ডিফেন্স

যদি কেউ বলে সে মরতে ভয় পায় না তাহলে হয় সে পাগল না হয় গোর্খা। কেন বলা হয়? এর পেছনে কি গোপন অপারেশান আছে জানেন?

রাজেশ রায়: বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী দেশ হচ্ছে আমাদের ভারতবর্ষ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী বিশ্বের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ সেনা, প্রায় ১৪ লক্ষ অ্যাক্টিভ সেনা রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে। ভারতীয় সেনার ইতিহাসে এমন অনেক কীর্তি আছে যা ইতিহাসের পাতায় চিরকালের জন্য লেখা থাকবে।ভারতীয় সেনাবাহিনীর এমনই একটি গৌরব গাথা অপারেশন খুকরী সম্পর্কে। এই অপারেশন ভারতের বাইরে অন্য একটি দেশে করা হয়, মূলত মাল্টিন্যাশানাল ছিল মানে ভারত ছাড়াও ঘানা, ব্রিটেন ও নাইজেরিয়ার সেনাবাহিনীও এতে অংশ নিয়েছিল, তবে ভারতীয় সেনাই বেশী ছিল। অপারেশন খুকরী। খুকরী হচ্ছে গোর্খাদের প্রধান অস্ত্র। গোর্খা বলা হয় নেপালের অধিবাসীদের। নেপালের যারা বীর, যারা লড়াই করে তাদের গোর্খা বলা হয়। আর এই গোর্খারা খুকরী নামে বিশেষ ছুরি ব্যবহার করে, এটি একটি বাঁকানো ধারালো ছুরি। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে আজও গোর্খা রেজিমেন্টের সৈন্যদের খুকরী দেওয়া হয়।এই অপারেশনে ভারতীয় সেনাবাহিনীর গোর্খা রেজিমেন্টের সৈন্যরা বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল বলে একে অপারেশন খুকরী বলা হয়। গোর্খা রাইফেলস কে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী সেনা বলা হয় কারন এদের অসাধারণ বীরত্ব। ভারতের স্বর্গীয় জেনারেল স্যাম ম্যাকিনশ একবার বলেছিলেন যদি কেউ বলে সে মরতে ভয় পায় না তাহলে হয় সে পাগল না হয় গোর্খা। এতটাই শক্তিশালী হয় গোর্খারা।

ঘটনার শুরু পশ্চিম আফ্রিকার সিয়েরা লিওন নামে ছোট একটি দেশে। আটলান্টিক মহাসাগরের তীরে এবং লাইবেরিয়া ও গুয়েনার সীমান্তে অবস্থিত রিপাবলিক অফ সিয়েরা লিওন নামক দেশটির জনসংখ্যা মাত্র ৭১ লাখের মতন। আয়তনে দেশটি ভারতের আসাম রাজ্যের সমান। সিয়েরা লিওন বিখ্যাত হীরের খনির জন্য। প্রায় দেড়শো বছরের ব্রিটিশ শাসনে দেশটিতে রীতিমতো লুঠ চালিয়েছিল ব্রিটিশরা। সেখানকার অধিবাসীদের রীতিমতো দাস বানিয়ে রেখেছিল ব্রিটিশরা। ১৯৬২ সালে সিয়েরা লিওনে প্রথম জনভোট হয় কিন্তু তখন থেকে নির্বাচিত সরকারের কোরাপশন ও ক্ষমতার নেশা দেশটিকে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ফেলে দেয়। 

১৯৯১ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলে যার মূলে ছিল রেভোলিউশেনারি ইউনাইটেড ফ্রন্ট বা আরইউএফ নামে একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। ২০০২ সালে গৃহযুদ্ধ শেষ হবার পরও এই গোষ্ঠীটির অস্তিত্ব আজও রয়ে গেছে রাজনৈতিক দল হিসাবে। গৃহযুদ্ধ চলাকালীন দেশটিতে পঞ্চাশ হাজারের বেশী সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেইসময় আটইউএফ এর প্রধান ফ্রোডো শাঙ্কো পার্শ্ববর্তী দেশ লাইবেরিয়ার রাষ্ট্রপতি মার্ক টেলরের সাহায্যে সিয়েরা লিওনের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করবার পরিকল্পনা করে। আরইউএফ সিয়েরা লাইনের বিশাল অংশের উপর দখল করে যেখানে হীরের বিশাল ভান্ডার ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের জোর করে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে হীরের খনিতে কাজ করতে বাধ্য করে এবং যুবকদের নেশাদ্রব্যে আসক্ত করিয়ে তাদের গ্যাং এ সামিল করে। এরফলে দেশটির অর্থব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। 

১৯৯৯ সালের জানুয়ারী মাসে আরইউএফ সিয়েরা লিওনের রাজধানী ফ্রি টাউনে অ্যাটাক শুরু করে, শহরটির সব জায়গায় নারকীয় ধ্বংস যজ্ঞ শুরু হয়। মহিলা, শিশু কেউ বাদ যায়নি এদের হাত থেকে। নেশার দ্রব্য খাইয়ে শিশুদের অঙ্গ কেটে দেয় এইসব উগ্রবাদীরা। গোটা বিশ্বের চোখ খুলে দেয় এই সিয়েরা লিওনের ঘটনা। ইকোনোমিক কমিউনিটি অফ ওয়েস্টার্ন আফ্রিকান স্টেটস বা ইকোওয়াস নামক একটি সংস্থা যা পশ্চিম আফ্রিকান দেশগুলির মিলিত একটি সংস্থা সিয়েরা লিওনে সেনাবাহিনী পাঠায় যার ১১ জানুয়ারীর মধ্যে ফ্রিটাউনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। আরইউএফ এর প্রধান ঘাটি ছিল সিয়েরা লিওনের পূর্ব অংশে লাইবেরিয়ার সীমান্তে। ইউনাইটেড নেশন বা জাতিসংঘ তাদের শান্তিরক্ষা বাহিনী সিয়েরা লিয়নে পাঠায়, অফিসিয়ালি এই মিশনের নাম দেওয়া হয় ইউনাইটেড নেশনস অ্যাসিস্ট্যান্টান্স মিশন ইন সিয়েরা লিয়ন বা ইউএনএএমএসআইএল। জাতিসংঘের অনুরোধে ভারত ও তাদের সেনাবাহিনীর একটি ইউনিট সিয়েরা লিওনে পাঠিয়েছিল যাকে ইন্ডব্যাট-১ বলা হত। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৫/৮ গোর্খা রাইফেল, ১৪ মেকানাইজড ইনফ্রেন্টারি, একটি ইন্জিনিয়ারিং ডিভিশন ও একটি মেডিক্যাল ইউনিট কে পাঠানো হয় সিয়েরা লিওনে। ২০০০ সালের এপ্রিল মাস নাগাদ ইন্ডব্যাট-১ এর দুই কোম্পানি সৈন্যকে সিয়েরা লিওনে আরইউএফের প্রধান ঘাঁটির কাছে কাইলাহুনে মোতায়েন করা হয় এবং বাকীদের দারু নামক স্থানে মোতায়েন করা হয়। 

ভারতের পাশাপাশি ঘানা, নাইজেরিয়া ও ব্রিটেনও তাদের সেনা পাঠায়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল বিজয় কুমার জেটলি ছিল এই সমস্ত বাহিনীর প্রধান। ভারতীয় সেনা স্থানীয়দের সহায়তার জন্য ব্রিজ তৈরি করে, স্কুল তৈরি করে, মেডিক্যাল ফেসিলিটি তৈরি করে, অনাহারে থাকা মানুষদের খাবারের ব্যব্স্থা করে। ভারতের সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপের জন্য আরইউএফের একটি শাখা বিনাযুদ্ধে আত্মসমপর্ন করে। কিন্তু এখানে একটা বড় সমস্যা তৈরি হয়। আরইউএফের প্রধান ঝামেলা ছিল নাইজেরিয়া ও কেনিয়ার সেনাদের সাথে। ২০০০ সালের ১ মে আরইউএফ কেনিয়া ও নাইজেরিয়ার সেনাবাহিনীর উপর অ্যাটাক শুরু করে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইন্ডব্যাট-১ এর সাথে কমিউমিকেশন গ্যাপ থাকায় ভারতীয় সেনাবাহিনী এই ঘটনা জানতে পারে নি। পরেরদিন কাইলাহুনে ভারতীয় সেনাবাহিনী সাধারন মানুষদের সাহায্য করতে গেলে আরইউএফ এর সদস্যটা ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ঘিরে ধরে আটক করে। দশদিন ধরে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে আটক করে রাখার পর অবশেষে স্থানীয় মানুষদের চাপে কিছু সেনাকে মুক্তি দেয় আরইউএফ কিন্তু কিছুসেনা তখনও বন্দি রাখে আরইউএফ। ভারতীয় সেনাবাহিনীর গোর্খা রেজিমেন্টের ২২৩ জন সেনা, একজন ব্রিটিশ আধিকারিক ও ১৩ জন বিভিন্ন দেশের সেনাকে বন্দি করেছিল আরইউএফ। দারু থেকে ২৩ সদস্যের একটি সেনাদল কেলাহুনের উদ্দেশ্যে আরইউএফের সাথে কথা বলতে। কিন্তু কাইলাহুনে পৌঁছাবার পাচ কিলোমিটার আগেই আরইউএফের ২০০ জন সদস্য এইদলকেও বন্দি করে ফেলে। পরিস্থিতি ক্রমশ আরও খারাপ হতে শুরু করে, আরইউএফ ৫০০ জন কেনিয়ান সেনাকে পরাস্ত করে তাদের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে সিয়েরা লিওনের রাজধানী ফ্রি টাউনের দিকে অগ্রসর হয়। ব্রিটিশ সেনা ফ্রি টাউন থেকে তাদের সদস্যদের সরিয়ে নেয়। ভারত সরকার আমেরিকা, ব্রিটেন সহ জাতিসংঘ কে অনুরোধ করে আটকে পড়া ভারতীয় সেনাদের মুক্তির জন্য। কিন্তু কোন কেও তেমন প্রতিক্রিয়া দেখায় নি। ৭৫ দিন ধরে লাইবেরিয়ার মাধ্যমে বিদ্রোহী আরইউএফের সাথে আলোচনা করা হয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুক্তির জন্য কিন্তু কোন লাভ হয় নি। বাধ্য হয়ে ভারত বড় পরিকল্পনা করে।

২০০০ সালের জুলাই মাসে দিল্লীতে সাউথ ব্লকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ীর নেতৃত্ব সর্ব দলীয় বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে ভারতীয় সেনা ও ভারতীয় বায়ুসেনাকে অপারেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কাইলাহুনের ১০০ কিলোমিটার গভীর জঙ্গলে আরইউএফের উপর আক্রমনের পরিকল্পনা করা হয়। মেজর জেনারেল ভি কে জেটলি এই অপারেশনের নেতৃত্ব দেয়। জাতিসংঘ কে এই প্রস্তাব জানানো হয়। জাতিসংঘের প্রধান কোফি অ্যানন জানান এটা সম্পূর্ণ ভারতের নিজের ব্যাপার। মিশনের জন্য ১৩৫ সদস্য বিশিষ্ট প্যারা স্পেশাল ফোর্সের একটি দলকে সিয়েরা লিওন পাঠানো হয়। মেজর অজয় মুখার্জি এই দলের প্রধান ছিলেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সহায়তার জন্য তিনটি এমআই -৮ হেলিকপ্টার ও আরও দুটি অ্যাটাক হেলিকপ্টার কে পাঠানো হয়েছিল। কেলাহুন সিয়েরা লিওনের রাজধানী ফ্রিটাউন থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে অবসথিত ঘানা ও লাইবেরিয়ার সীমান্তে অবস্থিত ঘন জঙ্গলে পরিপূর্ণ স্থান। কেলাহুন থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে দারু শহর। এই পুরো এলাকায় যাবার প্রধান রাস্তা ছিল আরইউএফ এর নিয়ন্ত্রণে। আরইউএফের ব্যাপারে সমস্ত তথ্য ব্রিটেন ভারতকে দেয় এবং ব্রিটেন তাদের বায়ুসেনার দুটি চিনুক হেলিকপ্টার ও একটি সি-১৩০ হারকিউলিস বিমানকেও ভারতকে দেয় সৈন্য পরিবহনের জন্য। সেইসময় স্যাটেলাইট চিত্র ছিলা না, যারজন্য সিয়েরা লিওনের সমস্ত তথ্যর জন্য ভারত লোকাল টুরিস্ট ম্যাপ ও ব্রিটেনের দেওয়া তথ্যের উপর নির্ভরশীল ছিল। 

ভারত তিন ধরনের গোপন পন্থা অবলম্বন করে আরইউএফের সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে। প্রথমত বিদ্রোহীরা ২৩ জন ভারতীয় সেনাকে মুক্তি দিয়েছিল যাদের থেকে বিদ্রোহী শিবিরের তথ্য পাওয়া গেছিল। দ্বিতীয়ত কিছু আহত ভারতীয় সেনাকে চিকিৎসার জন্য আরইউএফ মুক্তি দিয়েছিল, তদের হেলিকপ্টারে করে উদ্ধার হয়, উদ্ধার করার সময় হেলিকপ্টার থেকে বিদ্রোহী শিবিরের গোপনে সমস্ত  ছবি তোলা জয়। তৃতীয়ত বিদ্রোহীদের সাথে যোগাযোগোর জন্য আরইউএফের কিছু নেতাকে বারবার জাতিসংঘের ক্যাম্পে যেতে হচ্ছিল, এরজন্য জাতিসংঘ আরইউএফকে একটি গাড়ি ও ড্রাইভার দিয়েছিল। এই ড্রাইভার হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর ধীরাজ থাপাকে যিনি গোপনে বিদ্রোহী ক্যাম্পের সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করেন। 

১৫ জুলাই সকাল ৬ টায় এই অপারেশন খুকরী শুরু হবার কথা ছিল। কিন্তু সেদিন সকালে প্রচুর খরাপ আবহাওয়ার কারনে মিশন ক্যানসেল হবার আশঙ্কা দেখা যায়। কিন্তু খারাপ আবহওয়া ভারতীয় সেনার মোনোবল কে ভাঙতে পারেনি। ১৫ জুলাই সকাল ৫ টা ১০ এ দুটি ব্রিটিশ চিনুক হেলিকপ্টারে করে প্যারা স্পেশাল ফোর্সরা রওনা দেয়। প্রথমেই আরইউএফের সমস্ত ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ককে জ্যাম করে দেওয়া হয় এবং কমিউনিকেশন সেন্টারকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। কেলাহুনে পৌছানোর পাচ কিলোমিটার আগেই কেনেভাতে ৪৫ জন প্যারা কম্যান্ডোকে নামিয়ে দেওয়া হয় এবং কেলাহুনে পাচ জন কম্যান্ডোকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময় কেলাহুনে প্রায় ৪০০ জন আরইউএফের সদস্য ছিল। কেনেভাতে থাকা ৪৫ জন প্যারা এসএফ সদস্য আরইউএফের চেকপোস্টে হামলা করে এবং দারু থেকে কেনেভা পর্যন্ত রাস্তাকে দখল করে নেয়। ততক্ষণে পাচজন কম্যান্ডো যারা কেলাহুনে গেছিল তারা বোম্বিং এর দ্বারা বিদ্রোহীদের হাতে বন্দি থাকা ইন্ডব্যাট-১ টিমকে মুক্ত করে। এবার কেনেভা থেকে বাকী কম্যান্ডো টিম কেলাহুনের দিকে অগ্রসর হয় এবং আসার পথে সমস্ত পথে বোম্ব লাগিয়ে রাখা হয়। এরপর আরইউএফের সমস্ত সদস্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর পিছু নেয় কিন্তু রাস্তায় বোম্ব অ্যক্টিভ থাকায় তাদের যথেষ্ট ক্ষতি হয়। তাছাড়া ২ টি রাশিয়ান এম আই ৩৫ ও ৩ টি এম আই ৮ হেলিকপ্টার এয়ার সাপোর্ট দিচ্ছিল সেনাকে, যার জন্য বিদ্রোহীরা যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর সেনাবাহিনী গেহুন নামক জায়গায় পৌঁছায় যেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে ৬৫ জন সেনা সদস্য কে দারু নিয়ে যাওয়া হয় এবং বাকীদের কে পেন্ডাম্ভু নামক জায়গায় নিয়ো যাওয়া হয়। পেন্ডাম্ভু শহরে সারারাত বিদ্রোহীদের সাথে লড়াই হয় ভারতীয় বিমানবাহিনীর। গোর্খা রাইফেলসের সদস্য ও ভারতীয় এম আই ৩৫ হেলিকপ্টার সারারাত ফায়ারিং করে যার ফলে বিদ্রোহীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। পরের দিন সকালে বাকী সেনা সদস্যদের পেন্ডাম্ভু থেকে দারু নিয়ে যাওয়া হয় হেলিকপ্টারে। এই পুরো যুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক সদস্য বীরগতি প্রাপ্ত হন এবং আরইউএফকের একশোর বেশী সদস্য মারা যায় এবং ১৮০ জনের মত আহত হয়। 

তৎকালীন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জর্জ ফার্নান্ডিজ নিজে গোর্খা রাইফেলসের সদস্যদের ফ্রি টাউনে পৌঁছে অভিনন্দন জানান। অপারেশন খুকরী গোটা বিশ্বের সামনে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সক্ষমতা প্রমান করেছিল। যে আরইউএফ কে সবাই ভয় পেত, ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের ঘরে ঢুকে হারিয়ে এসেছিল, এরপরেই সিয়েরা লিওনে আরইউএফের পতনের সূত্রপাত ঘটে। অপরারেশন খুকরী ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইতিহাসে স্বর্নালী হরফে লেখা থাকবে। জয় হিন্দ। জয় ভারত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *