ডিফেন্স

যেকোন দেশে আল কায়েদার খোজে কমান্ডোরা যেতে পারবেন। এমনই এক বিশেষ ক্ষমতা পেয়েছিল আমেরিকার ডেল্টা ফোর্স এবং গ্রীন ব্যারেটস। কিন্তু কেন?

নিউজ ডেস্কঃ আমেরিকার বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছিল লাদেন। তার জবাব দিতে গিয়েই আমেরিকা পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। যার ফলে এক মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু করে আফগানিস্থানের হিংসা। তবে সারা পৃথিবী জুড়ে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যে লড়াই আমেরিকা শুরু করেছিল তা যে কিছুটা হলেও তারা সাফল্য পেয়েছে তা বলাই বাহুল্য।

বিন লাদেনের নেতৃত্বে ২০০১ সালে আমেরিকাতে হামলা চালিয়েছিল আল কায়দা জঙ্গি সংগঠন। তালিবান শাসিত আফগানিস্থানে লাদেন লুকিয়ে রয়েছে এমন কথা আমেরিকার তরফ থেকে জানানো হয়। তবে তালিবান তা অস্বীকার করে। তবে এর প্রতিক্রিয়া ছিল ভয়ঙ্কর। 

এর ঠিক ২৬ দিন পর অর্থাৎ ৭ অক্টোবর সেইসময় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ আফগানিস্থানে এক বিরাট যুদ্ধ শুরু করেন। সেইরাতেই বিরাট হামলা করে আমেরিকা। তাদের কাছে তথ্য ছিল যে আফগানিস্তান, সোমালিয়া ও ফিলিপাইনে আল কায়েদা রয়েছে। তাই সেইসব দেশের উপকূলের ওপর বিরাট হামলা করে আমেরিকান নৌবাহিনী। পাশাপাশি মিশৌরী এয়ারবেস থেকে অসংখ্য যুদ্ধবিমান উড়ে এসে সাহায্য করে নৌবাহিনীকে।

জঙ্গিদের শেষ করে দিতে সারা পৃথিবী জুড়ে এক বিরাট যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। এরপর আফগানিস্থানে ৮০,০০০মেরিনসেনা মোতায়েন করে আমেরিকা। এই যুদ্ধকে দেখে সৈন্য পাঠাতে শুরু করে ইংল্যান্ড, পোল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং চীন। শুধু তাই নয় এরপর সোমালিয়া এবং ফিলিপাইনে আলকায়দার ডেরায় একের পর এক পদ্দক্ষেপ গ্রহন করা হয়। নেভী সিলস থেকে শুরু করে ডেল্টা ফোর্স এবং গ্রীন ব্যারেটস এই বিশেষ কম্যান্ডোদের এক ক্ষমতা দেন প্রেসিডেন্ট বুশ। তারা যেকোন দেশে আল কায়েদার খোজে কমান্ডোরা যেতে পারবেন।

সেইসময় আমেরিকাকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিল পাকিস্তান। জেনারেল পারভেজ মুশারফ আমেরিকার সেনাদের সাহায্যার্থে মিলিটারী ক্যাম্প ব্যবহার ও রসদ সরবরাহ সংক্রান্ত সব ধরণের সাহায্য করেন। পতন হয় তালেবান সরকারের। উত্তরাঞ্চলীয় জোটকে নেতৃত্ব দিয়ে আফগানিস্তানের ক্ষমতা আসেন হামিদ কারজাই। 

তবে এরপর যুদ্ধ বড় পরিসরে ছড়িয়ে পরে। ২০০৩ সালের ১৯শে মার্চ মেরিন সেনা ও ইউএস এয়ারফোর্স বাগদাদে হামলা শুরু করে। ধীরে ধীরে  সাদ্দাম সরকারের পতন হয়।

লাদেনকে খুঁজে বের করতে আরও তৎপর হয়ে ওঠে আমেরিকা। আমেরিকার নৌসেনা কিউবায় গড়ে তোলে গুয়েন্তানামো কারাগার। এখানে একজন ক্যাপ্টনকে মোতায়েন করে রাখা হত জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য। 

এইসব কিছু টের পাওয়ার পর ওসামা বিন লাদেন শুরুতে তোরাবোরা পাহাড়ে আশ্রয় নেন।কিন্তু সিআইএর দলবলের তৎপরতা টের পেয়ে দেহরক্ষীদের নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যান।

দশ বছর পর অর্থাৎ ২০১১ সালে ২রা মে রাত ১টায়, পাকিস্তানে নিজ বাড়ীতে ২০ জন সহযোগীকে নিয়ে,আমেরিকার নৌবাহিনীর এক দলের হামলায় ওসামা বিন লাদেন নিহত হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *