অফবিট

১ দিনের মধ্যে ৪৫ হাজার গুন রিটার্ন দিয়েছিল কোন ক্রিপ্টো কারেন্সি?

নিউজ ডেস্ক বর্তমানে ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারে এতটাই চাহিদার তালিকা এসেছে যে সেই মোহ কাটিয়ে উঠতে করা কঠিন হয়ে উঠেছে অর্থলগ্নিকারীদের কাছে। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানেন না ঠিক কোন ডিজিটাল মুদ্রা তে নিজেদের অর্থ লগ্নি করলে দ্বিগুন মুনাফা লাভ করতে পারবেন। কারণ বর্তমানে বাজারে এমন অনেক ক্রিপ্টোকারেন্সি ছড়াছড়ি রয়েছে যে কোনটি ঠিক আর কোনটা ভুল তা নির্ণয় করা  রীতিমতো ধন্ধের  তৈরি হয়েছে জনগণের কাছে । মূলত সেই বিষয়ে এখানে  বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে। 

ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটিং কিছু জায়গায় অর্থলগ্নি করলেই কোন মানুষ হাজারগুন লাভ করতে পারবে আবার সম্পূর্ণরূপে লোকসান হতে পারে। কার্যত ক্রিপ্টোকারেন্সি জন্মসূত্র থেকেই অর্থলগ্নি বিষয়ে যথার্থ করাকরি করেছে সরকার।  রীতিমত রিস্ক রয়েছে  এই ডিজিটাল মাধ্যমে। কিন্তু তা সত্বেও হাজার বিপদ আছে জেনেও ডিজিটাল মুদ্রায়  অর্থ দিতে রীতিমতো মুখিয়ে রয়েছে গোটা দেশবাসী। মূলত একাধিক ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারে  হাস্কিক্স নামের  একটি কারেন্সি রয়েছে যেটি রীতিমতো মুনাফার পথে নিয়ে যাবে মানুষকে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই কারেন্সির সম্পর্কে অবগত নয় অধিকাংশ মানুষ।  

হাস্কিক্স  নামের এই কারেন্সিতে ২৪ ঘন্টায় লগ্নিকারীদের বিনিয়োগ করা মূল অর্থের উপর তাদের  ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ৪৫,০০০ শতাংশ। এই ডিজিটাল কারেন্সি নিচের স্তরে ০.০০০০০০০০৪০৮৯ ডলার  থেকে লাফিয়ে সেটি পৌঁছেছে ০.০০০০০১৮৭৮ ডোলারে।  এটি হলো একটি কারেন্সির কথা। 

বাজারে আরো একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি আছে যার নাম কোকোস্বাপ। এই কারেন্ট সিটি বাজারে চালু হয়েছিল  চলতি বছরের ১০ই নভেম্বর মাসে। তবে  এই কারেন্সিটি ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে বিনিয়োগকারীকে ফিরিয়ে দেয় মাত্র ৭১ হাজার টাকা। অর্থাৎ দিনে   ০.০১০০৫ ডলার থেকে সেটি পৌঁছেছে ৭.২২ ডোলারে। তবে হাস্কিক্স-য়ের তুলনায় এই কারেন্সিগুলোর অর্থলগ্নি পর যে লাভ হয়ে সেটি কম হওয়ার কারণে বাজারে এর গুরুত্ব ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।  অর্থাৎ হাস্কিক্স কারেন্সির বর্তমান বাজার দর ১.৮ বিলিয়ন ডলার।

তুলনামূলক দিক থেকে পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে হাস্কিক্স কারেন্সিতে  সাপ্লাই বরাবরই খুব কম থাকার কারণে এটি দুর্বল ক্রিপ্টোকারেন্সিতে পরিণত হচ্ছে।  কারণ এই ক্রিপ্টোকারেন্সিতে অল ইন্দিন করার পর যে মূল্য ধার্য করা হয় সেটি বিনিয়োগকারীদের লাভের অংশই বেশি থাকছে।  পাশাপাশি এই কারেন্সির  বিনাস স্মার্ট চেন চালু করা হয়েছে যেখানে একটি রিবেস ফাংশন এবং ডিভিডেন্ট রিওয়ার্ড যোগ করা হয়েছে।  পদ্ধতিতে রিবেসের সঙ্গে টোকেনের সংখ্যা  কম  হয়ে যাওয়ার কিছু সম্ভাবনা ছিল কিন্তু মার্কেট ক্যাপের সঙ্গে সঙ্গেই যুক্ত হওয়ায় প্রত্যেকটি টোকেনের মূল্য বর্তমানে একই রয়েছে।  সুতরাং প্রতিনিয়ত দেশের জনগণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রিপ্টোকারেন্সির  চাহিদাটাও তুলনামূলক বেড়েই চলেছে।  যদিও এর নেপথ্যে রয়েছে বড় বড় গ্রাহকদের খুব কম পরিমাণে অর্থের বিনিয়োগ করার সুযোগ সুবিধা। অর্থাৎ ক্রিপ্টোকারেন্সি তে খুব নগণ্য অল্পের বিনিময়ে  অর্থলগ্নিকারীরা বিটকয়েন এবং ইথেরিয়াম সহ অন্যান্য বড়  কারেন্সিতে বিনিয়োগ করতে পারেন।  সুতরাং সেই কারণেই বাজারে ক্রিপ্টোকারেন্সির  চাহিদা তুঙ্গে রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *