৩৫০ যুদ্ধবিমান চীনের বিরুদ্ধে সর্বদা মোতায়েন করা আছে। চীনের পঞ্চম প্রজন্মের বিমানকে যেকোনো সময়ে গুঁড়িয়ে দিতে রয়েছে রাফালে
নিউজ ডেস্কঃ রাফালে আসার পর ভারতীয় বায়ুসেনার ক্ষমতা বেড়েছে তা বলাই বাহুল্য। বিশেষ করে চীনের পঞ্চম প্রজন্মের বিমানকে যে ভারতবর্ষ খুব সহজেই টেক্কা দেবে তা বলাই বাহুল্য। পাশাপাশি চীনের এয়ার ডিফেন্সের জন্য এখন হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের রাফালে।
“ রাফাল একটি দুর্দান্ত সিড ডিড প্ল্যর্টফর্ম। যার কাজ চীনের এয়ার ডিফেন্সকে ধ্বংস করা। ভারত একবার এই এয়ার ডিফেন্স গুলিকে ধ্বংস করতে পারলে হোতান, গোন্গার ও লাশান এয়ারবেসের যুদ্ধবিমান গুলি কোনো নিরাপত্তা ছাড়াই ঘুরে বেড়াবে। যা ভারতবর্ষের বায়ুসেনার জন্য সহজ টার্গেট’। হোতান এয়ার বেসের ৭০টি মত ফাইটার আর ২৬টি লোশান এয়ার বেসের ফাইটার রয়েছে যা বায়ুসেনার কাছে উন্মুক্ত টার্গেট। ভারতীয় বিমানবাহিনীর ৩৫০ যুদ্ধবিমান চীনের বিরুদ্ধে মোতায়েন করা আছে।”
জে-২০ এর সাথে রাফালের তুলনা করতে চাইলে প্রাক্তন এয়ার চিফ মার্শাল ইতিমধ্যে জানিয়েছেন “ চীনের সব থেকে শক্তিশালী ফাইটার জে-২০ এর বিরুদ্ধে রাফাল ও সুখোই যথেষ্ট কার্যকরী। ভারতীয় বিমানবাহিনীর মূল হুমকি হল চীনের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। যদি চীনের বিমান অতই ভালো হয় তবে ২৭শে ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান কেন এফ-১৬ কে বেছে ছিল ভারতের নানগি টের্কি ব্রীগেটে আক্রমন করার জন্য? মিরাজ ৩ ও ৫ বোম্বার গুলি এইচ ২/৪ বোম্ব লঞ্চ করেছিল সেফ ডিস্টেন্স থেকে আর জেএফ-১৭ তখন তাদের এয়ার কভারেজ দেওয়ার চেষ্টা করছিল। যদি চীনা জিনিস এতই ভালো হয় তবে সুইডেনের এ্যওয়াক্স সেদিন ব্যবহার করেছিল? আর চীনা এ্যওয়াক্সকে সুদূর দক্ষিনে রেখেছিল? কেন পাকিস্তান বারবার চীনের রেডারের বদলে ইউরোপীয়ান স্লেক্স গ্যলেলিও রেডার আর তূর্কির টার্গেটিং পড জেএফ-১৭ তে চাইছে? উত্তরটা খুব স্পষ্ট। চীনের থেকে ভারতবর্ষের মূল সমস্যা তাদের এয়ার ডিফেন্স মিসাইল ও এ্যন্টি এয়ারক্রাফট গান যা তারা আক্সাই চীনে মোতায়েন করেছে। যেগুলো একবার উড়ে গেলে তারা একেবারে সোজা টার্গেট আমাদের জন্য। রাফালে দূর্দান্ত ওয়েপেন কনফিগারেশান রয়েছে। যা টেরেইন মাস্কিং করতে পারে ( স্টোর্ম শ্যডো )। এছাড়া রাফালের পাইলটের কাছে ককপিটে লেভেল-২ এর টেরেইন ম্যপিং সিস্টেম থাকবে। যার ভূল হওয়ার সম্ভাবনা মাত্র ১০মিটার। এর ফলে রাফাল খুব নিচুতে ফ্লাই করতে পারে টার্গেটের ওপর আক্রমণ করার জন্য। এই জন্যই রাফাল এত গেম চেঞ্জার”
এক কথায় প্রাক্তন এয়ার চিফ মার্শাল বুঝিয়েই দিয়েছিলেন যে রাফাল নেওয়ার মূল কারন চীনা ও পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স। রাফাল এয়ার ডিফেন্স ধ্বংস করবে আর তারপর সুখোই এয়ার সুপেরিয়রিটি প্রদান করবে যাতে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আর্মি চীনা এয়ার ফোর্সের ভয় না করে এগিয়ে যেতে পারে।
এর মধ্যে এক বিমান বাহিনীর অফসার বলেন “ চীনা প্রযুক্তি যে শুধু আমেরিকার থেকে অনেক পিছিয়ে তাই নয়। চীনা প্রযুক্তিতে তৈরি অস্ত্র রাশিয়ানদের থেকেও পিছিয়ে। ঠিক কেন দঃ চীন সাগরে চীন রাশিয়ান সুখোই ৩০ এবং সুখোই-৩৫ ব্যবহার করে বলতে পারেন? কারন তারা জানে আমেরিকার বিরুদ্ধে তাদের কোনো জায়গাই নেই। এমনকি তাদের বেশির ভাগ চাইনিজ ফাইটার রুশ সু-২৭ এবং সু-৩০ এর ওপর কপি করে তৈরি। আবার সেগুলোর জন্য রুশ AL 31 F (Su-30) and RD 33 (MiG-29) ইঞ্জিন ব্যবহার করে চীন।