আলাদা ত্রিপুরা রাজ্য গড়ার দাবীতে সরব রাজবংশী পুত্র প্রদ্যোৎ দেববর্মা, নতুন টুইস্ট রাজ্য রাজনীতিতে
আসন্ন তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরা, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৬ই ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরার মাটিতে সংঘটিত হতে চলেছে নির্বাচন। দীর্ঘদিনের বাম বনাম কংগ্রেসের এই লড়াইয়ে নতুন টুইস্ট আনতে চলেছে ত্রিপুরার রাজবংশের সন্তান তথা রাজ্যের প্রাক্তন কংগ্রেস প্রধান প্রদ্যোৎ দেববর্মার পার্টি তিপরা মোথা পার্টি, বর্তমানে এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
গতবারের বিধানসভা নির্বাচনে অর্থাৎ ২০১৮ সালে দেখা গিয়েছে যে দীর্ঘ আড়াই দশক ধরে রাজত্ব করা বামেদের হারিয়ে জায়গা করে নিয়েছিল পদ্ম শিবির। সেক্ষেত্রে এইবারে অর্থাৎ ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নতুন ভাবে তুরূপের তাস এনেছে রাজ্যের রাজবংশের ছেলে প্রদ্যোৎ দেববর্মা। নির্বাচন শুরুর আগেই তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে “নির্বাচনের আগে তিনি সেই দলের সঙ্গেই জোট করবেন যে দল তাকে লিখিতভাবে দেবে নির্বাচন চলাকালীন তার সকল শর্ত মানতে হবে। আর সেই শর্ত হলো আলাদা ত্রিপুরা রাজ্য গঠন”। যদিও ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে যে আলাদা ত্রিপুরা রাজ্য গঠনের দাবিতে সমর্থন করেছে বহু দল এবং ২০টি আসন নিয়ে তৈরি এই সংগঠন সাড়া ফেলেছে পার্বত্য এলাকায়। সুতরাং, রাজনৈতিকভাবে হিসাব-নিকাশ কষলে দেখা যাবে যে ত্রিপুরায় মোট আসন সংখ্যা ৬০টি, তার মধ্যে ২০টি আসনের সমর্থকেরা আলাদা ত্রিপুরা রাজ্য গঠনের দাবি জানাচ্ছে, সেক্ষেত্রে বিধানসভা নির্বাচনে আলাদাই প্রভাব পরতে চলেছে।
একদিকে যেমন আলাদা ত্রিপুরা রাজ্য গড়ার দাবিতে সরব হয়েছে একাংশ সেরকমই উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটিতে আর একটি বড় ইস্যু হলো কর্মসংস্থান। বহু শিক্ষকেরা প্রতিনিয়ত আন্দোলন ও ধর্না করার জেরে বড়সড়ো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে রাজ্যের বর্তমান শাসক দল। এমন পরিস্থিতিতে আগত বিধানসভা নির্বাচনে কার পাশা বদলাবে সেটি দেখার জন্য মুখিয়ে সকলে।
উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় ২০১৮ সালে ভোটের ফলাফলে ইতিহাস গড়ে মসনদ দখল করেছিল বিজেপি। দুই দশক সেরাজ্যে শাসনে থাকা বামশক্তিকে সরিয়ে ত্রিপুরায় শাসকদলের দায়িত্ব ছিনিয়ে নিয়েছিল বিজেপি। ২০১৮ সালে ৬০ টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ৩৬ টি আসন। এই জায়গা থেকে বিজেপি চাইছে উন্নয়নের অঙ্কে ২০২৩ সালের ত্রিপুরা ভোটের কৌশলের ঘুঁটি সাজাতে। উল্লেখযোগ্যভাবে ত্রিপুরায় ২০১৮ সালে ৬০ আসনের একটিতেও জয়ী হয়নি কংগ্রেস।