ফল এবং সবজি চাষ

তেতুল চাষ করার সহজ পদ্ধতি

নিউজ ডেস্ক: বাড়িতে বসে বসেই টাকার উপার্জন করতে পারেন।কিন্তু কিভাবে? খুবই সহজ উপায় কয়েকটি তেতুল গাছ লাগিয়ে বাড়ির আঙিনায় লাগিয়ে ফেলুন।তেতুল কাঁচা পাকা দুই অবস্থায় বিক্রি করা যায় এবং এর পরিচর্যাও খুব করতে লাগে না। তাই কম খরচে অধিক টাকা উপার্জনের জন্য আদর্শ চাষ হল তেতুল চাষ।তাহলে জেনে নেওয়া যাক তেতুল চাষ    করার  পদ্ধতি।

বীজ উৎপন্নঃ উন্নত মানের ফলন এবং দ্রুত ফলন পেতে গুটি কলম করে তেতুলের চাষ করা ভালো। তেতুল বীজ থেকে আবার গুটি কলম করে চাষ করা যায়।তবে এই বীজ থেকে ফল আসতে 7- 8 বছর লেগে যায় কিন্তু যদি কলম করে চারা গাছ চাষ করা হয় তাহলে তার ফল 2 বছরের মধ্যে চলে আসে।

মাটি ও জলবায়ু-তেতুল চাষের আদর্শ মাটি হল উর্বর দোআঁশ থেকে  বেলে দোআঁশ মাটি। 

যেকোনো চাষ করার আগে জমিকে প্রস্তুত করে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।চারা গাছ লাগানোর আগে গর্তে  15-20 দিন ধরে গোবর সার 5-10 কেজি , টি এস পি 100 গ্রাম, পটাশ 100 গ্রাম, সরিষার খৈল 250গ্রাম একসাথে মিশিয়ে পচিয়ে নিতে হবে।তারপর চারা গাছ লাগাতে হবে।

 চারা রোপণ করার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে  দুটি চারা গাছের মধ্যে  20-25 ফুট দূরত্ব থাকে। এতে ভালোভাবে আলো-বাতাস গাছে প্রবেশ করতে পারবেন।

কলম করা চারা গাছ গুলি যদি টবে লাগাতে চান  সেক্ষেত্রে আপনাদেরকে 18/18 টব নিতে হবে। টবে চারা গাছ  লাগানোর ক্ষেত্রে চারা গাছের উচ্চতা হতে হবে  7-8 ফিট।এবং মাটিতে লাগানোর ক্ষেত্রে চারা গাছের উচ্চতা হতে হবে  15-20ফিট।

ভালো ফলন পেতে গাছ  কাটিং করা প্রয়োজন কারণ কাটিং করার ফলে গাছের ডালপালা বেশি হয় এতে ফলও বেশি পাওয়া যায়।

তবে চারা কাটিং করার জন্য কিছু নিয়ম আছে-

1। চারা কাটিং একেবারে করা যায় না ধীরে ধীরে করতে হয়।

2। গাছের পাতা ঝরে যাওয়ার পরে যদি কাটিং করা হয় তাহলে বেশি ডালপালা তৈরি হয় যার ফলে ফলন বেশি হয়।

3। গাছের ডাল সূচালো ভাবে কাটতে হবে। এবং কাটিং করা সেই ডালের ডগায় যাতে কোন প্রকার রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ করতে না পারে তার জন্য অক্সিক্লোরাইড প্রয়োগ করতে হবে।

সার প্রয়োগ ও কীটনাশকঃ চারা গাছ লাগানোর ছয় মাস পর্যন্ত কোন সার প্রয়োগ করতে হয় না গাছে। গাছে ফল ধরার সময় বর্ষার আগে এবং পরে টিএসপি 100গ্রাম, সিঙ্গেল সুপার ফসফেট 150গ্রাম এবং পটাশ 70গ্রাম একবার করে প্রয়োগ করতে হবে।

সার প্রয়োগ করার পর থেকে আগামী 10বছর পর্যন্ত সার প্রয়োগ করতে হবে।এবং 10 শতাংশ হারে  প্রতিবছর সারের পরিমাণ বৃদ্ধি  করতে হবে। 10 বছর পর  আর সার প্রয়োগ না করলেও চলবে।

তেতুলের চাষ করতে তেতুল গাছে সেরকম কোন সার বা কীটনাশক প্রয়োগ করার প্রয়োজন পড়ে না তবে যদি ছত্রাকের আক্রমণ হয় তাহলে পরিমাণমতো ছত্রাক নাশক স্প্রে করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *