ন্যাড়া পোড়ার নেপথ্যে রয়েছে কোন পৌরাণিক গল্প, বিজ্ঞানই বা কী বলে
নিউজ ডেস্ক: প্রাচীনকাল থেকে ন্যাড়া পোড়ার প্রথা চলে আসছে। আর এই প্রথা চালু হওয়ার পিছনে রয়েছে একটি পৌরাণিক কাহিনী যা আমরা সবাই জানি। কিন্তু এই প্রথার পিছনে শুধু পৌরাণিক নয় বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও রয়েছে। কি বলছে এই নিয়ে বিজ্ঞান?
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা অনুযায়ী, বসন্তকালে দোল বা হোলি উৎসব পালন করা হয় । বসন্ত ঋতু মানেই আবহাওয়ার এক বিরাট পরিবর্তন অনুভূত হয়। কখনও গরম তো আবার কখনও ঠান্ডা, এই রকমই মিশ্র আবহাওয়া সৃষ্টি হয় এই সময়ে। যার ফলে বাতাসে এই সময় যাবতীয় রোগ-জীবাণু-ব্যাকটেরিয়া ভেসে বেড়ায়। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের শারিরীক সমস্যা যেমন ফ্লু, ভাইরাসঘটিত জ্বর এবং পক্সের মতো ইত্যাদি রোগের উপদ্রব দেখা দেয়। এছাড়াও এই সময়ে গাছের শুকনো পাতা ঝরে পড়ে। যার ফলে এইসব পাতা আবর্জনার রূপ নেয়। আর এই কারণেই ঝরে যাওয়া শুকনো নারকেল পাতা, সুপুরির পাতা ইত্যাদি জড়ো করে তা পুড়িয়ে দেওয়ার হয়। এর ফলে সৃষ্টি হওয়া জীবাণু আগুনের সংস্পর্শে এসে নষ্ট হয়ে যায় তার পাশাপাশি এই প্রথাটি খুবই পরিবেশবান্ধব বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন।
