ডিফেন্স

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নজর রাখতে ৮৪০ কিমি এলাকা জুড়ে বসানো হচ্ছে ইলেকট্রিফায়েড কোবরা তার। কি বিশেষ কাজ করবে এই তার?

নিজস্ব সংবাদদাতা:ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক ঝামেলা বহুদিনের ঘটনা। বহু বছর ধরে বহু আলোচনার পর ও ভারত- পাক সীমান্তে উত্তেজনা কমার নেই কোনো লক্ষণ। ভারতের তরফ থেকে বার বার শান্তির বার্তা পাঠানো হলেও প্রত্যুত্তরে পাকিস্তানের তরফ থেকে এসেছে কেবল উস্কানি। পাকিস্তানের তরফ থেকে সীমান্তে প্রায়ই গুলি চালানোর মত ঘটনা ঘটে। এছাড়া পাকিস্তান থেকে কাশ্মীরে ক্রমাগত জঙ্গি অনুপ্রবেশ তো জারি রয়েছেই এখনও। সূত্রের খবর এর পেছনেও রয়েছে পাক সেনাবাহিনীর হাত। কার্যত পাক সেনাবাহিনীর  ঘেরটোপেই সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গীরা ভারতের মাটিতে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। আর তাই, সীমান্তে ভারতীয় বাহিনীকে থাকতে হয় সদা সতর্ক। এই সমস্ত দিক বিবেচনা করেই  সম্প্রতি আরও কড়া হচ্ছে সীমান্তের নজরদারি৷ অনুপ্রবেশ, জঙ্গি হামলা, আন্তর্জাতিক পথে চোরাচালান ঠেকাতে বদ্ধ পরিকর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আর তাই সীমান্তে কড়া পাহারা দেওয়ার  সাথে রাজস্থান লাগোয়া ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে রয়েছে অত্যাধুনিক বৈদ্যুতিক তার যার মধ্যে দিয়ে সব সময় প্রবাহিত হবে বিদ্যুৎ৷

শোনা যাচ্ছে ৮৪০ কিমি এলাকা জুড়ে বসানো হবে এই ইলেকট্রিফায়েড কোবরা তার। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জঙ্গি অনুপ্রবেশ রুখতে বিএসএফের কড়া টহলদারি ও সঙ্গে কোবরা তার দিয়ে গোটা সীমান্তবর্তী এলাকা সিল করে দেওয়া হবে।বিএসএফের তরফ জানানো হয়েছে এই তার এতটাই শক্তিশালী যে তার কাটতে গেলে বা পেরোতে গেলে যে কেউ সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হবেন। শুধু তাই নয়, আধিকারিক দের সতর্ক করতে সঙ্গে সঙ্গে বেজে উঠবে অ্যালার্ম ও জ্বলে উঠবে বিশেষ আলো৷ ফলে, শব্দের উৎস ধরে তল্লাশি চালাতে ও দ্রুত অপরাধীকে ধরে ফেলা খুবই সহজ হয়ে উঠবে। এক কথায় একবার এই তার এ জড়ালে ভারতীয় সেনার চোখ এড়িয়ে পালিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব। নতুন এই প্রস্তুতি ভারতীয় সেনাদের মনোবল বাড়াতে পেরেছে বেশ খানিকটা।

প্রথমে ট্রায়াল এর জন্য রাজস্তানে এই সিস্টেম বসানো হলেও অদূর ভবিষ্যতে কাশ্মীরেও এই অত্যাধুনিক তার লাগানো যাচ্ছে। পাশাপাশি, রাখা হবে সিসিটিভি ও অন্যান্য নজরদারির যন্ত্রও৷ তবে, শুধু যে প্রতিবেশী শত্রুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার ই ব্যাবস্থা করা হচ্ছে তা কিন্তু নয়। বিএসএফ ডিআইজি রবি গান্ধীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রচন্ড গরমে রোদের হাত থেকে বাঁচতে ওয়াটার কুলার ও ডিপ ফ্রিজারের ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে সৈন্যদের জন্য৷ এর ফলে রাজস্থানের প্রচন্ড গরম আবহাওয়ায় সব সময় ঠান্ডা জল পাবেন জওয়ানরা। তাছাড়া, খাওয়ার জন্যও থাকছে তাজা ফল ও সবজিও। আশা করা হচ্ছে সদার্থক এই পরিবর্তনের ফল খুব তাড়াতাড়ি ই চোখে পড়বে আমাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *