ডিফেন্স

‘অপারেশন বিজয়’। কার্গিলের আকাশ ছেয়ে গিয়েছিল যুদ্ধবিমানের ধোঁয়ায়। জানুন বিস্তারিত

নিউজ ডেস্কঃ ইতিহাসের পাতা উল্টালে যেন এখনও উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো জল জল করে কার্গিল যুদ্ধ।এই যুদ্ধে উজ্জ্বল নক্ষত্র হল আমাদের দেশের জওয়ানরা।যারা অতি সাহসিকতার সাথে মৃত্যুকে পরোয়া না করে এই দেশের মাটিকে রক্ষা করতে চালিয়ে গেছে দু মাস ব্যাপী যুদ্ধ। অবশেষে শত্রুদের হাত থেকে বিজয়ের পতাকা কেড়ে নেয় ভারতীয় সেনারা।ওই যুদ্ধে ভারতের জয় হলেও হারাতে হয়েছিল ভারতের বীর জওয়ানদের।তাই ২২ বছর পার হয়ে গেলেও এই কার্গিল যুদ্ধের ইতিহাস আজও যেন ইতিহাসের পাতায় জল জল করে।তাই আরও একবার ইতিহাসের পাতা উল্টে জেনে নিন যে কি হয়েছিল সেদিন? তার সাথে আরও কিছু অজানা তথ্য জেনে নিন। ওই সময়  কাশ্মীরের সীমান্ত পেরিয়ে দেশের ভূখণ্ডে পা দেয় পাকিস্তানি সেনারা।তাদেরকে কড়া জবাব দিতে শুরু হয়  ভারতীয় সেনাদের অভিযান ‘অপারেশন বিজয়’।দেশকে রক্ষা করতে সারা জায়গায় ছড়িয়ে পরে সেনারা।

শুধু দেশের মাটিতেই নয় আকাশ পথেও অভিযান চালায় ভারতীয় বায়ুসেনারা।আর ভারতীয় বায়ুসেনাদের চালানো এই অপারেশনের নাম ছিল  ‘অপারেশন সফেদ সাগর’।আকাশ পথ থেকে ভূখণ্ড সব জায়গায় শত্রুদের পরাজিত করতে ভারতীয় সেনারা তাদের যুদ্ধ চালিয়ে গেছে।যাতে পিছু হঠতে বাধ্য হয় পাক সেনারা। আর এই যুদ্ধে নিজের প্রানের পরোয়া না করে শত্রুপক্ষের দিকে এগিয়ে যান মেজর এম সারাভানন। যিনি  বাটালিক সেক্টরে শত্রুদের মারার জন্য গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে নিজের নিরাপত্তার কথা ভুলে যান যার ফলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরন করতে তাঁকে। মেজর এম সারাভানন যিনি বাতালিক সেক্টরে পয়েন্ট ৪২৬৮ জয় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন।

শুধু  মেজর এম সারাভানন নন সাথে  ৫২৭ জন বীর ভারতীয় সেনা জওয়ানও শহিদ হন এই যুদ্ধে।তাই এই যুদ্ধের ভারতীয়সেনা পাকিস্তানের সেনাদের পরাজিত করলেও আমাদের দেশকে হারাতে হয়েছিল বহু ভারতীয় সেনাদের প্রান।এই বীর সেনা জওয়ানরা  নিজেদের রক্ত দিতে বিজয়ে পতাকা তুলে দিয়েছে দেশের হাতে।তারা শুধু পাকিস্তানি সেনা জওয়ানদের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ  করেন নি তার সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হয়েছিল প্রবল ঠান্ডার বিরুদ্ধেও।কারন কার্গিল যুদ্ধের সময়ে বেশ কিছু অঞ্চলের তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা কোনও কোনও ক্ষেত্রে আরও কম।তবে এই শীতল আবহাওয়া জাওয়ানদের কাবু করতে পারে নি উল্টে এই শীতল আবহাওয়াকে জাওয়ানরা কাবু করে চালিয়ে গেছে তাদের যুদ্ধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *