পাকিস্তান, চীনের গোয়েন্দারা বিশেষভাবে নজর রাখছে কলকাতাতে
নিউজ ডেস্কঃ পাকিস্তান এবং চীনের গুপ্তচর সংস্থা গুলি অনেক বেশি সক্রিয় ভারতে। বিশেষ করে ভারতবর্ষ এবং পাকিস্তানের মানুষদের এক দেখতে হওয়ার কারনে অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধা নিয়ে থাকে। সোজা কথায় বলতে গেলে এর ফলে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা গুলির খুব সাহায্য হয়ে থাকে। তবে অনেকেরই হয়ত জানা নেই পাকিস্তানের পাশাপাশি ঠিক এরকমই বেশ কিছু কাজ করে যাচ্ছে চীন।
২০১৮ সালে জানুয়ারি মাসের দিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান এবং বেশ কিছু ইন্টেলিজেন্স অফিসার একটা মিটিং করেছিলেন। পাকিস্তান এবং চীনের গুপ্তচর বিভাগ গুলির কাজকর্ম নিয়েই আলোচনা হয়েছিল।
এবিষয়ে দেখা যায় যে পাকিস্তান এবং চীন একই সাথে তাদের কাজকর্ম চালাচ্ছে, এবং তাদের বেশি সক্রিয় দেখা যাচ্ছে গুজরাত, রাজস্থান, পাঞ্জাব এবং পশ্চিমবঙ্গে। আর এই কারনে পাকিস্তানের নাগরিকদের বিশেষ নজরে রাখা, সেই জন্য জারা পাকিস্তান থেকে ভিসা নিয়ে আসছেন ভারতে তাদেরকে বিশেষ নজরদারিতে রাখা।
অপরদিকে চীনের বেশ কিছু মানুষের সম্পর্কেও একাধিক তথ্য উঠে আসে। বিশেষ করে চীনের কিছু মানুষ ভারতবর্ষে রয়েছে বিভিন্ন ছদ্মবেশে। কখনও ছাত্র, কখনও সাংবাদিক, কখনও বা ব্যবসায়ীর রুপে ভারতবর্ষে থেকে চীনের গুপ্তচর সংস্থার হয়ে কাজ করছেন। এবং সবথেকে বড় ব্যাপার হল এই যে ভারতবর্ষের বেশ কিছু সংস্থায় চীনের নাগরিকরা কাজ করছেন, তবে এর থেকেও বড় সমস্যা হল এই যে ২০১৮ সালে এক রিপোর্টে প্রকাশ পায় যে ছত্তিসগড়ে বেশ কিছু চীনা ফার্ম তৈরি হয়েছে।
তবে শুধু বাইরের রাজ্য গুলিতে নয়, পশ্চিমবঙ্গেই একাধিক গোয়েন্দারা কাজ করছে চীনের হয়ে। বিশেষ করে কলকাতার চায়না টাউন এর কিছু চীনা পরিবারে তাঁদের চীন থেকে আসা আত্মীয় স্বজন হঠাৎ করেই স্থানীয় মানুষদের সাথে খুব মেলামেশা শুরু করেছে যা যথেষ্ট সন্দেহজনক।
তবে চীনের হয়ে কাজ করা মানুষদের অভাব রয়েছে আজও। কারন ভারতের উত্তর পূর্বের অধিবাসীদের সাথে চীনের মানুষদের মধ্যে চেহারার মিল থাকলেও সাংস্কৃতিক এবং ভাষার একটা বিরাট অমিল রয়েছে। চীনা ভাষা জানা লোকজন পাওয়া আজ ও একটা বড় বিষয়।
তবে চীনের সাথে পাকিস্তানের বন্ধুত্ব থাকার কারনে ভারতের মাটিতে তাদের গোয়েন্দাগিরি করাটা অনেক বেশি সহজ হয়ে গেছে। পাকিস্তানি দের সাথে ভারতীয় দের চেহারা আর সংস্কৃতি উভয়ের মিল থাকায় আই এস আই এর এসেট দের পক্ষে ভারতীয় সেজে এখানে অপারেট করা বড় কথা নয় আর ইদানীং যে জিনিস টা ভাবাচ্ছে সেটা হল চীন আর পাকিস্তান নিজেদের গুপ্তচর নেটওয়ার্ক শেয়ার করছে। আর তার ফলে আই এস আই এর মাধ্যমে চীনের পক্ষে ভারতের মাটিতে দারিয়ে কাজ করা অনেক সোজা হয়ে গেছে, পাশাপাশি চীনের নিজস্ব নেটওয়ার্ক তো আছেই।