চীনে সেনারা যুদ্ধে জিততে যে ধরণের বিষাক্ত গ্যাস তৈরি করেছিলেন
নিউজ ডেস্ক – গোটা বিশ্বে মানুষের সাম্রাজ্য আধিপত্য বিস্তার করে রয়েছে। যেখানেই যাবে সেখানেই হয় মানুষ নয় জঙ্গলে ঘেরা। কিন্তু এত বড় পৃথিবীর মধ্যে একটি কোনায় নিজেদের ছোট্ট সংসার করে রয়েছে খরগোশেরা। শুনে সত্যিই অবাক লাগবে যে এমন আবার হয় নাকি খরগোশদের সংসার! সেতো রূপকথায় বা কোন বইয়ের পাতার গল্প। কিন্তু না বাস্তবে রয়েছে খরগোশের একটি ছোট্ট দুনিয়া। সেই জায়গাটি হল জাপানের হিরোশিমা প্রদেশ থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে ওকুনোশিমায় অবস্থিত এই খরগোশদের স্বর্গরাজ্য। যদিও এই স্থান এখন জাপানে ‘উসাগি জিমা’ নামে পরিচিত, যার বাংলা অর্থ হল খরগোশের দ্বীপ। এই খরগোশ সাম্রাজ্যে বসবাস করে প্রায় হাজারখানেক খরগোশ। তবে খরগোশ সাম্রাজ্যের ভেতরে প্রবেশ করলে দেখা যায় ছোট, বড় মাঝারি থেকে শুরু করে সাদা, হলুদ বিভিন্ন প্রজাতির খরগোশ রয়েছে এই দ্বীপে। কিন্তু সবার মনে একটি প্রশ্ন জাগবে যে কিভাবে তৈরি হলো এই খরগোশের দ্বীপ। যেখানে কয়েক হাজার পপুলেশনের জন্য এক চিলতে জমিও ছাড়তে নারাজ সরকার।
ইতিহাসের পাতা উল্টালেই দেখা যাবে খরগোশ সাম্রাজ্যটি তৈরি হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ১৯৩০ এবং ৪০-এর দশকে চীনের যুদ্ধের সময়। শোনা যায় চীনা সৈন্যরা যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য বিরোধী পক্ষেকে দমনের ক্ষেত্রে এক বিষাক্ত গ্যাস তৈরি করেছিলেন। তবে সেটি মানুষের উপর কতটা প্রভাব ফেলবে কিংবা সিটি কতটা মারাত্মক তৈরি হয়েছে তা পর্যবেক্ষণ করার জন্য তারা খরগোশের সাহায্য নেয়। এই বিষাক্ত গ্যাস তৈরির জন্য এই দ্বীপটিকে জাপানের মানচিত্র থেকে সম্পূর্ণ মুছে দেয় চীনারা। পরবর্তীতে দ্বীপে মাস্টার্ড গ্যাস, ফসজেন এবং অন্যান্য বিভিন্ন ধরণের বিষাক্ত গ্যাস তৈরি করা হয়েছিল। ১৯৩০ এবং ৪০-এর দশকে চীনের যুদ্ধে চিনা সৈন্য এবং সাধারণ মানুষদের ওপর এই বিষাক্ত গ্যাস প্রয়োগ করা হয়েছিল। যার জেরে সেই সময় আনুমানিক ৮০,০০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। যদিও এই তথ্যের বিরোধিতা করে এক দলের বক্তব্য ১৯৭১ সালে একদল পড়ুয়ারা অল্পসংখ্যক কিছু খরগোশকে এই দ্বীপে ছেড়ে যায়। পরবর্তীতে ছোট্ট প্রাণীগুলি নিজেদের বংশবিস্তার করে চুপিসারে দ্বীপটিকে নিজের নামে করে নিয়েছে।
বর্তমানে এই খরগোশের সম্বন্ধে অল্পসংখ্যক অনেকেই জানেন। যারা জানেন তারা প্রায়ই খরগোশের সঙ্গে পরিচয় বাড়াতেই তাদের দেশের তাদের নানা ধরনের খাবার খাইয়ে ফোলা বেলুনে পরিণত করে। কিন্তু সমস্যা দেখা যায় বর্ষাকালে। বৃষ্টির সময় কাদা পথ পেরিয়ে এদের কাছে আসতে চায় না কেউই যার কারণে ঠিকমতো পর্যাপ্ত খাদ্য না পাওয়ায় তাদের শারীরিক পুষ্টিতে যথেষ্ট ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
