ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে করতে বিশেষভাবে কার্যকারী। কড়াইশুঁটির অসাধারন ৫ উপকারিতা
নিউজ ডেস্কঃ শীতকালে একটি সবজি হল কড়াইশুঁটি।যা কাঁচা খেতেও ভালো লাগে এবং রান্নায় দিলেও ভালো লাগে।তাই এই কড়াইশুঁটির স্বাদ নিয়ে কারোর অজানা নয়।কিন্তু এই সবজিটির মধ্যে থাকা উপকারিতাগুলি বেশিরভাগ মানুষেরই অজানা।তাই একবার যদি এই সবজিটির স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলি জেনে নেন তাহলে কড়াইশুঁটি খেতে আগে যতটা না পছন্দ করতেন তার চেয়েও এখন আরও বেশি পছন্দ করবেন।তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই সবজিটির স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলি।
১) ওজন কমাতে কড়াইশুঁটি- যারা ওজন নিয়ে চিন্তিত তারা অবশ্যই খান কড়াইশুঁটি।কারন এতে থাকা নানা ধরনের উপাদান যেমন- ফাইবার, প্রোটিন এবং মাইক্রো-নিউট্রিয়েন্ট ইত্যাদি যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে যার ফলে বারবার খিদে পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।আর তার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।এছাড়াও এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি শরীরের পুষ্টির যোগান দিতেও সাহায্য করে।
২) পাকস্থলীর ক্যান্সারকে দূর করে- কড়াইশুঁটিতে থাকা পলিফেনল উপাদানটি পাকস্থলীর ক্যান্সারের কোষ সৃষ্টি হতে প্রতিরোধ করে।যার ফলে এই মারন রোগের হাত থেকেও বাঁচাতে পারে এই সবজিটি।একটি গবেষণা থেকে জানা গেছে যে মাত্র ২ মিলিগ্রাম পলিফেনল শরীরে প্রবেশ করলেই পাকস্থলীর ক্যান্সারের কোষ শরীরে জন্ম নিতে পারে না আর এই সবজিটিতে এই পলিফেনল উপাদানটি থাকে ১০মিলিগ্রাম।
৩) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়- বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে বাঁচতে হলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে করাটা জরুরী।তাই এই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কড়াইশুঁটির জুড়ি মেলা ভার।কারন এই সবজিটিতে থাকে এমন অনেক উপাদান থাকে যেমন- ক্যাটাচিন, এপিক্যাটাচিন, ক্যারোটেনয়েজ, ফেনোলিক অ্যাসিড এবং পলিফেনলের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
৪) ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে- কড়াইশুঁটিতে থাকে ফাইবার এবং প্রোটিন ইত্যাদি উপাদান যা শরীরে শর্করা মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।এছাড়াও এতে থাকা থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।তাই বলা যায় যে যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে তাদের পক্ষে কড়াইশুঁটি খাওয়া খুবই উপকারি।
৫) কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রকোপ কমায়- কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে এই কড়াইশুঁটি।কারন এই সবজিটির মধ্যে থাকে ফাইবার উপাদানটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সহায়ক উপাদান।