পৃথিবীর প্রথম সিঙ্গেল ইঞ্জিন পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের কি কি বৈশিষ্ট্য থাকতে চলেছে?
নিউজ ডেস্কঃ ২০২৫ থেকে ২০২৬ এর মধ্যে পৃথিবীর বহু দেশের হাতে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান থাকতে চলেছে। বিশেষ করে এই যুদ্ধবিমান গুলি রেডারকে ফাঁকি দিতে সক্ষম বলে বহু দেশ এই যুদ্ধবিমান ক্রয় করার দিকে ঝুঁকছে। আধুনিক যুদ্ধে বা ভবিষ্যতের যুদ্ধে এই বিমানের চাহিদা বিরাট পরিমাণে বাড়তে চলেছে। আর সেই কারনে এই পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরি করার দিকে ঝুঁকেছে রাশিয়া। সুখই সু ৫৭ এর পর এবার তারা সিঙ্গেল ইঞ্জিনের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান সামনে নিয়ে এসেছে। সুখই এর তৈরি নতুন এই পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের নাম হল “চেকমেট”। অনেক কম খরচ করে এই যুদ্ধবিমান তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে যাতে রক্ষনাবেক্ষন খরচ কম হয় সেই দিকে নজর রেখেই আর কিছু পরিবর্তন করা হতে পারে।
এখনও পর্যন্ত এই যুদ্ধবিমান সম্পর্কে যা তথ্য সামনে এসেছে সকলেরঃ-
এই যুদ্ধবিমান গুলি ক্রয় করতে খুব কম খরচ হবে। প্রতিটি যুদ্ধবিমানের দাম ২৫ থেকে ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে
বর্তমানে এতে সুখই এর পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান সু ৫৭ এর ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। তবে খুব শীঘ্রই Izdeliye 30 পঞ্চম প্রজন্মের ইঞ্জিন চলে আসলে তা পরিবর্তন করা হবে।
পেলোড ক্ষমতা ৭.৫ টন
কমব্যাট রেঞ্জ ১৫০০ কিমি, রেঞ্জ ৩০০০ কিমি
সর্বচ্চ গতিবেগ ম্যাক এর ২ থেকে একটু বেশি অর্থাৎ ২২০০কিমি/ ঘণ্টার আশেপাশে হতে পারে
আগামি ২ বছরের মধ্যে আকাশে দেখা যেতে চলেছে, অর্থাৎ ২০২৩ এ প্রথম ফ্লাইট এবং ২০২৬ এ প্রডাকশানে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
যুদ্ধাস্ত্র হিসাবে থাকতে চলেছে ৩ টি RVV-BD, RVV-MD ও RVV- SD রয়েছে। এছাড়াও KH-38MLE, KH-58USHKE অ্যান্টি রেডার ও KH-59 MK এয়ার টু সারফেস মিসাইল, KH-31PD, kh-35UE, লেজার গাইডেড বোম্ব kab 250LG-E, K08BE, K029BE স্যাটেলাইট গাইডেড এবং S-8, S-13 রকেট বহন করতে সক্ষম।
যুদ্ধবিমানটির AESA রেডার একসাথে ৩০ টি টার্গেটকে শনাক্ত করতে সক্ষম পাশাপাশি ৬ টি টার্গেট কে একসাথে ধ্বংস করে দিতে পারে।
নৌবাহিনীর জন্য এবং UAV ভার্সন ও সামনে আসতে পারে।
এটির অপারেশানাল বা উড্ডয়ন খরচ অনেক কম। আমেরিকার হাতে থাকা এফ ৩৫ এর ৭ ভাগের ১ ভাগ।
সম্ভাব্য ক্রেতা ভারতবর্ষ, ভিয়েতনাম এবং সৌদি আরব।
রাশিয়া খুব কম সময়ের মধ্যে ৩০০ টি যুদ্ধবিমান তৈরি করতে চলেছে।
ভারতের বায়ুসেনার জন্য এটি ভালো অপশান হতে চলেছে। কারন এটির দাম ২৫ থেকে ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ফ্রান্সের রাফালের থেকে অনেকটাই অম। অন্যদিকে এর রক্ষণাবেক্ষণ খরচ ফ্রান্সের রাফালের অর্ধেক। অতয়েব সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে ভারতবর্ষের জন্য এটি ভালো অপশান হতে পারে।