অফবিট

অচেনা মানুষকে সহজেই খুশি করার নিয়ম জেনে রাখুন

নিউজ ডেস্ক   –  বেশ কিছু মানুষ রয়েছে যারা অধিক কৌশলে নিজেদের কাজ করে বেরিয়ে যায়। তবে মনোবিজ্ঞানের জগতে কিছু দুর্দান্ত কৌশল রয়েছে যা আপনি এবং আমি খুব সহজে ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু সেই ক্ষেত্রে জানতে হবে বেশ কিছু নতুন পদ্ধতি।  যেমন –  

.  কোন অচেনা ব্যক্তিকে প্রভাবিত করতে গেলে তাহলে তার সঙ্গে কথোপকথনের সময় তার নাম ব্যবহার করতে হবে।  মাঝে মধ্যে তাকে নাম ধরে সম্বোধন করলে সে খুশি হয়।  কিন্তু সেক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যাতে বেশি নাম ব্যবহার না করা হয়।  না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। 

. আবার কোন মানুষকে তোষামোদ করতে গেলে বুঝে শুনে করতে হবে। এখানেও বুঝে-শুনে বিষয়টি এগোতে হবে কারণ বেশি করে মানুষকে তোষামোদ করলে সে মনে করবে আপনি ভন্ডামি করছেন।

.  আবার অনেক সময় তর্ক-বিতর্ক চলাকালীন কোন ব্যক্তিদ্বয়ের মধ্যে নিজের কথা রাখতে গেলে কিন্তু শব্দটা ব্যবহার করলে চলবে না। তার পরিবর্তে হে বা অন্য কিছু বলা যেতে পারে।  

. অন্য ব্যক্তিদের দিয়ে যদি নিজের কাজ করাতে হয় তাহলে ওই কাজে যে ব্যক্তিটির  দক্ষতা রয়েছে সেটা জাহির করুন। কাজ সম্পর্কে অধিক প্রশংসা করলে সে হামেশাই আপনার কাজ করে দেবে। 

. কাউকে দিয়ে কঠিন কাজ করাতে চাইলে সহজ ও  কঠিনের মধ্যে একটি বেছে নেওয়ার সুযোগ দিন। দেখবেন ওই ব্যক্তিটি কঠিন কাজই বেছে নিয়েছে। 

. যদি কোন ব্যক্তিকে দিয়ে কোন নির্দিষ্ট বিষয় চিন্তা করাতে চান সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তিটিকে বলতে হবে ‘ ওই বিষয়ে চিন্তা করবেন না’। মনোবিজ্ঞানের মতে  দেখা গিয়েছে কোন মানুষকে কোন কাজ করতে বারণ করলে সে সেই কাজটাই বেশি করে করে। এক্ষেত্রেও ঠিক তাই হবে। 

. কোন ব্যক্তির আসল চরিত্র চিরতার তো করতে গেলে প্রথমে ভালো করে লক্ষ্য করতে হবে ঐ ব্যক্তি যাদের পছন্দ করে তাদের সঙ্গে কিভাবে কথা বলছে। কারন মানুষ শুনতে যায় তাদের নিজেদের সম্পর্কে অন্য ব্যক্তির কি ধারণা রয়েছে।  উদাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে একটি রেস্টুরেন্টে উচ্চস্বরে কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলার ভান করে বলতে হবে আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকাকে এখানে দেখলাম।  তাহলে সেখানে বসে থাকা দম্পতিদের মধ্যে কজনের সাড়া দেয় সেটি দেখে আনন্দ নিতে হবে।  এর আগেও এই পরীক্ষা সফল হয়েছে।  

.    আবার মানুষের ব্যক্তিত্ব বলতে গেলে তাকে নিজেদের কপালে “ই”লিখতে বলুন।  যদি সেই ব্যক্তি সোজা করে  ই  লেখে তাহলে বুঝতে হবে তারা আপনার এবং অন্যদের প্রতি কৃত্রিম এবং জোরালোভাবে স্নেহশীলা। কিন্তু সেখানে যদি ব্যক্তিটি উল্টো লেখে  তাহলে খুব সহজে বুঝে নিতে হবে তারা নিঃসন্দেহে খুব স্বার্থপর এবং তাদের এড়িয়ে চলতে হবে। 

. নিজের ব্যক্তিত্ব দিয়ে অন্যকে প্রভাবিত করতে গেলে নিজের প্রশংসা কম করতে হবে। সামনের মানুষটি অন্য কোথা থেকে আপনার গুনো গান শুনার পর বাহ বললে সেটা বেশি কার্যকর।

. কোন ব্যক্তির আসল চরিত্র ও সেকেলে তাহলে তার সঙ্গে কথোপকথন করার সময় তার কপালে তাকাতে হবে। স্বাভাবিকভাবে কোন মানুষের কপালের দিকে দীর্ঘক্ষন তাকিয়ে থাকলে সে অস্বস্তিতে পরবে এবং নিজেকে আরও  স্ব-সচেতন করে তুলবে। ঠিক অন্যভাবে যদি কোন ব্যক্তি আপনার চরিত্র বোঝার চেষ্টা করার জন্য দীর্ঘক্ষন আপনার দিকে তাকিয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে তার পায়ের দিকে তাকান।  সে অস্বস্তিতে পরবে। 

. আবার অনেক সময় দেখা গিয়েছে কোন ঘরে বা কোন স্থানে যে ব্যক্তির নামে বেশি প্রশংসা করা হয় সে যদি সেখানে বর্তমানে উপস্থিত থাকে তাহলে তার মনোবল দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *