ইসরায়েল এতদিনে শ্মশান হয়ে যেত
নিউজ ডেস্কঃ ইসরায়েল একাই যে গোটা ইসলামিক বিশ্বের বিরুদ্ধে লড়তে পারে তা একাধিকবার প্রমান পাওয়া গেছে। সিক্স ডে ওয়ারে তারা রীতিমতো ঘুম কেড়ে নিয়েছিল আরবের দেশ গুলির। একাই সাতটি দেশের বিরুদ্ধে লড়তে সক্ষম আর তা একাধিকবার প্রমান পাওয়া গেছে। আর সেই কারনে ইসরায়েলকে রীতিমতো ভয় করে চলে পৃথিবীর বহু দেশ। তবে সম্প্রতি গাজার বিরুদ্ধে তাদের হামলা বা গাজার হামলা তারা যেভাবে রোধ করেছে তা সত্যি আশ্চর্যজনক।
১০ দিন ধরে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে বিরাটভাবে রকেট হামলা এবং বিমান হামলা চালিয়েছিল জঙ্গি সংগঠন হামাস তাতে এতদিনে ইসরায়েল মৃত্যুপুরীতে পরিনত হত। তবে তাদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের জন্য সেভাবে বড় কোন ক্ষতি করতে পারেনি হামাস।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কারনে সেভাবে ক্ষতি করতে পারা যায়নি। আয়রন ডোম অ্যান্টি মিসাইল সিস্টেম। এই মিসাইল সিস্টেম ইসরায়েল তাদের দেশের চারিদিকে মোতায়েন করে রেখেছে।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাস মোট ৪৫০০ রকেট দিয়ে হামলা চালিয়েছিল যেখানে তারা ৯৫ শতাংশ রকেট আকাশেই নষ্ট করে দেয় আর এতো গুলি রকেট হামলা মাত্র ১০ দিন চালায় তারা। মাত্র ৫ শতাংশ রকেট ইসরায়েলের ভূমিতে গিয়ে পরে অর্থাৎ ২০০ রকেট। বাকি রকেট ইসরায়েলের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম আয়রম ডোম নষ্ট করে দিয়েছিল। তবে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয় যে ৫০ টি রকেট তাদের মূল ভূমিতে পড়েছিল।
একবার ভেবে দেখুন যে এর ৫০ শতাংশ অর্থাৎ হাফ রকেট যদি ইসরায়েলের মূল ভূমিতে গিয়ে পড়ত তবে ইসরায়েলের আজ কি অবস্থা হত। অন্যদিকে ইরান এবং রাশিয়ার সমন্বয়ে গড়ে তোলা ডিফেন্স ব্যবস্থাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে পুরো গাজা এবং ফিলিস্থিনিকে প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে। প্রায় ৭০ হাজার ঘর-স্কুল,হাসপাতাল,মসজিদ নষ্ট করে দিয়েছে ইসরায়েল। প্রাণ হারিয়েছে শত শত ফিলিস্থিনির।
পৃথিবীর যে এক বিরাট শক্তিশালি দেশ ইসরায়েলের তা হয়ত আর নতুন করে প্রমান দিতে হবেনা। তাদের বিধ্বংসী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম থেকে শুরু করে আকাশ, জলপথ এবং স্থলপথে অ্যান্টি মিসাইল সিস্টেম একটিভ রয়েছে। আর সেই কারনে ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধে জরানো যে বুদ্ধিমানের কাজ হবেনা তা ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। ইরানের এক বিজ্ঞানী ইয়াসিন ইয়াকুবের জানিয়েছিলেন “ যে যতই ৫৭ মুসলিম দেশ নিয়ে বৈঠক করুক না কেন? আমেরিকা,রাশিয়া পরমানূ বোমার কথা বলুক আমার মনে হয় না এই মহাবিশ্বে ইসরাইলকে ধবংস করার মত শক্তি পৃথিবীর কোন দেশের কাছে রয়েছে এই মুহূর্তে। তাই ইসরাইলের সাথে যুদ্ধে না জড়িয়ে বন্ধুত্ব রেখে চলাই ভালো।