ডিফেন্স

এশিয়ার পানামা ক্যানেলের বিকল্প তৈরি করার পথে চীন। আন্তর্জাতিকভাবে ভারতবর্ষ কি পদক্ষেপ নিতে চলেছে?

রাজেশ রায়:— ২০১৩ সালে চীন তাদের বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ বা বিআরআই প্রজেক্ট শুরু করে, যা জিও পলিটিক্সে ব্যাপক পরিবর্তনের সূচনা করে। কয়েক বিলিয়ন ডলারের এই প্রজেক্ট সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে দামী ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রজেক্ট যা বিশ্ব নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলছে। বিশ্ব জুড়ে বানিজ্যে নিজেদের প্রভাব বাড়াতে বিভিন্ন দেশে এয়ারপোর্ট, বন্দর, রেললাইন নির্মান করছে চীন এই প্রজেক্টে। এই প্রজেক্টে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে মালাক্কা প্রনালী যা বিশ্বের সবচেয়ে ব্যাস্ততম সামুদ্রিক বানিজ্যিক পথ, যেখানে ব্লকেজ এবং লুঠপাটের সম্ভবনা থেকেই যায়। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুরের মাঝে অবস্থিত এই ছোট প্যাসেজ ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরকে যুক্ত করেছে। বিশ্বের ২৫ শতাংশ বানিজ্য এখান দিয়েই হয়। চীনের জন্যও এই পথ খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারন চীনের এনার্জি সাপ্লাইয়ের আমদানির ৭৮ শতাংশ এখান দিয়েই হয়। কিন্তু মালাক্কা প্রনালী অবরোধের সম্ভবনা থেকেই যায় চীনের জন্য, কারন চীনের তেমন কোন বিকল্প নেই। যার জন্য একে মালাক্ক ঝামেলাও বলা হয়। তবে এটা কোন নতুন বিষয় নয়। আসলে চীনের শক্তির চাহিদা বৃদ্ধি এবং পন্য পরিবহনের জন্য মালাক্কা প্রনালী স্ট্রাটেজিক্যালি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চীনের কাছে। মালাক্কা প্রনালীর বিকল্প হিসাবে চীন দক্ষিন থাইল্যান্ডে অনেকদিন ধরেই একটি জলপথ তৈরি করছে যা ক্রা ক্যানেল। যদি এই প্রজেক্ট সম্পন্ন হয় তাহলে চীন আন্দামান সাগর ও ভারত মহাসাগরে খুব সহজেই প্রবেশাধিকার পাবে। এই ক্যানেলর মাধ্যমে চীন ও ইউরোপের মধ্যে দূরত্ব অন্তত ১২০০ নটিক্যাল মাইল বা ২২২৩ কিলোমিটার কমে যাবে, যার ফলে চীনের পন্য পরিবহনে খরচ অনেল কমে যাবে। 

বিশেষজ্ঞদের ধারনা এর মাধ্যমে চীন এশিয়াতে পানামা খাল করতে চাইছে। আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরকে যুক্ত করে এই পানামা খাল। ১৯১৪ সালে তৈরি এই খাল ইন্জিনিয়ারিং এর এক অসাধারন নিদর্শন। এই ক্যানেল ব্যবহার করে জাহজ গুলোর যাত্রাপথ প্রায় ৮০০০ নটিক্যাল মাইল বা ১৪৫০০ কিলোমিটার কম হয়। এই কারনে চীন ও এশিয়াতে এমন একটি জলপথ তৈরি করছে যা তাদের জন্য স্ট্রাটেজিক্যালি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চীন কীভাবে এই ক্রা ক্যানেল তৈরি করছে এবং এটি কী সত্যিই পানামা খালের মতই হবে?

কুড়ি শতকের প্রথমের দিকে আমেরিকার পশ্চিম উপকূল থেকে পূর্ব উপকূল বা ইউরোপ যেতে হলে পুরো দক্ষিন আমেরিকা হয়ে ১৩০০০ মাইল ঘুরে যেতে হত। কিন্তু ১৯১৪ সালে পানাম ক্যানেল তৈরির পথ এই দূরত্ব কমে দাঁড়ায় ৫০০০ মাইল। আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত উত্তর ও দক্ষিন আফ্রিকাট মাঝে একটি ছোট জায়গা আছে যার নাম ইস্তিমাস অফ পানামা বলা হয়। এই জায়গাকে কেটেই পানামা ক্যানেল তৈরি করা হয়েছে যা আন্তর্জাতিক বানিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ পথ। আজ একুশ শতকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশী বানিজ্য পথ এশিয়ার আশেপাশেই হয়ে যায়। আর মালাক্কা প্রনালীর একার উপর এই চাপ পড়ে কারন প্রশান্ত মহাসাগর ও ভারত মহাসাগরকে যুক্ত করার এটিই সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত পথ। এর জন্য বহুদিন ধরেই এশিয়াতে পানামার মতন একটি কৃত্রিম ক্যানেল তৈরির আলোচনা হচ্ছিল।

ক্রা ক্যানেল বা থাই ক্যানেল ১৩৫ কিলোমিটার লম্বা এমনই এক ক্যানেল যা ক্রা ইস্তেমাসকে কেটে থাইল্যান্ড সাগর ও আন্দামান সাগরকে যুক্ত করবে। বেজিং দাবি করেছে এই প্রজেক্ট সম্পন্ন হলে মালাক্কা প্রনালী হয়ে আসা চাইনিজ এনার্জি সাপ্লাইয়র তুলনায় ৮০ শতাংশ খরচ কম করতে পারবে। থাইল্যান্ডের অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, থাই সেনা ও স্থানীয় ব্যাবসায়ীদের দ্বারা চীন এই প্রজেক্ট শুরু করেছে। এই প্রজেক্ট শুনতে নতুন মনে হলেও তা কিন্তু নয়। 

১৬৭৭ সালে থাইল্যান্ডের রাজা নারাই দি গ্রেট একজন ইঞ্জিনিয়ারকে নিযুক্ত করেন দক্ষিন থাইল্যান্ডে একটি জলপথ তৈরির জন্য। নারাই দ্য গ্রেটের লক্ষ ছিল মায়ানমার ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সরাসরি বানিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন। কিন্তু সেই ইন্জিনিয়ার সেসময় কিছুই করতে পারে নি। উনিশ শতকে ব্রিটেন ও ফ্রান্স এখানে ক্যানেল তৈরির কথা ভাবতে শুরু করে। ব্রিটেন থাইল্যান্ডের রাজকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছিল যদি কোনদিন ক্যানেল তৈরি হয় এখানে একমাত্র ব্রিটেনই সেই কাজ করবে। ১৯৩০ আসতে আসতে এটা মনে হচ্ছিল বোধহয় জাপান এই কাজ শুরু করবে। কারন এখানে ক্যানেল তৈরি হলে জাপান সিঙ্গাপুরে থাকা আমেরিকার বসেকে বাইপাস করতে পারবে। কিন্তু ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মতন জাপানও ব্যার্থ হয় এখানে। একুশ শতক আসতে আসতে চীন এই প্রজেক্ট শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয় কারন বিশ্ব বানিজ্যে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার। এই ক্যানেল থেকে যে সবচেয়ে বেশী লাভ চীনের হবে তা বোঝাই যাচ্ছে। 

থাইল্যান্ড কেন এত উৎসাহ দেখাচ্ছে এই প্রজেক্টে? এই প্রজেক্ট নিয়ে অনেক বিতর্কও রয়েছে।  থাইল্যান্ডের প্রাক্তন রাজা ভূমিবোল অদুলাডেজ বলেছিলেন এই ক্যানেল থাইল্যান্ড কে দুই ভাগে ভাগ করে দেবে, যাতে দেশে বিচ্ছিন্নবাদীদের প্রভাব বাড়বে। ২০১৮ সালে এই অভিযোগ ওঠে যে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত ছান ও ছা এবং থাই সরকারের কাছে এই প্রজেক্ট সম্পর্কে কোন নির্দিষ্ট নীতি নেই। থাইল্যান্ড সরকার তো প্রথমে এই প্রজেক্ট বাতিল করে দিয়েছিল বরং থাইল্যান্ড সরকার থাইল্যান্ড ব্রিজ প্রজেক্টে বেশী জোর দিয়েছিল। কিন্তু ২০২০ এর জানুয়ারিতে সম্ভবত চীনের চাপে এই প্রজেক্টের সবদিক বিশ্লেষন করতে ৪৯ সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করে। এই কমিটি ২০২২ এ এই প্রজেক্ট সম্পর্কে তাদের রিপোর্ট থাই হাউসে জমা দেয়। সেখানে এই রিপোর্টের বিরোধীতা করে ১৪৩ জন এমপি, ১২১ জন এই রিপোর্টের পক্ষে ছিল এবং ৫৩ জন ভোট দানে বিরত থাকে, তাও চীন এই প্রজেক্ট নিয়ে আশাবাদী এবং এই প্রজেক্ট শুরু করবার চেষ্টা করছে। তিন শতাব্দীর পুরোনো এই প্রজেক্ট এমন সময়ে শুরু করবার চেষ্টা করা হচ্ছে যখন থাইল্যান্ডের অর্থনীতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। তবে প্রজেক্টের সমর্থনে অনেকে বলছে এই ক্যানেল তৈরি হলে চাকরী হবে এবং থাইল্যান্ডের অর্থনীতি মজবুত হবে। থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টে বর্তমানে এই প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনা চলছে। দি ডিপ্লোম্যাটের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৫ সালে চায়না – থাইল্যান্ড ক্রা ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট এবং ডেভেলপমেন্ট সংস্থা ও এশিয়া ইউনিয়ন গ্রুপের মধ্যে এই ক্যানেল তৈরি নিয়ে একটি মৌখিক চুক্তি হয়েছিল। 

চীনের জন্য ক্রা ক্যানেল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্ট্রাটেজিক প্রজেক্ট, যর মাধ্যমে এই এলাকায় চীন তার নৌ বানিজ্য বাড়াবে। চীন দাবি করে এর মাধ্যমে থাইল্যান্ডের অর্থনীতি উন্নত হবে ও কর্মসংস্থান হবে। এছাড়াও পূর্ব এশিয়ানদেশ এবং ইন্ডিয়ান ওশেন রিম অ্যাসোসিয়েশন বা আইওআরের দেশ গুলির সুবিধা হবে কারন তাদের পরিবহন খরচ কমে যাবে। আসলে এসবের পেছনে চীনের বিশ্বে আধিপত্য বিস্তারের স্বপ্ন রয়েছে। মালাক্কা প্রনালীতে ভারত ও আমেরিকার আধিপত্য রয়েছে যার জন্য চীন এই পথ বাইপাস করতে চাইছে। বিআরআই প্রজেক্টে রেলপথ, এয়ারপোর্ট, সড়ক নির্মান প্রজেক্ট রয়েছে কিন্তু জলপথের গুরুত্ব সবার উপরে কারন সমুদ্রপথে একটি আধুনিক বানিজ্যিক জাহাজ প্রায় ২৩০০০ কন্টেনার বহন করতে পারে যা সড়ক পথে সম্ভব নয়। তাছাড়া বিআরআই প্রজেক্টে যুক্ত অনেক দেশের মধ্যে ঝামেলা ও নিরাপত্তার অভাবের কারনে সমুদ্রপথ বানিজ্যের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ। তবে এই প্রজেক্ট নিয়ে সমস্যা আছে, বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য অনুযায়ী এই প্রজেক্টে ২৮ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে এবং আরও অতিরিক্ত সব মিলিয়ে ৩০ বিলিয়ন  ডলার খরচ হবে যা পুনরায় টোলের মাধ্যমে উপার্জন করা কঠিন হবে, তাছাড়া নিরাপত্তা, পরিবেশ জনিত একাধিক সমস্যা আছে। বিআরআই প্রজেক্ট সফল হলে দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার জিও পলিটিক্স পুরো পরিবর্তন হয়ে যাবে। এশিয়াতে এমনিতেই যুদ্ধের ইতিহাস রয়েছে প্রচুর। ক্রা ক্যানেল পুরো থাইল্যান্ড কে দুভাগে ভাগ করে দেবে। দক্ষিন থাইল্যান্ডে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা প্রথম থেকেই সক্রিয়। এমন অবস্থায় এই প্রজেক্ট সম্পন্ন হলে উত্তর থাইল্যান্ডের পক্ষে দক্ষিন থাইল্যান্ডকে নিয়ন্ত্রন করা কঠিন হয়ে পড়বে এবং মালয়েশিয়ার সাথে সীমান্ত লাগোয়া দক্ষিন থাইল্যান্ডে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ও ড্রাগ মাফিয়াদের রাজত্ব হবে, কারন মালয়েশিয়া হয়ে এইসব সংগঠন গুলোকে অর্থ সাহায্য করা খুব সহজ হয়ে পড়বে। 

চীনের এই প্রজেক্ট পুরো থাইল্যান্ডের সর্বভৌমত্বের জন্য এক হুমকী স্বরূপ। শুধু থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া নয় বরং কম্বোডিয়াও এখানে যুক্ত হয়ে পড়বে। কম্বোডিয়ার কোহ কং ও প্রি সিহানোক প্রদেশ থেকে ক্রা ক্যানেলের দূরত্ব মাত্র ৫২০ কিলোমিটার। চীন যদি কম্বোডিয়ার সাথে তার বিমান বন্দর ব্যবহারের চুক্তি করে তাহলে আন্দামান সাগরে চীন আরও সহজে নজর রাখতে পারবে। ফলে এই অঞ্চলে অনেক দেশ চীনের বিরুদ্ধে যাবে। যেমন ভারত ইন্দোনেশিয়ার সাবাং বন্দরে নেভাল বেস তৈরি করার কথা ভাবছে, এমন অবস্থায় চীনের সাথে ভারতের দ্বন্দ্ব আরও বৃদ্ধি পাবে। আন্তর্জাতিক বানিজ্যিক পথ হিসাবে মালাক্কা প্রনালী ব্যবহারে কোন শুল্ক লাগে না কিন্তু ৩০ বিলিয়ন ডলারের ক্রা ক্যানেল ব্যাবহারে জাহাজ গুলোকে প্রচুর মুল্য দিতে হবে যেমন পানামা ও সুয়েজ ক্যানেল পেরোতে একটি সাধারন কার্গো জাহাজ কে পাঁচ লাখ ডলার শুল্ক দিতে হয়। অনেক জাহাজ এত বিশাল মূল্য দিতে চাইবে না ফলে চাপ পড়বে থাইল্যান্ডের অর্থনীতির উপর। তাছাড়া পরিবেশবিদদের ধারনা অনুযায়ী এই প্রজেক্ট থাইল্যান্ডের মেরিন ইকোলজির ব্যাপক ক্ষতিসাধান করবে এবং পর্যটন শিল্পেও ক্ষতি করবে, যার ফলে থাইল্যান্ড ধীরে ধীরে চীনের ডেব্ট ট্রাপ নীতিতে ফেঁসে যাবে। তবে এক্সপার্টদের ধারনা অনুযায়ী ক্রা ক্যানেল শেষ পর্যন্ত চীনের জন্য সাদা হাতি হয়ে যাবে। তবে ভারত হাত গুটিয়ে বসে নেই, চীন যেমন পাকিস্তান, মায়ানমার, ইরানের বন্দর ব্যবহার করে ভারতের বিপক্ষে সুবিধা নিতে চাইছে, তেমনি ভারত ও আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জকে পুরোপুরি নিরাপত্তায় মুড়িয়ে দিচ্ছে। এখানে আইএনএস খোয়াসা, শিবপুর এবং ক্যাম্পবেল এয়ারস্ট্রিপকে পুরোপুরি যুদ্ধবিমানের ব্যবহারের জন্য আপগ্রেড করা হচ্ছে। 

লক্ষদ্বীপে আগাতি এয়ারস্ট্রিপকেও আপগ্রেড করা হচ্ছে যাতে বঙ্গোপসাগর থেকে মালাক্কা প্রনালী এবং আরব সাগর থেকে এডেন সাগর পর্যন্ত সুরক্ষিত রাখা যায়। এইভাবে এই এলাকার দ্বীপপুঞ্জ গুলো ভারতের জন্য একটি এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারের মতন কাজ করবে। তবে ভারতের জাতীয় স্ট্রাটেজিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে ক্রা ক্যানেল প্রজেক্ট আটকানো সম্ভব নয় কারন চীন এই প্রকল্প শুরু করবেই। সুতরাং ভারত এই প্রজেক্টের সুবিধা নিতে পারে। মালাক্কা প্রনালী থেকে ক্রা ক্যানেল যাবার পথে ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর নির্মান করতে পারে যাতে বৈদেশিক জাহজ গুলো থেকে অর্থ আদায় করা যাবে, যেমন শ্রীলঙ্কা কলোম্ব বন্দর ব্যবহার করে। এতে ভারতের অর্থনৈতিক লাভ হবেই। তাছাড়া চীন যাই করুক যেতে তো হবে সেই ভারত মহাসাগর হয়েই সুতরাং ভারত তার নেভির শক্তি বৃদ্ধি করলে এই এলাকায় ভারতের অবস্থান আরও মজবুত হবে যাতে আইওআর এর দেশ গুলো ভারতের উপর ভরসা করতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *