ডিফেন্স

৫০০০ কিমি/ঘণ্টার গতিবেগে ১০০ কিমি ওপর থেকে হামলা করতে সক্ষম। আমেরিকার যে মিসাইলের কারনে ঘুম উড়েছে রাশিয়ার

নিউজ ডেস্কঃ আমেরিকার হাতে থাকা যুদ্ধবিমান গুলি যেকোনো সময় সারা পৃথিবীর ঘুম কেড়ে নিতে পারে। আসলে তাদের হাতে থাকা যুদ্ধবিমান গুলির এতো ক্ষমতা থাকার পেছনে সবথকে বড় ব্যাপার হল তাদের হাতে থাকা একাধিক অত্যাধুনিক ভয়ঙ্কর মিসাইল। যা তাদের যুদ্ধবিমান গুলিকে আরও বিধ্বংসী করে তোলে।

AIM-120 C

আমেরিকার হাতে থাকা সবথেকে বিধ্বংসী মিসাইল গুলির মধ্যে একটি। এটি আসলে একটি বিভিআর(বিয়ন্ড ভিসুয়াল রেঞ্জ) মিসাইল টি এয়ার এয়ার অর্থাৎ বায়ু থেকে বায়ুতে আক্রমণ করতে সক্ষম। মিসাইলটি আমেরিকার বিমানবাহিনী ছাড়াও আমেরিকার নৌসেনা এবং ২৫ টি দেশ ব্যবহার করে। মিসাইলটি সার্ভিসে আসার পর থেকে একাধিকবার আপগ্রেড করা হয়েছে এবং নতুন বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা হয়েছ। AIM-120 C6 এ যুক্ত হয়েছে ইমপ্রুভ ফিউজ বা ডিটেকশন ডিভাইস। আবার AIM-120 C7 এর হোমিং এবং রেঞ্জের ব‍্যাপক উন্নতি করা হয়েছে।

আমেরিকার হাতে থাকা এই মিসাইলটিকে চার ভাগে ভাগ করা যায়। গাইডেন্স ,ওয়ারহেড,প্রোপালশন এবং কনট্রোল সিস্টেম। মিসাইলটির হোম অন জ্যামিং ক্ষমতা রয়েছে। এটি ৫০০০ কিমি/ঘণ্টার গতিবেগে ১০০ কিমি ওপর থেকে হামলা করতে সক্ষম। পাশাপাশি এই মিসাইলের ওজন কম (১২৫ কেজি) হওয়ার কারনে যুদ্ধবিমানের ব্যবহার করতে সুবিধা হয়।

 AIM-120 C এর ছোট  কনট্রোল সার্ফেস থাকার ফলে এটি আমেরিকার পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান F-22 এর যুদ্ধবিমানের একটি আদর্শ পেলোড।এটি লঞ্চের আগে যুদ্ধবিমানের রাডারে থাকা টার্গেট সম্পর্কে অবগত হয়ে যায় ।তবে অনবোর্ড অ্যাক্টিভ রাডার এবং সাথে ইন্টারনাল নেভীগেশন সিস্টেম মিসাইলটিকে যুদ্ধবিমানের রাডার এবং ডাটা লিংকের ব‍্যাবহার কম করায় ।একবার মিসাইলটি এর সেলফ হোমিং দূরত্বে চলে এলে ,তখন জেটের ফায়ারকন্ট্রোল রাডারের কোন সাহায্যে আর দরকার হয়না, তখন মিসাইলটি নিজের অ্যাক্টিভ গাইডেন্স দিয়ে টার্গেটকে খুজে বের করে নিতে সক্ষম হয়।এই বৈশিষ্ট্য মীসাইলকে ফায়ার এন্ড ফরগোট মুড দেয় ,ফলে পইলট সহজেই মাল্টিপল টার্গেট ধংস করতে পারে।

বর্তমানে এই মিসাইল একাধিক দেশের F-16,F-15,F-18, আমেরিয়াক্র পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান F-22,F-35 ,ইউরোপের টাইফুন ,সুইডেনের গ্রিপেন এর মতো আধুনিক যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *