একবার প্রধানমন্ত্রী আদেশ দিলে ভারত ১-২ ঘন্টার মধ্যে পরমানু হামলা করতে সক্ষম
রাজেশ রায়: এসএফসি বা স্ট্রাটেজিক ফোর্সেস কম্যান্ড ভারতের ২৬ টি গোপন সংস্থার একটি। এসএফসি কে অনেক সময় স্ট্রাটেজিক নিউক্লিয়ার কম্যান্ড ও বলা হয়। নিউক্লিয়ার কম্যান্ড অথরিটি বা এনসিএ এর একটি ভাগ হল এই এসএফসি। এনসিএ ভারতের নিউক্লিয়ার পোগ্রামের জন্য কম্যান্ড, কন্ট্রোল ও অপারেশনাল সিদ্ধান্ত নেয়। এসিএর একটি অংশ এসএফসি তৈরি হয় ২০০৩ সালে ৪ জানুয়ারী। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী স্বর্গীয় অটল বিহারি বাজপেয়ীর নেতৃত্বে এর স্থাপনা করে। এর প্রথম কম্যান্ডার ইন চীফ ছিলেন এয়ার মার্শাল তেজা মোহন আস্তানা। বর্তমানে স্ট্রাটেজিক ফোর্সেস কম্যান্ডের কম্যান্ডার ইন চীফ ইন্ডিয়ান নেভির ভাইস অ্যাডমিরাল আর বি পন্ডিত। ভারতের তিন বাহিনী বায়ুসেনা, স্থলসেনা ও নৌসেনার প্রত্যেকের মিলিত পরমানু অস্ত্র এসএফসির আওতায় থাকে। স্ট্রাটেজিক ফোর্সের কম্যান্ড কে আরটিআই বা রাইট টু ইনফর্মেশন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে যার অর্থ এসএফসি তাদের কাজের জন্য কারও কাছে জবাবদিহি করবে না। এসএফসি যাবতীয় কাজ করে এনসিএ এর কথা শুনে। এসএফসি এনসিএর অ্যাপ্রুভাল পেলে নিউক্লিয়ার ওয়েপনস এবং ওয়ারহেডস সাপ্লাই করে। কখওনও যুদ্ধের সময় ভারতের পরমানু অস্ত্র প্রয়োগের দরকার পড়লে এসএফসি ঠিক কোন জায়গায় পরমানু বোম্ব অ্যাটাক করা হবে। অর্থাৎ সোজা ভাষায় এসএফসি একমাত্র এনসিএ এর নির্দেশ মেনে চলে। এনসিএর প্রধান হচ্ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এসএফসির ব্যপারে জানার সাথে সাথে জানতে হবে ভারতের নিউক্লিয়ার কম্যান্ড অথরিটি বা এনসিএ সম্পর্কে। ভারতের নিউক্লিয়ার কম্যান্ড অথরিটির দুটো অংশ রয়েছে পলিটিক্যাল কাউন্সিল ও এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল।পলিটিক্যাল কাউন্সিলের প্রধান হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী। অর্থাত প্রধানমন্ত্রীই ভারতের নিউক্লিয়ার কম্যান্ডের সুপ্রিম কমান্ডার। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও পলিটিক্যাল কাউন্সিলে আর কে কে থাকে সে ব্যাপরে কোন তথ্য প্রকাশ করা হয় না, মনে করা হয় ক্যবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটির সমস্ত সদস্য এর অংশ। এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের প্রধান হচ্ছে ভারতের এনএসএ বা ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজর, এই মহূর্তে ভারতের এনএসএ অজিত দোভাল। এছাড়াও এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলে যুক্ত থাকে চীফ অফ স্টাফ কমিটি বা COAS. নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও স্থলসেনার থেকে নিযুক্ত তিন বাহিনীর প্রধান। এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের কাজ হচ্ছে পলিটিক্যাল কাউন্সিল কে সাহায্য করা। এরপরে আসে নিউক্লিয়ার কম্যান্ড অথরিটির অপারেশনাল আর্মের ব্যপার। স্ট্রাটেজিক ফোর্স কম্যান্ডই হচ্ছে অপারেশনাল আর্ম যার কাজ এনসিএ এর সিদ্ধান্ত কার্যকর করা।
এসএফসি তৈরির আগেও তার ভিত্তি রচনা হয় ১৯৯৪ সালে জুন মাসে, সেকেন্দ্রাবাদে অবস্থিত ভারতের ৩৩৩ মিসাইল গ্রুপ এইসময় ছয়টি পিথবী মিসাইলের ডেলিভারি পায়। এরপরে ২০০২ সালে রিপোর্ট পাওয়া যায় যে ভারতের কাছে ১০০-১২০ টি পিথবী মিসাইল রয়েছে। আবার ততদিনে ভারতের কাছে ২০ টি অগ্নি ২ মিসাইল ও এসে যায়। প্রথমে জানা গেছিল ভারত বছরে পাচটি অগ্নি মিসাইল তৈরি করবার লক্ষ নিয়েছে। কিন্তু ২০০২ সালে আরও একটি রিপোর্ট পাওয়া যায় যে ভারত অগ্নি-২ মিসাইলের প্রোডাকশন রেট বাড়িয়ে দিয়েছে, অন্তত ১২-১৮ টি মিসাইল বছরে উৎপন্ন করা হচ্ছে। ২০১৭ সালের তথ্য অনুযায়ী ভারতের কাছে পিথবী মিসাইলের চারটি গ্রুপ রয়েছে ২২২, ৩৩৩, ৪৪৪ ও ৫৫৫ নং গ্রুপ। বর্তামানে স্ট্রাটেজিক ফোর্সেস কাম্যন্ডের কাছে ভূমি থেকে, বায়ু থেকে এবং জল থেকে এই তিন জায়গা থেকে নিক্ষেপ যোগ্য পরমানু ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। একটি তথ্য অনুযায়ী এই মহূর্তে ভারতের কাছে ৬৮ টি নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড রয়েছে।
## ভূমি থেকে নিক্ষেপ যোগ্য পরমানু ক্ষেপণাস্ত্র :——
এই মহূর্তে এসএফসির কাছে ভূমি থেকে নিক্ষেপ যোগ্য দুই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে পিথবী মিসাইল ও অগ্নি মিসাইল। পিথবী ও অগ্নি মিসাইল গুলোর শর্ট, মিডিয়াম ও লং রেঞ্জ এই তিন ধরনের ভার্সন রয়েছে।
** প্রথমেই আসা যাক পিথবী মিসাইলের কথায়। ডিআরডিও এর তৈরি এই শর্ট রেঞ্জ সাফেস টু সারফেস ব্যালেস্টিক মিসাইল ২০০৩ সালে স্ট্রাটেজিক ফোর্সেস কম্যান্ডের হাতে আসে। ২০১৪ সালের ৭ জানুয়ারী ওড়িশার চান্দিপুরের টেস্ট রেঞ্জ থেকে পিথবী মিসাইলের সফল টেস্ট করা হয়। পিথবী মিসাইলের তিনটি ভার্সন রয়েছে পিথবী ১, পিথবী ২, পিথবী ৩. পিথবী ১ শর্ট রেঞ্জ ব্যালেস্টিক মিসাইল যার রেঞ্জ ১৫০ কিলোমিটার, পিথবী ২ মিডিয়াম রেঞ্জ ব্যালেস্টিক মিসাইল যার রেঞ্জ ২৫০-৩৫০ কিলোমিটার, পিথবী ৩ লং রেঞ্জ ব্যালেস্টিক মিসাইল যার রেঞ্জ ৩৫০-৬০০ কিলোমিটার।
** অগ্নি মিসাইলের ছয়টি ভার্সন রয়েছে অগ্নি ১, অগ্নি ২, অগ্নি ৩, অগ্নি ৪, অগ্নি ৫, অগ্নি প্রাইম। এদের মধ্যে অগ্নি ১, অগ্নি ২, অগ্নি প্রাইম শর্ট রেঞ্জ ব্যালেস্টিক মিসাইল। অগ্নি ১ এর রেঞ্জ ৭০০ কিলোমিটার, অগ্নি ২ এট রেঞ্জ ২০০০-৩০০০ কিলোমিটার, অগ্নি প্রাইমের রেঞ্জ ১০০০-২০০০ কিলোমিটার যা অগ্নি ১ কে রিপ্লেস করবে। অগ্নি ৩ ও অগ্নি ৪ ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জের ব্যালেস্টিক মিসাইল। মিডিয়াম রেঞ্জ ব্যালেস্টিক মিসাইল ও ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইলের মধ্যবর্তী ৩৫০০ কিলোমিটার থেকে ৫০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পাল্লার মিসাইলকে ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জ ব্যালেস্টিক মিসাইল বলে। অগ্নি ৩ এর রেঞ্জ ৩৫০০ কিমি এবং অগ্নি ৪ এর রেঞ্জ প্রায় ৪০০০ কিমি। অগ্নি ৫ হচ্ছে ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল। যে সমস্ত মিসাইলের রেঞ্জ ৫৫০০ কিলোমিটারের বেশী তাদের ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল বলে। অগ্নি ৫ এর রেঞ্জ ৫৫০০ থেকে ৮০০০ কিলোমিটার।
** বর্তমানে অগ্নি ৬ নামে আরও একটি অ্যাডভান্সড ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল তৈরি করা হচ্ছে যার রেঞ্জ ৮০০০ কিলোমিটার থেকে ১২০০০ কিলোমিটার।
** আরও একটি শক্তিশালী ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল তৈরির কাজ চলছে যার নাম সুরিয়া মিসাইল এর রেঞ্জ ১২০০০ কিলোমিটারের বেশী। তবে এসব প্রজেক্ট খুবই গোপনীয়। জনসমক্ষে এব্যাপারে বিশেষ কোন তথ্য পাওয়া যায় না।
## আকাশ থেকে নিক্ষেপ যোগ্য পরমানু হাতিয়ার:——
শুধু ভূমি থেকেই নিক্ষেপ যোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের উপর নির্ভর করে না থেকে ২০০৩ সাল থেকে এসএফসি ভারতীয় বিমানবাহিনীকে অনুরোধ করে কিছু যুদ্ধবিমান কে বিশেষভাবে ডিজাইন করতে যা পরমানু অস্ত্র বহন করতে সক্ষম হবে। ভারতীয় বিমানবাহিনী ৪ স্কোয়াড্রন যুদ্ধবিমান বা ৮০ টি যুদ্ধবিমান কে বিশেষভাবে আপগ্রেড করে পরমানু বোম্ব বহন করার জন্য। ৬৪ টি জাগুয়ার ও ১৬ টি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান কে বিশেষভাবে আপগ্রেড করা হয়। প্রতিটি যুদ্ধবিমান একটি করে পরমানু বোম্ব বহন করতে পারে। মধ্যেপ্রদেশের মহারাজপুর এয়ারফোর্স স্টেশনে মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান, আম্বালা ও গোরখপুর এয়ারফোর্স স্টেশনে জাগুয়ার যুদ্ধবিমানের স্কোয়াড্রন রাখা হয়েছে। বর্তামানে ভারতীয় বিমানবাহিনীতে রাফায়েল যুদ্ধবিমান যুক্ত হয়েছে যা পরমানু বোম্ব বহনে সক্ষম।
## সমুদ্র থেকে নিক্ষেপ যোগ্য পরমানু ক্ষেপণাস্ত্র :———
পৃথিবীর সব সুপার পাওয়ার দেশগুলোই তাদের পরমানু অস্ত্রভান্ডার সমুদ্রে মজুত করছে। বিশেষভাবে নির্মিত সাবমেরিন পরমানু অস্ত্র নিক্ষেপ করতে সক্ষম।
ভারতের কাছে সমুদ্র থেকে নিক্ষেপ যোগ্য যেসব ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে তা হল ধনুশ শর্ট রেঞ্জ ব্যালেস্টিক মিসাইল যার রেঞ্জ ৩৫০ কিমি, পিথবী ল্যান্ড অ্যাটাক ব্যলেস্টিক মিসাইলের নেভাল ভার্সন এটি। এছাড়াও রয়েছে কে-১৫ ও কে-৪ ব্যালেস্টিক মিসাইল। এই কে সিরিজের মিসাইল গুলো তৈরি করা হয়েছে সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপের জন্য। স্বর্গীয় মহান বিজ্ঞানী এপিজে আব্দুল কালামের নাম অনুসারে এই মিসাইল গুলোর নাম কে সিরিজ রাখা হয়েছে। কে -১৫ এর ৭০০ কিমি, একে সাগরিকাও বলা হয়। কে-৪ এর রেঞ্জ ৩৫০০ কিমি, অগ্নি -৩ মিসাইলের উপর বেসড করে এটি তৈরি করা হয়েছে। কে-৫ ও কে-৬ নামে আরও দুটি সাবমেরিন লঞ্চড ব্যালেস্টিক মিসাইল তৈরির কাজ চলছে যাদের রেঞ্জ যথাক্রমে ৫০০০ ও ৬০০০ কিলোমিটার।
ভারত ইতিমধ্যে সমুদ্র থেকে পরমানু ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জন্য দুটি নিউক্লিয়ার এসএসবিএন সাবমেরিন তৈরি করেছে যার নাম আইএনএস আরিহান্ট ও আইএনএস অরিদমন। এছাড়াও তৃতীয় এসএসবিএন এস ৪ লঞ্চ হয়ে গেছে। এই ক্লাসের আরও তিনটি এসএসবিএন তৈরি হবে। এই সমস্ত এসএসবিএন কে সিরিজ মিসাইল বহন করতে সক্ষম। সুকন্যা ক্লাস পেট্রোল ভেসেল আইএনএস সুভাদ্রা ও রাজপুত ক্লাস ডেস্ট্রয়ার গুলো এই ধনুশ ব্যালিস্টিক মিসাইল বহন করে।
এবার ধরুন ভারতের সাথে পাকিস্তান বা চীনের যুদ্ধ লেগেছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে এসেছে যে নিউক্লিয়ার ওয়েপনস ব্যবহার করতেই হবে। তখন কিন্তু স্ট্রাটেজিক ফোর্সেস কম্যান্ড নিজের ইচ্ছেমত পরমানু বোম্ব ব্যবহার করতে পারবে না, তার জন্য একটি চেইন প্রসেস আছে। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী আদেশ দেবে এনএসএ কে, এনএসএ নির্দেশ দেবে চীফ অফ স্টাফ কমিটি কে, চীফ অফ স্টাফ আদেশ দেবে স্ট্রাটেজিক ফোর্সেস কম্যান্ডের প্রধান কে। এবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে অর্ডার পাবার পর পরমানু অস্ত্রের ব্যবহার। পরমানু অস্ত্র কে ডি মেটেড স্টেটে রাখা হয় যার অর্থ আন অ্যাসেম্বলড অবস্থায় সোজা কথা বিভিন্ন পার্টে ভাগ করে রাখা হয়। এমন করা হয় কারন সিকিউরিটির জন্য যাতে কেউ ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরমানু অস্ত্র ব্যবহার করতে না পারে। মনে করুন একটি পরমাণু অস্ত্রের পাচটি পার্ট রয়েছে প্রত্যেক পার্টের দায়িত্ব আলাদা আলদা টিমের দায়িত্বে থাকে কেউ কারও সম্পর্কে জানতে পারে না। এবার প্রশ্ন আসে নিউক্লিয়ার ওয়েপনস তাহলে ব্যবহার কর হয় কীভাবে??? দেখুন এর ব্যাপারে কোন তথ্য প্রকাশ করা হয় না। ডিফেন্স সায়েন্টিস্ট, স্ট্রাটেজিক অ্যানালিস্ট দের ধারনা অনুযায়ী নিউক্লিয়ার ওয়েপনস এর প্রধান অংশ রেডিও অ্যক্টিভ পদার্থ যা বিস্ফোরণ ঘটায় ধরুন ইউরেনিয়াম বা থোরিয়াম রাখা থাকে অ্যাটমিল রিসার্চ সেন্টারের কাছে। নিউক্লিয়ার মিসাইলের ট্রিগার বা মেন সুইচ থাকে ডিআরডিও এর কাছে। ডিআরডিওই মিসাইলের সাথে পরমানু বোম্ব কে যুক্ত করে। সেনাবাহিনী সেই মিসাইল কে লঞ্চিং প্যাডে নিয়ে যায়। এই পুরো পক্রিয়া সম্পন্ন হতে ১-২ ঘন্টা সময় লাগে। অর্থাৎ একবার প্রধানমন্ত্রী আদেশ দিলে ভারত ১-২ ঘন্টার মধ্যে পরমানু হামলা করতে সক্ষম।
এবার ধরুন কোন কারনে ভারতে পরমানু হামলা হল, সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ লোকেরা মারা গেল। এমনকী ল্যান্ড ও যুদ্ধবিমান থেকে পরমানু বোম্ব ফেলার সমস্ত সক্ষমতা শত্রু নষ্ট হয়ে গেল তখন কী হবে। এই সময়ই কাজে আসে এসএসবিএন সাবমেরিন। এই সব সাবমেরিন গভীর সমুদ্রে থাকে। সাবমেরিনের কমান্ডার চীফ অফ স্টাফ কে সিগন্যাল পাঠাবে। কয়েকবার সিগন্যাল পাঠাবার পর যদি কোন উত্তর না পাওয়া যায়। সেই সাবমেরিনের কমান্ডার নিজে থেকেই পরমানু অস্ত্র প্রয়োগের আদেশ দিয়ে দেয়। এর জন্য নিউক্লিয়ার সাবমেরিনের কমান্ডার দের পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যাক্তি বলা হয়।