ডিফেন্স

রাশিয়ার বেশিরভাগ ইঞ্জিনই ভরসা যোগ্য নয়, তবুও কেন ভারতবর্ষের সাথে যুদ্ধবিমান তৈরি করতে চাইছে পুতিনের দেশ?

নিউজ ডেস্কঃ রাশিয়া এবং ভারতবর্ষের বন্ধুত্ব যে কতোটা গভীর তা আর নতুন করে বলার নেই। এমন একটা সময় ছিল যখন ভারতের জন্য সারা পৃথিবীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে রাজি ছিল রাশিয়া। অতয়েব রাশিয়াকে নিয়ে নতুন করে আর কিছু বলার নেই। আজও ভারতবর্ষের বেশিরভাগ যুদ্ধাস্ত্র রাশিয়ার। তবে সম্প্রতি রাশিয়ার আরও এক যুদ্ধবিমান তৈরি করতে চলেছে ভারতবর্ষকে সাথে নিয়ে। কারন রাশিয়ার পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান থেকে ভারত মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার পর থেকে তারা এক নতুন সিদ্ধান্ত নেয়। সিঙ্গেল ইঞ্জিন বিশিষ্ট এবং স্টেলথ ক্ষমতা সম্পন্ন যুদ্ধবিমান তৈরি করতে চায়, তবে রাশিয়ার স্টেলথ প্রযুক্তি খুব একটা ভালো নয় বলে মত সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

রাশিয়ার নেই নতুন যুদ্ধবিমান মান ভালো হবে এবং রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কম করতে চলেছে পাশাপাশি যাতে ইঞ্জিন বেশি পরিবর্তন না করতে হয়। এবং যুদ্ধবিমান গুলিকে মুলত এয়ার ডিফেন্স এবং গ্রাউন্ডে হামলা করার জন্য ভাবা হয়েছে। ১৮ টনের ওজন নেওয়ার পাশাপাশি ২২০০কিমি/ঘণ্টার গতিবেগে যাতে উড়তে পারে। অর্থাৎ তাদের চিন্তা যে বেশ ভালো তা বলাই বাহুল্য।

রাশিয়ার এই চিন্তা ভাবনা বেশ ভালোই কারন এর ফলে অনেক বেশি যুদ্ধবিমান একটিভ থাকবে একবারে। তবে সমস্যা হল ইঞ্জিনে, কারন রাশিয়ার বেশিরভাগ ইঞ্জিনই ভরসা যোগ্য নয়। আজও রাশিয়ার ইঞ্জিন গুলি ইউরোপের ইঞ্জিনের থেকে অনেক পেছনে রয়েছে। সেই জায়গায় একটা প্রশ্ন থেকেই যায় যে কিভাবে রাশিয়া ভালো মানের ইঞ্জিন তৈরি করবে যার হাই এফিসিয়েন্সি আর কম রক্ষণাবেক্ষণ খরচ থাকবে? এর থেকেও বড় প্রশ্ন অন্য জায়গায় তা হল শত্রুপক্ষের সাথে হাত মেলানো, কারন এখন রাশিয়া, চীন এবং পাকিস্তান একসাথে নতুন যুদ্ধবিমান তৈরি করছে। অর্থাৎ একটা কথা স্পষ্ট যে এই অবস্থায় রাশিয়ার উপর আগামি ৩০ থেকে ৪০ বছর ভরসা করা বেশ চাপের। কারন স্পেয়ার পার্টসের জন্য ভারতকে রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল হতে হবে। ভারত হল রাশিয়ার বাজার আর চীন হল কৌশলগত বন্ধু।

রাশিয়ার এক সামরিক বিশেষজ্ঞের মতে তারা এই যুদ্ধবিমানের দুটি ভার্সন তৈরি করতে চাইছে যেখানে ম্যান্ড এবং আনম্যান্ড অর্থাৎ পাইলট ছাড়াও উড়তে পারবে এই যুদ্ধবিমান। তবে এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার কোনো ভালো কম্ব্যট প্রুভেন এবং মাস প্রোডাক্সানে যাওয়া ড্রোন সার্ভিসে আছে কিনা জানা যায়নি।

ভারত পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান আমকার ড্রোন ভার্সান তৈরি করবে বলে সুত্রের খবর কিন্তু তাতে ফ্রান্স এবং ইসরায়েলের টেকনোলোজি থাকতে চলেছে। তবে এই প্রযুক্তি এখনও রাশিয়া ডেভেলপ করতে পারে নি। অতয়েব সেই বিষয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

রাশিয়ার এক বিশেষজ্ঞের মতে “রাশিয়া বহু বছর ধরেই দুই ইঞ্জিনের যুদ্ধবিমান তৈরি করছে, কিন্তু এক ইঞ্জিন বিশিষ্ট যুদ্ধবিমান বহু মাস বছর বন্ধ রয়েছে। রাশিয়ার প্রধান যুদ্ধবিমান মিগ এবং সুখই প্রচুর পরিমানে একটিভ রয়েছে। তবে ভারতবর্ষ চাইলে নিজস্ব সিঙ্গিল ইঞ্জিন যুদ্ধবিমান তৈরি করতে অথবা রাশিয়ার এই প্রোজেক্টে অংশীদার হতে চায় তবে রাশিয়া প্রস্তুত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *