পাইলটবিহীন নতুন প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান তৈরি করেছে তুরস্ক। কত সালে সার্ভিসে নিয়ে আসতে চলেছে তারা?
নিউজ ডেস্কঃ পাকিস্তানের নতুন বন্ধু তুরস্ক। পাকিস্তান নিজে যুদ্ধবিমান বা যুদ্ধজাহাজ তৈরি করতে না পারলেও তুরস্কের কাছ থেকে তা ক্রয় করবে ভবিষ্যতে এমনই বেশ কিছু চুক্তি হয়েছে তাদের। বিশেষ করে রণতরী। পাকিস্তানের জন্য রণতরী তৈরি করছে তুরস্ক। কিছুমাসের মধ্যেই এই রণতরী হাতে আসবে পাকিস্তানের। তবে এবার শুধু যুদ্ধবিমান, ড্রোন না রণতরী নয় পাইলট ছাড়াই যাতে যুদ্ধবিমান সার্ভিসে আনা যায় তার চেষ্টা করছে তুরস্ক।
রাশিয়ার থেকে এস ৪০০ ক্রয় করার জন্য বিরাটভাবে অসুবিধার সম্মুখীন হয় তুরস্ক। কারন রাশিয়ার থেকে এই এয়ার ডিফেন্স ক্রয় করার জন্য আমেরিকা তাদের এফ ৩৫ যুদ্ধবিমান তুরস্ককে বিক্রি করতে অস্বীকার করে, পাশাপাশি একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপায় তাদের উপর। আর তারপরই নতুন যুদ্ধবিমান তৈরি করতে আগ্রহী হয়ে পরে তুরস্ক। আর সেই কারনে তারা পাইলটহীন যুদ্ধবিমান তৈরির কথা ভাবছে। ইতিমধ্যেই তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে এরকমই এক যুদ্ধবিমানের ডিসাইন তৈরি করেছে। এই স্বয়ংক্রিয় যুদ্ধবিমান তৈরির ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়েছে তারা এমনটাই জানিয়েছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান। তাদের ইঞ্জিনিয়ারিং এতোটাই সফলতা এসেছে যে ২০২৩ এর মধ্যে আকাশে দেখা যেতে চলেছে তাদের এই যুদ্ধবিমানকে। তবে সার্ভিসে কবে আসবে তা এখনও জানানো সম্ভব হয়নি।
২০২৩ সালে যে তুরস্কের এই যুদ্ধবিমান সার্ভিসে আসতে চলেছে তা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ছাড়াও তুরস্কের ড্রোন (ইউএভি) এভিয়েশন সিস্টেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বায়কার মাকিনা বায়রাক্তার প্রধান সিলকুক জানিয়েছিলেন। এই যুদ্ধবিমান হাতে আসলে যে তুরস্কের ক্ষমতা বিরাটভাবে বৃদ্ধি পাবে তা বলাই বাহুল্য। এই যুদ্ধবিমান তারা সার্ভিসে আনতে পারলে যুদ্ধবিমান গুলি তারা রপ্তানিও করবে বলে মত সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের।