অফবিট

গা ছমছমে অশরীরি হাতছানি! এড়িয়ে চলুন দেশের এই ৫ ভুতুড়ে রাস্তা

নিউজ ডেস্কঃ ভূত আছে কি নেই এই প্রশ্নের কোনো উত্তর আজ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয় নি।তাই নিয়ে কথা বলতে গেলে শুধু তর্ক বিতর্ক চলতে থাকবে যার কোনো সমাপ্তি  ঘটবে না ।কারন একদল বিশ্বাস করে ভূত আছে আবার একদল বিশ্বাস করে ভূত নেই।তবে যারা বিশ্বাস করেন তাদেরকে বলি যে যেমন বলা যায় না যে ভূত আছে ঠিক তেমনি এটাও বলা যায় না যে ভূত নেই।কিন্তু ভারতে অবস্থিত এমন কিছু রাস্তা আছে যেই রাস্তাগুলি ভূতের দেখা পাওয়া যায়।এমনটিই দাবি করেন  ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীরা।প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই এই পাঁচটি রাস্তাকে দেশের সবচেয়ে ভুতুড়ে পাঁচ রাস্তার তকমা দেওয়া হয়েছে।এই রাস্তাগুলি হল-

​রাঁচি-জামশেদপুর NH ৩৩ 

​রাঁচি-জামশেদপুর NH ৩৩  জাতীয় সড়ক।এই রাস্তা থেকে যাওয়ার সময়  প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।এই  দুর্ঘটনাগুলি ঘটার পিছনের কারন বেশিরভাগ সময়ই খুঁজে পাওয়া যায় না। অনেকে দাবি করেন এটি একটি অভিশপ্ত রাস্তা বলে।এই জাতীয় সড়কের দু-দিকে মন্দির আছে। অনেকে মনে করেন যে যদি কোনও গাড়ির চালক এই মন্দিরে থেমে প্রার্থনা না করে তাহলে এই রাস্তাতেই তাঁর মৃত্যু অনিবার্য।

​ভানগড় ফোর্টের পথে দিল্লি-জয়পুর হাইওয়ে

রাজস্থানের অবস্থিত ভানগড় কেল্লাকে ভারত তথা বিশ্বের সর্বাধিক ভয়ঙ্কর এবং অভিশপ্ত স্থান বলা হয়ে থাকে।এই কারণেই দিল্লি-জয়পুর হাইওয়েকে অনেকে অভিশপ্ত হিসেবে মনে করেন।কারন এই হাইওয়ে এই কেল্লা যাওয়ার পথে পড়ে।অনেক যাত্রীই নানারকম ভুতুড়ে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন এই পথে।এই রাস্তা  সব সময়  শান্ত এবং গা ছমছমে পরিবেশ থাকে। অনেকেই জানিয়েছেন যে  কেল্লার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁদের এরকম মনে হয়েছে যে কোনও অশুভ শক্তি যেন তাঁদেরকে কেল্লার ভেতরে আকর্ষণ করছে।

সত্যমঙ্গলম ওয়াইল্ডলাইফ স্যানচুয়ারি, তামিলনাড়ু

এই জাতীয় সড়কটি তামিলনাড়ুর সত্যমঙ্গলম ওয়াইল্ডলাইফ স্যানচুয়ারির মধ্যে দিয়ে যায়। জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে হওয়ায় এই রাস্তায় যেন এক অস্বাভাবিক শান্ত পরিবেশ বিরাজ করে।জানা যায় যে কুখ্যাত ডাকাত চন্দনদস্যু বীরাপ্পনের ডেরা ছিল এই জঙ্গলেই। বীরাপ্পনের পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়।এরপর থেকেই নাকি ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়  নানা রকম চিত্‍কার কানে ভেসে আসে বলে অনেকে জানিয়েছেন।  এই পথ দিয়ে বিশেষ করে রাতের অন্ধকারে বিশেষ কেউই যাতায়াত করতে চান না ।

​কাশেদি ঘাট, মুম্বই-গোয়া হাইওয়ে

 অনেকে মনে করেন যে কাশেদি ঘাট, মুম্বই-গোয়া হাইওয়ে রক্তপিপাসু ডাইনিদের বাস।অনেকেই জানিয়েছেন যে এই পথ দিয়ে সফরের পরে তাঁদের মুখ, পিঠ এবং ঘাড় চিরে দিয়েছে ডাইনিরা।এমনকি সেই ক্ষতস্থানও তাঁরা দেখিয়েছেন, যেগুলি দেখলেই বোঝা যায় যে   তীক্ষ্ণ কোন নখের আঁচড়।এছাড়াও এই রাস্তায় ঘটে আরও অস্বাভাবিক কিছু ঘটনা যেমন এখানে আচমকা গাড়ি নাকি বন্ধ হয়ে যায়, এবং  সঙ্গে যদি কোনরকমও আমিষ খাবার থাকে তাহলে তা মুহূর্তের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যায় ।এইজন্য  কাশেদি ঘাটের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় উপদেশ দেওয়া হয় আমিষ খাবার সঙ্গে না রাখার ।

​দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট রোড, নয়া দিল্লি

ভারতের রাজধানীও তেনাদের উপদ্রব থেকে বাদ যায় না। দিল্লির এই রকমই একটি জায়গা হল ক্যান্টনমেন্ট অঞ্চল।যেই অঞ্চল একেবারে গাছে ঘেরা এবং ফাঁকা রাস্তা।দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট এই রোড দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় নাকি দেখতে পাওয়া  সাদা শাড়ি পরা এক মহিলা যিনি লিফট চান।তবে তাকে  লিফট দিতে অস্বীকার করলে। তিনি নাকি ওই গাড়ির পাশাপাশি সমান গতিতে দৌড়তে থাকে।এইজন্য ওই রাস্তাতে রাতের বেলা যেতে চান না অনেকেই। 

ডাও হিল রোড

ডাও হিল কার্শিয়াং এর মায়াবী প্রকৃতির মধ্যেই অবস্থান করে। ডাও হিল থেকে ফরেস্ট অফিস মাঝখান দিয়ে গেছে একটি রাস্তা যেটি ডেথ রোড বা মৃত্যুর সড়ক নামে পরিচিত।এই  রাস্তাতে প্রচুর অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে থাকে যার প্রত্যক্ষদর্শী ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা বহু কাঠুরে।বহু মানুষ নানান ধরনের  অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন  জঙ্গলের ধারের এই রাস্তায়।অনেক কাঠুরে জানিয়েছেন যে ডাও হিলের এই ডেথ রোড দিয়ে চলার সময়ে তারা মুণ্ডবিহীন এক বাচ্চা ছেলেকে দেখতে পেয়েছেন। যে ওই রাস্তার মধ্যে দিয়ে চলতে চলতে হঠাৎই অদৃশ্য হয়ে যায়।এই দৃশ্য এক আধবার নয়, দেখা গিয়েছে একাধিকবার।অনেকে  তাদের দিকে লাল চোখও উকি মারতে দেখেছে।এমনকি এই জঙ্গলের রাস্তার ধারে এক ধুসর কেশী বৃদ্ধাকে দেখেছেন। কিন্তু পরক্ষণেই সেই বৃদ্ধা অদৃশ্য হয়ে যায়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *