ডিফেন্স

পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে বিধ্বংসী যুদ্ধবিমান। হাতে আসছে অত্যাধুনিক তেজাস। কি কি ক্ষমতা বাড়ছে! দেখেনিন এক ঝলকে

তেজাস। এটি ভারতের ‘হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেড’ আশির দশকে তৈরির কাজ শুরু করে। প্রথমবার এটি আকাশে ওড়ানো হয় ২০০১ সালে। এখন বেশ কিছু এই যুদ্ধবিমান ভারতের বায়ুসেনার হাতে রয়েছে। তেজাস একটি সংস্কৃত শব্দ, যার অর্থ উজ্জ্বল।

৪৫ ফুট লম্বা এই যুদ্ধবিমান ডেল্টা উইং বিশিষ্ট এ বিমানে আছে হ্যান্ডস অন থ্রটল অ্যান্ড স্টিক প্রযুক্তি, ফ্লাই বাই ওয়্যার সিস্টেম এবং ইজরায়েলের বানানো অত্যাধুনিক রাডার সিস্টেম ব্যবহার করেছে।

যেকোনো সময় আকাশযুদ্ধের পক্ষে অত্যন্ত কার্যকরী হতে চলেছে এই যুদ্ধবিমান। পাশাপাশি এয়ার টু সারফেস হামলা চালাতে পারে হামলা চালাতে সক্ষম।

ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য তেজাসের আলাদা একটি সংস্করণ বর্তমানে বানানো হয়েছে। বানানো সম্পন্ন হলে সেটি ভারতীয় ব্রক্ষ্মা ক্রুজ এন জি মিসাইল বহনে সক্ষম হবে।

তেজাস চার হাজার কেজি ভর নিয়ে উড়তে পারে। বিমানটিতে ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার প্রযুক্তি হিসেবে ভারতীয় মায়াবী নামক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।

ডিজাইনের কারণে তেজাস কিছুটা স্টিলথ ঘরানার বিমানের গুণাবলী অর্জন করেছে, অর্থাৎ রাডারে এটিকে সহজে শনাক্ত করা যায় না। তেজাসের গতিবেগ ১.৮ ম্যাক অর্থাৎ ২০০০কিমি/ঘণ্টা গতিবেগে হামলা চালাতে সক্ষম,। রেঞ্জ ৮৫০ কিলোমিটার।

ভারতীয় বিমানবাহিনী অন্তত ২০০ তেজাস নিজেদের বহরে সংযোজনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এবং সবকটি যুদ্ধবিমান ২০২৩ এর মধ্যে হাতে পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারত ইতোমধ্যে এই বিমান রপ্তানীর ব্যাপারে কথাবার্তা শুরু করেছে। প্রত্যেকটি বিমানের নির্মাণব্যয় প্রায় 162(mk 1) কোটি টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *