মৎস্যচাষ

পুকুরের জলের কি গুণ থাকা উচিৎ মাছ চাষ করতে গেলে?

নিউজ ডেস্ক: মাছের বেড়ে ওঠা থেকে শুরু করে বেঁচে থাকা বেশিরভাগ তা নির্ভর করে পুকুরের জলের উপর। তাই মাছ চাষের জন্য যে জলে মাছ চাষ করা হবে সেটিকে মাছের উপযুক্ত হওয়া অত্যাবশ্যক। তাই মাছ চাষের জন্য পুকুরের জলের মধ্যে কি কি গুণ থাকা জরুরী সেগুলি জেনে নিন।  পুকুরে জলের গুণাগুণকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়-ভৌত গুণাগুণ,রাসায়নিক গুণাগুণ। এর মধ্যে আমরা আলোচনা করবো ভৌত গুণাগুণ সম্পর্কে।

ভৌত গুণাগুণ অনুযায়ী :

* গভীরতা: পুকুরের গভীরতা মাঝারি হওয়া প্রয়োজন।  অতিরিক্ত গভীর হলেও ক্ষতি মাছের পক্ষে আবার কম গভীরতা হওয়া মাছের পক্ষে ক্ষতিকারক। কারণ পুকুর যদি অতিরিক্ত গভীর হয় তাহলে সূর্যালোক পুকুরের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না যার ফলে অধিক গভীরে মাছের খাদ্য জন্মাতে পারে না এমনকি অক্সিজেনও সেভাবে পৌঁছাতে পারে না যার ফলে মাছের পক্ষে অনুপযুক্ত হয়ে ওঠে। এছাড়াও যদি খুবই কম গভীরতা হয় তাহলে অতিরিক্ত গরমে পুকুরের জল শুকিয়ে যায় যার ফলে মাছের উৎপাদন ব্যাহত পাশাপাশি মাছের ক্ষতি হয়। 

* সূর্যালোক: মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল সূর্যালোক কারণ সূর্যালোক যত বেশি পুকুরে পরবে সেখানে সালোকসংশ্লেষ তত বেশি হবে। এর ফলে মাছের খাদ্য ফাইটোপ্লাংটন বেশি জন্মাবে যার ফলে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

* তাপমাত্রা: মাছের বৃদ্ধি নির্ভর করে তাপমাত্রার বৃদ্ধির উপর।শীতকালে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় মাছের বৃদ্ধি কমে যায় যার জন্য পুকুরে সার ও খাদ্য প্রয়োগের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হয়।২৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস মধ্যে রুই জাতীয় মাছের বৃদ্ধি জন্য উপযুক্ত তাপমাত্রা।

* ঘোলাত্ব: পুকুরে  কাদা মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিকে ব্যাহত করে।কারন পুকুরে  কাদা থাকলে ওই কাদা কণার পুকুরের জলের সাথে মিশে যায় যার ফলে জল ঘোলা হয়ে যায় এতে সূর্যালোক জলের মধ্যে প্রবেশ করতে বাধাপ্রাপ্ত হয়। সূর্যালোক জলে কম প্রবেশ করার কারণে  মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হয় যার ফলে মাছের বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *