সঙ্গম করতে পছন্দ করেন। আবার অন্য জায়গায় নজর দিলে দেখা যায় এটি সামান্য একটি বিষয় যার কারণে প্রকাশ্যেই হয়ে থাকে সঙ্গম। তবে একাধিক দেশে দেখা গিয়েছে অনেকেই যৌন মিলন করতে পছন্দ করেন না আবার অনেক নারী গর্ভধারণ করতে পছন্দ করেন না। তবে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করলে দেখা যাবে তাদের রীতি নীতি সম্পূর্ণ আলাদা। যাদের মধ্যে অন্যতম হলো হাওয়াইয়ের আদীবাসিদের যৌন জীবন বড়ই অদ্ভুত। এই আদিবাসীরা তাদের যৌনাঙ্গের এক আলাদা আদুরে নাম রাখে। আদিবাসীদের রাজা থেকে শুরু করে সাধারণ লোক পর্যন্ত অনেকেরই থাকতো ‘মেলে মা’ই’ অর্থাৎ নিজস্ব একটা মন্ত্র – যা রচিত বেশ কাব্যিক ভাষায়। এসব মন্ত্রে বেশ খোলামেলা কাব্যিক ভাষায় বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া হতো তাদের গোপন অঙ্গের। তাদের ‘উত্তেজিত’ নামের এই মন্ত্রে রানি তার যৌনাঙ্গের ‘ওঠানামার’ বর্ণনা দিয়েছেন।
অন্যদিকে জাপানের ক্ষেত্রে দেখা গেছে সেখানকার অধিকাংশ নারী পুরুষ ৪৫ বছর হয়ে গেলও এখন পর্যন্ত ভার্জিন রয়েছেন। এর কারণ জানতে চাইলে সেখানকার পুরুষদের বক্তব্য সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম আর একাধিক চাপে রাতে বাড়ি এসে আর যৌনমিলন করতে ইচ্ছে করে না। অন্যদিকে সেখানকার নারীদের দাবি বিষয়টি ঝামেলাকর। টাইম সেখানকার বর্তমানে জনসংখ্যা যথেষ্ট হ্রাস পেয়েছে। ঠিক একই রকম পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়াতে। দক্ষিণ কোরিয়ার নারীদের গড়ে ১.০৫টি সন্তান হয় । তবে দেশের জনসংখ্যা স্বাভাবিক করতেই প্রত্যেকের দুটি করে সন্তান একান্ত প্রয়োজন। তবে সেখানকার মেয়েদের বক্তব্য কর্মজীবন একাধিক কাজের প্রেসার অন্যদিকে বাচ্চা সামলানো তাদের কাছে বড়ই ঝুঁকির ব্যাপার। তাই অধিকাংশ মহিলাদের মধ্যে বাচ্চা না হওয়ার প্রবল ইচ্ছা দেখা যায়। তবে সেখানকার সরকার প্রতিনিয়ত নারীদেরকে সন্তান নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করে যান এমনকি সন্তান হলে তাদের কয়েক হাজার ডলার ও উপহার হিসেবে দেন। তবে হবে উপকারেই সীমাবদ্ধ রাখেননি সেখানকার সরকার। রীতিমতো সন্তান নেওয়ার একটি নির্দিষ্ট অর্থাৎ মস্কোর পূর্বদিকে উলিয়ানভস্কের গভর্নর ১লা সেপ্টেম্বরকে গর্ভসঞ্চার দিবস ঘোষণা করেছেন। সরকারি নির্ধারিত এই দিনটিতে শুধুমাত্র দম্পতিরা সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য অগ্রিম প্রস্তুতি নেবে বলে বাড়িতে থাকে এবং যাতে কোনো নারী বা পুরুষের চিন্তা না থাকে তার জন্য সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে দিনটিকে।