মালদ্বীপ থেকে লুসেরনি। ৫ টি সেরা হানিমুন ডেস্টিনেশান
নিউজ ডেস্ক – নব বিবাহিত দম্পতিরা বেশিরভাগ সময় নিরিবিলি ও একান্তে সময় কাটাতে পছন্দ করেন। এছাড়াও বিয়ে হওয়ার কয়েক দিনের মাথায় হানিমুনে বেরিয়ে পরেন। সেই ক্ষেত্রে অনেকে পাহাড় বেছে নেয় তো অনেক সমুদ্র। আবার অনেকে রীতিমতো ধন্ধে পড়ে কোন হানিমুন ডেস্টিনেশন তাদের জন্য উপযুক্ত। কিন্তু এমন কিছু জায়গা রয়েছে যেগুলো একদম পারফেক্ট হানিমুন কাপলদের জন্য। সেই জায়গা গুলি হল –
১) মরিশাস – নব্য বিবাহিত কাপলদের জন্য হানিমুন ডেস্টিনেশন হিসেবে তালিকার প্রথম স্থান অধিকার করে রয়েছে মরিশাস। বিশেষ করে এখানে গ্রীষ্মকালে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দ্বিগুণ উপভোগ করা যায়। সাদা বালুকা পাড়ে দাড়িয়ে সামনে অন্তহীন নীল রংয়ের সমুদ্র সৈকত উপভোগ করতে করতে সূর্যোদয় দেখা মানে একটি অপার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা। আর সেই অভিজ্ঞতার সঙ্গী যদি হয় নিজের জীবনসঙ্গী তাহলে তার একটা আলাদাই মানে দাঁড়ায়। এখানে যেমন একদিকে রয়েছে সীমাহীন সমুদ্র, ঠিক সেইভাবেই মনোরম পরিবেশ দেখা যায়। অর্থাৎ এক কথায় বলতে গেলে হানিমুন কাপলদের জন্য একদম আদর্শ ও মনোরম স্থান হচ্ছে মরিশাস।
২) ফুকেট ও ক্রবি – যে সকল কাপলদের অ্যাডভেঞ্চারের ওপর প্রবল আকর্ষণ রয়েছে থাইল্যান্ডের ফুকেট ও ক্রাবি অঞ্চলে একবার ঘুরে আসতে পারেন। এই অঞ্চল হানিমুন করার উপযুক্ত জায়গার পাশাপাশি এখানে রয়েছে বহরমপুর রোমাঞ্চকর পরিবেশ। ক্রাবির ম্যানগ্রোভ অরণ্য রয়েছে যেখানে আলাদাভাবে পর্যটকরা ঘুরতে আসেন। এছাড়া জলের তলার জীবনকে খুব কাছ থেকে উপভোগ করার উপায় রয়েছে। অর্থাৎ কাপড় দিয়ে নিজেদের সঙ্গে সময় কাটানোর পাশাপাশি প্রকৃতির সঙ্গেও তারা সময় কাটাতে পারেন।
৩) বালি – ইন্দোনেশিয়া অবস্থিত বালি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মোড়া একটি শহর। এখানে যেমন একদিকে হানিমুন ডেস্টিনেশন রয়েছে ঠিক সেভাবেই একাধিক দর্শনীয় স্থানের সঙ্গে রয়েছে বহু প্রাচীন হিন্দু মন্দিরও। এছাড়া সূর্যোদয়ের মতো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার সঙ্গে মাউন্ট বাটুর পাহাড়ে রয়েছে ট্রাকিং করার সুযোগ। অর্থাৎ মধুচন্দ্রিমার সঙ্গে অ্যাডভেঞ্চার যুক্ত করে অ্যাড অন্য অনুভূতির সম্মুখীন হতে পারে কাপেলরা।
৪) লুসেরনি – যুগলদের মধুচন্দ্রিমার জন্য আরেকটি স্থান যথেষ্ট জনপ্রিয়। সেটি হল সুইজারল্যান্ডের লুসেরনি শহর। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখলে মনে হবে যেন কোন বাসে তুলে দিয়ে প্রকৃতি অঙ্কন করেছে। শহরের একদিকে রয়েছে মধ্যযুগের স্থাপত্য ভাস্কর্য অন্যদিকে রয়েছে তুষারাবৃত উচু পাহাড় । শীতের উপশম সুইজারল্যান্ড পাহাড় রানীর থেকে কোন অংশে কম নয়। সেই কারণেই হিমশীতল পরিবেশে মধুচন্দ্রিমার জন্য সুইজারল্যান্ডের রাস্তা অত্যন্ত পরিচিত হানিমুন ডেস্টিনেশন হিসেবে।
৫) মালদ্বীপ – জন কোলাহলমুখর শহর থেকে বহু দূরে জলরাশির মাঝে ওয়াটার ভিলাই নিজের জীবনসঙ্গীর সঙ্গে একান্ত সময় কাটানো উপযুক্ত জায়গা হচ্ছে মালদ্বীপ। এখানে আবহাওয়া অত্যন্ত মনোরম ও আরামদায়ক। সেক্ষেত্রে নতুন নতুন বিবাহিত দম্পতিদের অন্যতম হানিমুন ডেস্টিনেশন হয়ে থাকে মালদ্বীপ।