গুপ্তচর সংস্থায় কর্মরত অবস্থা থেকে শুরু করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। পুতিনের সম্পত্তির পরিমান বিল গেটসকে হার মানাবে
নিউজ ডেস্কঃ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে যে ভারতবর্ষের কিছুটা হলেও ক্ষতির মুখ দেখতে হচ্ছে তা বলাই বাহুল্য। তবে একটা কথা এই যুদ্ধে ব্যাপারে না বললেই নয় তাহল গোটা বিশ্বের সামনে এখন একটাই নাম উঠে আসছে তাহল ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার জার থেকে শুরু করে হিটলার বা ডিক্টেটর বলতেও কেউ পিছুপা হচ্ছেনা। এই যুদ্ধে যে গোটা পৃথিবীর ক্ষতি হচ্ছে তা দেখেও কোনোভাবে থামতে রাজিনন তিনি। তবে জানেন কি পুতিনের সম্পত্তির পরিমান? প্রথম জিবনে কি করতেন তিনি?
রাশিয়ার সুপ্রিম লিডার ভ্লাদিমির পুতিন, এই মহূর্তে যাকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী লিডার বলা হচ্ছে। এক সাধারন লোয়ার মিডিল ক্লাসে ফ্যামিলিতে জন্মানো পুতিন আজ বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ধনী ব্যাক্তি (আনঅফিসিয়ালী)। এক সাধারণ কেজিবি এজেন্ট থেকে শুরু করে রাশিয়ার সম্রাট হওয়ার এই যাত্রা সত্যিই অবাক করার মতন।
কেজিবির(রাশিয়ার গুপ্তচর সংস্থা) এজেন্ট হিসাবে তার ফাস্ট পোস্টিং হয় ইস্ট জার্মানি তে। তখন জার্মানি দুই ভাগে ভাগ ছিল।
বার্লিন ওয়াল ভেঙে যাবার সময় সে সময় জার্মানিতে অ্যান্টি সোভিয়েত ক্যাম্পেন শুরু হয়, প্রায় এক হাজার লোক কেজিবি অফিস ঘিরে ফেলে ভেতরে থাকা লোকেদের মারবার জন্য কিন্তু ভেতরে সেসময় পুতিন একা ছিল। এরকম অবস্থায় যেকোন সাধারণ মানুষ পাগল হয়ে যাবে কিন্তু পুতিন অফিস থেকে বেরিয়ে শান্ত ভাবে গেটের সামনে গিয়ে ভিড়ের সামনে বলেন অফিসের ভেতর সোভিয়েত কম্যান্ডোরা আছে ভিড় ফাঁকা না হলে তারা বেড়িয়ে গুলি চালাবে, তার এই একটা কথায় ভিড় ফাঁকা হয়ে যায়।
পুতিন যে সময় রাশিয়ার দায়িত্ব নেয় সে সময় রাশিয়া অত্যন্ত দারিদ্র্যতা, দুর্নীতিতে ভর্তি ছিল সেখান থেকে রাশিয়ার উত্থান ঘটান। এখন গোটা বিশ্বের চাপে রাশিয়ার অর্থনীতি আবার খারাপ হয়েছে কিন্তু রাশিয়ার আবার উত্থান ঘটবে ছাইয়ের মধ্যে থেকে ফিনিক্স পাখির মতন।
রাশিয়ার চেচেনিয়া প্রদেশের চেচেন লোকেদের নিয়ন্ত্রণ কোনওদিন কেউ পারে নি, ১৫ শতকে যখন প্রায় গোটা ইউরোপ জুড়ে অটোম্যান তুর্কী দের শাসন চলছিল তখনও তারা চেচেনদের পরাস্ত করতে পারে নি। কিন্তু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হয়ে ভ্লাদিমির পুতিন চেচেনদের পরাস্ত করে নিজের অধীনে নিয়ে আসেন।
বলা হয় বিল গেটসের থেকেও বেশী প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি আছে পুতিনের।
পুতিনের নিজের ২০ টি বিলাস বহুল প্রাসাদ, ৪৩ টি ব্যাক্তিগত বিমান, ৭০০০ গাড়ি, ১৫ টি হেলিকপ্টার, চারটি জাহাজ এবং একটি সুপার লাক্সারি ক্রুজ আছে যার মূল্য ৭৩ মিলিয়ন ডলার।আজ পর্যন্ত যারাই ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে রাশিয়ায় দাড়িয়েছে তারা হয় উধাও হয়ে গেছে অথবা জেলে। ২০১১ সালের দিকে রাশিয়ার সর্বোচ্চ ধনী ব্যাক্তি যখন পুতিনের বীপরীত দল কে সাপোর্ট করে, সেই ব্যাক্তিটিকে কর ফাঁকি দেবার মামলায় ১৪ বছরের জেলে ভরে দেওয়া হয় এবং তার তেল কোম্পানি পুতিন কিনে নেয়।