দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি যুদ্ধবিমানের উৎপাদন শুরু করে দিয়েছে ইরান। গতি কত যুদ্ধবিমান গুলির?
নিউজ ডেস্কঃ ইরানের সাথে আমেরিকার সম্পর্ক আদায় কাঁচকলায় তা কমবেশি সকলেরই জানা সারা পৃথিবীর। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন ইরানের সাথে বেশ ভালই সম্পর্ক ছিল তাদের। এর সেই কারনে তারা আমেরিকার থেকে প্রচুর পরিমানে যুদ্ধাস্ত্র ক্রয় করেছিল। বিশেষ করে আমেরিকার তৈরি যুদ্ধবিমান গুলি এখনও ইরানের বায়ুসেনাতে দেখা যায়। তবে তাদের সম্পর্ক খারাপ হওয়ার পর আমেরিকা ইরানকে আর যুদ্ধবিমান বিক্রি করেনি। এবং সেই কারনে তাদের বায়ুসেনাতে প্রচুর পরিমানে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান দেখা যায়। তবে আমেরিকার যুদ্ধবিমান গুলিকে কপি করে সেইরকম যুদ্ধবিমান তৈরি করার চেষ্টা শুরু করেছে তারা।
দেশীয় প্রযুক্তির ডিসাইন করে তারা এখন যুদ্ধবিমান তৈরি করা শুরু করে দিয়েছে। ইরানের বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আমেরিকা এবং ইরানের মধ্যে ঠাণ্ডা যুদ্ধের সময় থেকেই যুদ্ধবিমান তৈরি করা শুরু করে ইরান।
ইরানের এক অফিসার তাদের যুদ্ধবিমান সম্পর্কে জানাতে গিয়ে বলেন “ ইরানের জন্য প্রয়োজনীয় যুদ্ধবিমান তৈরি করা হচ্ছে যা বায়ুসেনাকে দেওয়া হচ্ছে, এবং তারা এমন যুদ্ধবিমান তৈরি করছে যাতে সেই বিমান গুলি ক্ষেপণাস্ত্র এবং বম্ব বহন করার পাশাপাশি স্বল্প পাল্লার এরিয়াল সার্পোট মিশনে যেত পারে। তবে ইরানের তৈরি এই নতুন যুদ্ধবিমান আমেরিকার ১৯৬০ সালের তৈরি এফ ৫ যুদ্ধবিমানের কার্বন কপি। আসলে শুধু আমেরিকার একটি বিমান মোট তিনটি যুদ্ধবিমান থেকে ধারনা নিয়ে এই যুদ্ধবিমান তৈরি করেছে ইরান। যুদ্ধবিমানটির নাম কউসার।
ইরানের হাতে যুদ্ধবিমানের সংখ্যা কম থাকলেও দেশটি মাঝে মধ্যেই হামলা চালাতে এই বিমান গুলি ব্যবহার করে থাকে। তবে বলা বাহুল্য যে এখন তারা রাশিয়ার থেকে ক্রয় করা বা আমেরিকার তৈরি পুরনো যুদ্ধবিমান গুলি ব্যবহার করছে যা ১৯৭৯ সালের আগে ক্রয় করা হয়েছিল। একটা সময় সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদকে ক্ষমতায় রেখে দিতে যুদ্ধবিমান, অস্ত্র এবং কয়েক হাজার সেনা পাঠিয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে কাহের ৩১৩ নামের একটি দেশীয় যুদ্ধবিমান তৈরি করেছিল ইরান। তবে ক্ষমতা নিয়ে নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন কিছু বিশেষজ্ঞ।
সদ্য তৈরি করা এই যুদ্ধবিমানটি ২০১৮ সালে সার্ভিসে আসলেও তারা কত গুলি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে বা কত গুলি যুদ্ধবিমান তাদের সার্ভিসে রয়েছে সে সম্পর্কে বেশি কিছু জানায়নি তারা। তবে ৪ থেকে ৫ টি এই গোত্রের যুদ্ধবিমান তাদের হাতে আছে বলে মনে করেন সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
যুদ্ধবিমানটি ৩০০০ কেজি যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে ১৫০০কিমি/ ঘণ্টার গতিবেগে উড়তে সক্ষম বলে মত আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের।