দেশ স্বাধিনের সময় ২৫ দিন গান্ধীজী কলকাতায় কাটিয়েছিলেন। কিন্তু কেন?
নিউজ ডেস্কঃ ভারতবর্ষকে স্বাধীন করার জন্যে অনেক বীরযোদ্ধারাই এগিয়ে এসেছিলেন।এবং দেশের জন্য শহিদও হয়েছেন।তাই তাদের কৃতিত্ব তো ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।অনেক বীরযোদ্ধা দেশের জন্য শহিদ হয়ে অমর হয়েছেন আবার অনেক বীরযোদ্ধা দেশের যুদ্ধে শহিদ না হয়েও অমর হয়ে রয়েছে মানুষের হৃদয়ে।আর এই বীরযোদ্ধাদের মধ্যে একজন হলেন গান্ধীজী যিনি দেশের জন্য রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ না করলেও তার দেশের প্রতি অবদান কিছু কম নয়।তিনি অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে তার দেশের জন্য যুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছিলেন।আর এইসব কাজ গান্ধীজী অমর করে রেখেছেন আমাদের হৃদয়ে।যিনি দেশের জন্য এত কিছু করলেন তিনি কেন দেশ প্রথম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের দিন উপস্থিত ছিলেন না এবং তিনি সেই দিন কোথায় ছিলেন?
কলকাতায় দাঙ্গা বন্ধের অভিপ্রায়ে গান্ধীজি ১৯৪৭ সালের ১২ আগস্ট তার ভবনে এসেছিলেন । তখন সেই ভবনটির নাম ছিল হায়দরি মঞ্জিল। তিনি তার ভবনে ১২ আগস্ট থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ ২৫ দিন ছিলেন।স্বাধীনতা লাভের পর কলকাতায় সাময়িকভাবে দাঙ্গা থামলেও দিন কয়েকের মধ্যেই তা ফের ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছিল।আর এই দাঙ্গা বন্ধের জন্য ১ সেপ্টেম্বর গান্ধীজী তার ভবন হায়দরি মঞ্জিলে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসেছিলেন।এরপর প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ, শরৎচন্দ্র বসু, সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, হেমচন্দ্র নস্কর, নির্মলচন্দ্র চ্যাটার্জি, এইচ এস সুরাবর্দি, যুগলচন্দ্র ঘোষেদের লিখিত আশ্বাসের পরেই ৪ সেপ্টেম্বর ৭৩ ঘন্টার অনশন ভেঙেছিলেন গান্ধিজী। তাই গান্ধীজী এই দাঙ্গার বন্ধের জন্য তার ভবনে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছিলেন।আর এই কারনের জন্য ১৫ আগস্টের দিন স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে অংশ নিতে পারেন নি।