৫০০০ কত গিগাওয়াট শক্তির ইলেকট্রন স্রোত ছাড়তে পারে। কালি কি তাহলে লেজার অস্ত্র?
নিউজ ডেস্কঃ কালি। ভারতের ডিফেন্স লাভাররা এই অস্ত্রের নাম জানেনা এমন খুঁজে পাওয়া বেশ মুশকিল, কারন এই অস্ত্রের ভয় পায় গোটা পৃথিবী। এই অস্ত্রের কারনেই চীন থেকে শুরু করে পাকিস্তান যথেষ্ট সমীহ করে চলে ভারতকে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কালি কি অপারেশানাল? কালি কে নিয়ে রয়েছে একাধিক প্রশ্ন। কিন্তু আজ পর্যন্ত এর সঠিক উত্তর সেভাবে কেউ দিতে পারেনি।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বা আকাশপথে হওয়া যে কোনও আক্রমণকে প্রতিরোধ করতেই এই ‘কালি’ তৈরি করেছে ভারতবর্ষ। শুধু তাই নয় শক্তি বাড়তে বাড়তে ‘কালি’ এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে মহাকাশে ভাসমান কৃত্রিম উপগ্রহকেও খুব সহজে ধ্বংস করতে সময় নেবেনা। সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে ‘কালি’কে নিয়ে জল্পনা অনেকটাই এরকম। লেজার অস্ত্র যেভাবে প্রয়োগ করা হয়, ‘কালি’র ব্যবহারও ঠিক একইরকম। শুধু তাই নয় লেজার অস্ত্রের চেয়েও ভয়ঙ্কর ভারতের তৈরি করা এই ভয়ংকর মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম।
‘কালি’-র পুরো অর্থ হল ‘কিলো অ্যাম্পিয়ার লিনিয়ার ইনজেক্টর’। ভারত অত্যন্ত গোপনে তৈরি করেছে এই অস্ত্র। ১৯৮৫ সালে ‘কালি’ তৈরির কাজ শুরু করে ভারত। প্রথমে এর কর্মক্ষমতা সম্পর্কে খুব বেশি কিছু না জানা গেলেও। শিল্পের প্রয়োজনে ভারত নতুন প্রযুক্তির লিনিয়ার ইনজেক্টর তৈরি করছে বলে জানানো হয়েছিল। তবে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর হাতে কালির অন্তর্ভুক্তি হওয়ার পর সারা পৃথিবীর বেশ কিছু গবেষক চিন্তায় পরে যায়। আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের মতে প্রতিপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্রকে আকাশেই ধ্বংস করার জন্য এই অস্ত্র তৈরি করেছে ভারত। ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রুখতেই ভারতের তৈরি এই ‘কালি’। এই ধরনের উন্নতমানের অস্ত্র প্রায় কোনও দেশের হাতে নেই সারা পৃথিবীর।
আমেরিকা-সহ বেশ কয়েকটি দেশের হাতে লেজার অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে একথা ঠিকই। কিন্তু ভারত লেজার অস্ত্র তৈরির পথে না হেঁটে যে অস্ত্র তৈরি করেছে, তা আরও বেশি বিপদজনক। প্রথমবার কালি ০.৪ গিগাওয়াট শক্তির ইলেকট্রন স্রোত নিয়ে প্রতিপক্ষকে আঘাত করার ক্ষমতা রাখত। তবে একাধিক গবেশনার পর এই অস্ত্রের একাধিক উন্নতির ফলে কালি-৫০০০ বলে যে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে, তা বহুগুণ বেশি শক্তিশালী। বিশেষজ্ঞদের মতে কালি বর্তমানে ৪০ গিগাওয়াট শক্তির ইলেকট্রন স্রোত ছাড়তে পারে।
তবে প্রশ্ন হল ঠিক কিভাবে কাজ করে এই লেজার অস্ত্র? প্রতিপক্ষের কোনও ক্ষেপণাস্ত্র বা যুদ্ধবিমান যদি ভারতের দিকে ধেয়ে আসে তাহলেই তাকে লক্ষ্য করে অসংখ্য ইলেকট্রন কণার তীব্র গতিবেগসম্পন্ন স্রোত ছাড়বে ভারতের এই কালি-৫০০০। এই ইলেকট্রন কণার স্রোত প্রচণ্ড তপ্ত এবং বিদ্যুৎবাহী। সেই তপ্ত কণার স্রোত বা রশ্মি তড়িৎ-চৌম্বকীয় বিকিরণে পরিণত হবে। সেই বিকিরণ মহাকাশে ছড়িয়ে থাকা মাইক্রোওয়েভের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম। ফলে কালি-৫০০০ থেকে নির্গত ইলেকট্রন স্রোত শেষ পর্যন পরিণত হবে মাইক্রোওয়েভ বিকিরণে। এই মাইক্রোওয়েভ বিকিরণ প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে ধ্বংস করবে ভারতের দিকে ছুটে আসা যে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র বা যুদ্ধবিমান গুলিকে। লেজার অস্ত্র দিয়েও ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা যায়। কিন্তু লেজার রশ্মি ক্ষেপণাস্ত্রে আঘাত করে তাতে ছিদ্র তৈরি করে সেটিকে ধ্বংস করে। তবে এই পদ্ধতি সময় সাপেক্ষ। কালি-৫০০০ যে মাইক্রোওয়েভ বিকিরণ ছাড়ে, তা ছুটন্ত ক্ষেপণাস্ত্রের সংস্পর্শে আসার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্রটি ঝলসে যাবে। চোখের নিমেষে আকাশেই ধ্বংস হয়ে যাবে।
ভারতের দুই প্রতিবেশি রাষ্ট্র বেশ চাপে এই কালি ৫০০০ র জন্য। পাকিস্তান তো বটেই, চিনও কালি মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমকে ধ্বংসাত্মক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। শুধু ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে নয়, প্রতিপক্ষের আকাশসীমায় দক্ষতার সাথে হামলা চালাতে পারে ভারতের এই কালি-৫০০০।
বিশেষজ্ঞদের মতে ভারতের কালি-৫০০০-এর উন্নতি ঘটিয়ে এখন “কালি-১০০০০” তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে মহাকাশ গবেষণা সংক্রান্ত বিষয় এবং অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রের প্রয়োগের ক্ষেত্রে ভারতের যে নীতি রয়েছে, তাতে ভারত বিনা কারনে “কালি” র প্রয়োগ করবে না বলে বেশিরভাগ দেশ মনে করে।