ডিফেন্স

আমেরিকা ভারতবর্ষকে অত্যাধুনিক টেকনোলোজি না দিলেও কোন দেশের থেকে পরমাণু সাবমেরিনের অত্যাধুনিক টেকনোলোজি পেতে চলেছে ভারতবর্ষ?

নিউজ ডেস্কঃ আন্তর্জাতিক সমীকরণ বদলাতে সময় লাগেনা। কখন কিভাবে বদলে যাবে তা কেউই বলতে পারেনা। ঠিক যেমনটা দেখা যাচ্ছে ফ্রান্স এবং আমেরিকার মধ্যে। কারন কিছুদিন আগেই ফ্রান্সের থেকে ৬০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি ছিনিয়ে নিয়েছে আমেরিকা। আর তার ফলেই বেশ চটেছে ফ্রান্স। তবে এখন সময়ের সঠিক ব্যবহার করে এর সুবিধা নেওয়া দরকার ভারতবর্ষের।

আমেরিকার প্রতিরক্ষা দপ্তরের এক কর্তা জানিয়ে দেয় যে আমেরিকা ভারতবর্ষকে পরমাণু চুল্লি তৈরির ব্যাপারে সাহায্য করবেনা। এর প্রধান কারন হল এটি একটি বিরাট জটিল প্রক্রিয়া।

আসলে পরমাণু চুল্লী বা নিউক্লীয়ার রিএ্যক্টর নির্মানে SSN এর রিএ্যক্টর হল সব থেকে জটিল কাজ। এই রিএ্যক্টরটি অত্যন্ত ছোট হলেও ভীষণ শক্তিশালী।পাশাপাশি এমন ভাবে ডিজাইন করতে হয় যাতে রেডিয়েশান খারাপ থেকে খারাপ হলেও যাতে লিক না হয়ে যায়।

আর এই ক্ষেত্রে আমেরিকা সবার ওপরে। আর আমেরিকার পরেই রয়েছে ব্রীটেন এবং ফ্রান্সের মত দেশ। ব্রীটেন আর ফ্রান্সের SSN এতটাই স্টেলথ ক্ষমতা সম্পন্ন যে একবার একে অপরের সাথে ধাক্কা খেয়েছিল মাঝ সমূদ্রে। আর এত কাছে এসে ধাক্কা খাওয়ার আগে পর্যন্ত তারা তাদের প্যসিভ সোনারে তারা শনাক্ত করতে পারে নি। বর্তমানে আরও উন্নত প্রযুক্তির SSN রয়েছে সার্ভিসে যা বারাকুডা ক্লাস নামে ডাকা হয়। অস্ট্রেলিয়া এরই কনভেনশেনাল ভার্সান চেয়েছিল যাতে স্টেল্থ ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পায়। কনভেনশেনাল সাবমেরিন বেশি স্টেলথ ক্ষমতা সম্পন্ন হয়ে থাকে। আর সেই কারনে ফ্রান্স এবং অস্ট্রেলিয়ার চুক্তি $৬০বিলিয়ন হয়নি। এই সাবমেরিন গুলি SSN(সাবমারশিবেল শিপ নিউক্লিয়ার) এর মত দ্রুতগামী না হলেও SSN এর মত রেঞ্জও অথবা এন্ডিউরেন্স (জলের তলায় দীর্ঘক্ষণ থাকার ক্ষমতা) হত না। কিন্তু এই সাবমেরিন গুলি যত দিন জলের তলায় থাকে ততসময় এদের প্যসিভ সোনার দিয়ে শনাক্ত করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।

বর্তমানে ফ্রান্স ভারতকে এই টেকনোলোজি দেওয়ার জন্য বসে রয়েছে। ভারতবর্ষের এটা একটা বিরাট বড় সুযোগ। স্টেল্থের দিক থেকে ফ্রেঞ্চ ডিজাইন একদম আমেরিকার মতনই। যদি রিএ্যক্টর প্রযুক্তি একটু আলাদা হয়ে থাকে। ভারতবর্ষ ফ্রান্সের  সাথে এই চুক্তি করতে পারলে যথেষ্ট লাভবান হবে। আসলে নৌবাহিনীর মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ পরমাণু চুল্লি নির্মানে ফ্রান্সের সাহায্য। 

ফ্রান্সের সাথে আমেরিকার সম্পর্ক খারাপ হওয়ার ফলে বর্তমানে সবথেকে বেশি খুশি ভারত। ভারত যদি এই সুযোগ হাত ছাড়া করলে বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হবে ভারতবর্ষ।

৬ টি SSN ভারত ফ্রান্সের সাথে যৌথভাবে তৈরি করলে চীনের পক্ষে ভারত মহাসাগর, এমনকি দঃ চীন সাগর “ডেথ ভ্যলি”তে পরিনত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *