প্রজাতন্ত্র দিবস

২৬শে জানুয়ারিকে ১৯৪৭ এর আগে কি দিবস হিসাবে পালন কর হত জানেন?

নিউজ ডেস্ক  –   বছরের শুরুতেই ভারতের যুগ পুরুষ নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী ২৩শে জানুয়ারি উদযাপন করে গোটা দেশবাসী। সেই দিনের পরই ফের দেশবাসীর মধ্যে দেশাত্মবোধের জাগরণ দেয়া যায় ২৬শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই এদিন  স্বমহিমায় উড়তে দেখা যায় দেশবাসীর গর্বের তেরঙ্গা পতাকা। কুচকাওয়াজ, দেশাত্মবোধক গান, পতাকা উত্তোলনের মতো নানান বিধ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিবছর এই দিনটিতে পালিত হয় প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে। 

 পূর্ব ইতিহাস অনুযায়ী ২৬শে  জানুয়ারিকে  স্বাধীনতা দিবস হিসাবে পালন করা হতো।  ১৯২৯ সালে পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু পূর্ণ স্বরাজ আনার শপথ নেওয়ার পরপরই ২৬শে জানুয়ারিকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসন থেকে ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনল ভারত। আর তখন থেকেই স্বাধীনতা দিবসের মর্যাদা হারালো ২৬শে জানুয়ারি।  এই বিশেষ দিনটি হয়ে উঠল প্রজাতন্ত্র দিবস।  

প্রজাতন্ত্র দিবস আর স্বাধীনতা দিবসের মধ্যে বেশকিছু  পার্থক্য রয়েছে।  ১৯২৯ সালের বর্ষশেষে দেশের জওহরলাল নেহেরুর নেতৃত্বে ‘পূর্ণ স্বরাজের’ শপথ ঘোষণার পর ১৯৩০ সাল থেকে ২৬শে  জানুয়ারিকেই স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে ঔপনিবেশিক শাসনের শিকল ভেঙে ভারত যেদিন বাস্তবেই স্বাধীনতার মুখ দেখল সেইদিনটি ছিল ১৯৪৭ সালের ১৫ই অগাস্ট। এই বিশেষ তারিখে ভারত থেকে ইংরেজকে উৎখাত করার  সময়টাই  হয়ে ওঠে স্বাধীনতা দিবস।  যার ফলে বদল হয়েছিল ২৬শে জানুয়ারির গুরুত্বও।  তবে নেহেরুর  পূর্বঘোষিত অনুযায়ী  ২৬শে  জানুয়ারি দিনটিকে একেবারেই ফেলে দিতে পারেনি ভারতবর্ষের নাগরিকরা। যার কারণে স্বাধীনতা দিবস অন্য দিনে পালিত হওয়ায়   ১৯৫০ সালে বাবাসাহেব আম্বেদকরের হাত ধরে দেশের যে সংবিধান তৈরি হয়  সেটি কার্যকর করার জন্য একটি দিনের প্রয়োজন ছিল। সেই সময় বেছে নেওয়া হয় ২৬শে জানুয়ারিকেই। এই কারণেই ২৬শে  জানুয়ারি দেশের প্রজাতন্ত্র দিবস নামে পরিচিত। স্বাধীনতা দিবস ও প্রজাতন্ত্র দিবস দুই দিনেই ভারতে জাতীয় ছুটি থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *