ডিফেন্স

রাশিয়ার তৈরি করা ইঞ্জিন নিয়ে বরাবর প্রশ্ন থাকলেও আমেরিকার পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের থেকেও উন্নত ইঞ্জিন তৈরি করতে চলেছে। জানুন বিস্তারিত

নিউজ ডেস্কঃ রাশিয়ান যুদ্ধবিমানের একটি বড় সমস্যা হল তাদের তৈরি করা ইঞ্জিন। রাশিয়ার যুদ্ধবিমান গুলির ইঞ্জিন নিয়ে যে একাধিক বিতর্ক আছে তা বলাই বাহুল্য। তবে ইঞ্জিনের সমস্যা মেটাতে একাধিক প্রোজেক্টে কাজ করছে রাশিয়া। বিশেষ করে বর্তমানে তারা পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের উপর বিশেষ নজর দিয়েছে। কারন বিশ্ব সামরিক বাজারে তারা তাদের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান বিক্রি করতে বিশেষভাবে আগ্রহী। 

রাশিয়া তাদের izd30 ইন্জিন ডেডিকেটেড পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের জন্য তৈরি করতে চলেছে। এই ইঞ্জিনটি রাশিয়া আমেরিকার পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান F-22 রেপ্টরের F-119 ইন্জিনের থেকেও ভাল বলে জানিয়েছে। বিশেষ করে এই ইঞ্জিনটি রাশিয়া তৈরি করেছে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের জন্য। বর্তমানে রাশিয়া তাদের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান Su-57 এ Su-35 এর AL-41F1 ইন্জিন ব্যবহার করা হয় যা আফটারবার্নার ছাড়াই ১.১ ম্যাক গতি তুলতে সক্ষম। যেখানে আমেরিকার F-22 এর F-119 আফটারবার্নার ছাড়া ১.৮ ম্যাক গতি তুলতে সক্ষম। তবে নতুন izd30 আফটারবার্নার ছাড়াই ম্যাক-২ গতি তুলতে সক্ষম এমনটাই রাশিয়ার দাবি।

তবে রাশিয়ার তৈরি করা ইঞ্জিন নিয়ে বরাবর প্রশ্ন থেকেই যায়। কারন আমেরিকা এখনও পর্যন্ত কয়েকহাজার সিংগেল ইন্জিন F-16 আজ পর্যন্ত তৈরি করেছে কিন্তু রাশিয়া এখনও পর্যন্ত ভালো কোন সিংগেল ইন্জিন যুদ্ধবিমান তৈরি করতে পারেনি (চেকমেট আলাদা, কারন এখনও সার্ভিসে আসেনি) অর্থাৎ একটা কথা পরিষ্কার যে রাশিয়ার ইঞ্জিনের মান কতোটা ভালো। কিছুদিন আগেই রাশিয়ার একটি Su-35 ধ্বংস হয়েছে কারন বিমানের দুটি AL-41 ইন্জিনই নাকী বিকল হয়ে গেছিল। বুঝতেই পারছেন যে  ভারতের তেজস আজ পর্যন্ত ক্রাশ করে নি তার একটা বড় কারন হল এটি আমেরিকার ইন্জিন ব্যবহারের করে। 

তবে রাশিয়া যত যাই বলুক তাদের ইন্জিন কোয়ালিটি সবাই জানে। আমেরিকা কয়েকহাজার সিংগেল ইন্জিন F-16 আজ পর্যন্ত তৈরি করেছে কিন্তু রাশিয়া আজ পর্যন্ত কোন সিংগেল ইন্জিন ফাইটার জেট তৈরি করল না (চেকমেট আলাদা) এখানেই বোঝা যাচ্ছে কার ইন্জিন বেশী ভাল। ২ দিন আগেই রাশিয়ার একটি Su-35 ক্রাশ করেছে কারন বিমানের দুটি AL-41 ইন্জিনই নাকী বিকল হয়ে গেছিল!!! তাহলেই ভাবুন। ভারতের তেজস আজ পর্যন্ত ক্রাশ করে নি তার একটা বড় কারন আমেরিকার ইন্জিন ব্যবহারের জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *