অফবিট

ছুটিতে ঘুরতে যান উত্তরখণ্ডের বিনসর

নিউজ ডেস্ক  –    শীতের পর ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পরে বহু পর্যটক। অধিকাংশ মানুষের নিরিবিলি জায়গা পছন্দ । সেই ক্ষেত্রে পাহাড়ের কোলে নিরিবিলি জায়গা পেতে যাওয়া যেতে পারে উত্তরাখন্ডের আলমোড়া থেকে ৩০ কিমি দূরে বিনসরে।  

হিমালয়ের আরেকটি লুকানো রত্ন হচ্ছে বিনসর। বিন সুর কথাটির অর্থ মুণ্ডহীন। যদিও এই অর্থের পেছনে লুকিয়ে রয়েছে এক বৃহৎ ইতিহাস।  কথিত রয়েছে এখানে বহু রাজা মহারাজাদের গল্প গাঁথা আছে। মূলত বিনসর ছিল চাঁদ রাজাদের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী। এরাই সপ্তম থেকে অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত রাজত্ব করেছেন। এখানে সর্বশ্রেষ্ঠ পূজিত দেবতা হচ্ছে মহাদেব।  তবে স্থানীয়রা মনে করেন একসময় মিশরের রাজা এবং সেখানকার স্থানীয় দেবতা গোলুর মধ্যে যুদ্ধ হয়েছিল। সেই যুদ্ধে দেবতার শিরশ্ছেদ করেছিল মহারাজা। ঠিক সেই সময় গোলু দেবতা ধর এসে পরে  বিনসরের কাপারকাহানে। এরপর থেকেই জায়গাটির মান্যতা শুরু হয়।  তবে এই অঞ্চলটির মূল দুটি আকর্ষণীয় স্থান হচ্ছে হিমালয়ের প্যানারমিক দৃশ্য এবং বিনসরের বন্যপ্রাণী।

অন্যদিকে আলমোড়া থেকে যতই উত্তর-পূর্ব দিকে যাওয়া যায় ততই স্পষ্ট হতে থাকে পঞ্চচুল্লির দৃশ্য।  এখানে দেবতাদের অন্যতম পীঠস্থান রয়েছে যেমন পঞ্চচুল্লি, কেদারনাথ, চৌখাম্বা, ত্রিশূল, নন্দাদেবী মন্দির, নন্দাকোট, মীরাঘুঁটি,  শিবলিঙ্গ । তবে এই সকল দেব দেবীর মন্দির চাক্ষুষ দেখতে হলে বিনসরের জিরো পয়েন্ট যেতে হবে। 

অন্যদিকে দ্বিতীয় ঘোষণায় স্থান হচ্ছে জঙ্গলে ঘেরা অঞ্চল। এখানে মূলত পাইন গাছ পরিবেষ্টিত পাহাড়ের রাস্তা ধরে ৩০ কিমি অতিক্রম  করলে মনমুগ্ধকর দৃশ্য নজরে আসবে।  এছাড়াও ২৪২০ মিটার উচ্চতায় রয়েছে তুষারাবৃত হিমালয়ের প্যানারমিক ভিউ যা প্রত্যেকটি পর্যটককে আকৃষ্ট করে। এছাড়াও বন্য জীবজন্তু সমাহার রয়েছে একাধিক।  অনেকে চাইলে এই জঙ্গলে ট্র্যাক করতে পারে এমনকি জঙ্গল সাফারিও করতে পারে।  এখানে যেমন একদিকে ওক, পাইন, দেবদারু গাছের গোটা অঞ্চল সবুজে ঢাকা। সেই ভাবেই অন্যদিকে রয়েছে চিতাবাঘ, বন্য হরিণ ,হিমালায়ান রয়াল সহ একাধিক বন্য জন্তুর আবাসস্থল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *