প্রজাতন্ত্র দিবস কি কি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হয়?
নিউজ ডেস্ক – প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের প্রধান কর্মসূচী পালিত হয় ভারতের রাষ্ট্রপতির সামনে, জাতীয় রাজধানী নয়াদিল্লীতে। এই বিশেষ দিনে রাজপথে আড়ম্বরপূর্ণ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয় যা ভারতের রাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়।
২০১৪ খ্রিঃ ৬৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবসে মহারাষ্ট্র সরকার প্রথম বার দিল্লীতে প্রজাতন্ত্র দিবসে কুচকাওয়াজের অনুকরণে মেরিন ড্রাইভ বরাবর তাদের নিজস্ব কুচকাওয়াজের আয়োজন করেছিল। এই কুচকাওয়াজ সম্পাদনা প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় রাজধানী নতুন দিল্লীতে হয়, রাষ্ট্রপতির আবাসস্থল রাষ্ট্রপতি ভবনের নিকটবর্তী রাইসিনা হিল থেকে রাজপথ বরাবর ইন্ডিয়া গেট ছাড়িয়ে যায়। কুচকাওয়াজ আরম্ভ হওয়ার পূর্বে রাষ্ট্রপতি রাজপথের একপ্রান্তে অবস্থিত ইন্ডিয়া গেটে শহিদ সৈন্যদের উদ্দেশ্যে নির্মিত স্মারক অমর জওয়ান জ্যোতিতে একটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর পর ওই শহীদ সৈন্যদের উদ্দেশ্যে ২ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। স্বাধীনতা আন্দোলন ও তার পরবর্তী যুদ্ধগুলিতে ভারতের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শহীদ সৈন্যদের প্রতি এইভাবে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়। এর পর রাষ্ট্রপতি অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে মিলিত হন এবং প্রধান অতিথির সাথে রাজপথে অবস্থিত অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চে আসেন। রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষকরা ঘোড়ার পিঠে করে তাদের পথপ্রদর্শন করেন।
প্রজাতন্ত্র দিবসের পরের দিনই উদযাপিত হয় বীটিং রিট্রীট —
বীটিং রিট্রীট সম্পাদনা
বীটিং রিট্রীট দ্বারা প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি সূচিত হয়। প্রজাতন্ত্র দিবসের ৩ দিন পর অর্থাৎ ২৯শে জানুয়ারি সন্ধ্যেবেলা বীটিং রিট্রীট অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের সামরিক বাহিনীর তিন প্রধান শাখা ভারতীয় স্থলসেনা, ভারতীয় নৌবাহিনী এবং ভারতীয় বায়ুসেনা এই রিট্রীটে অংশ নেয়। রাজপথের প্রান্তে ভারতের কেন্দ্রীয় সচিবালয় ও রাষ্ট্রপতি ভবনের নর্থ ব্লক ও সাউথ ব্লক ভবন দু’টির মধ্যবর্তী রাইসিনা হিল ও বিজয় চকে এই অনুষ্ঠানটি হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকে ভারতের রাষ্ট্রপতি। যিনি অশ্বারোহী ‘পিবিজি’ কর্তৃক পথপ্রদর্শিত হয়ে আসেন। তিনি উপস্থিত হলে পিবিজির অধিনায়ক তার বাহিনীকে জাতীয় স্যালুটের নির্দেশ দেন। এর পর সামরিক বাহিনী কর্তৃক ভারতের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। এই সঙ্গীতের পাশাপাশি সম্মিলিত স্থল, জল ও বায়ুসেনার বিভিন্ন ব্যান্ড, পাইপ, ভেরী প্রভৃতি বাদ্যযন্ত্রের কুশলীরা অনুষ্ঠানের শেষ লগ্নে “সারে জাঁহা সে আচ্ছা হিন্দু সিতা হামারা” প্রভৃতি দেশাত্মবোধক গানের আয়োজনও করেন।