গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকতে নারকেল তেল এবং জল ব্যবহার করার পাশাপাশি এই ১০ কাজ করুন
গর্ভধারণ মেয়েদের সহজাত প্রবৃত্ত।আর এ বিষয়ে প্রথমে জ্ঞান না থাকার ফলে প্রচণ্ড অস্বস্তি ও যন্ত্রণা ও ভোগ করতে হয়।
গর্ভ হবার লক্ষনঃ গর্ভ হলে প্রথমে ঋতু বন্ধ হয়ে যায়, বমি হয়, মুখ দিয়ে পাটি ওঠে, স্তন বড় হয়, স্তনে দুধ আসে ক্রমশ পেটের ভিতর সন্তানের নড়াচড়া টের পাওয়া যায়।
বমিঃ কম বা বেশি হোক গর্ভধারন হলেই প্রায়ই বমি করে থাকে।এই বমি ভাব গর্ভধারণের ১৫-২০ দিন পর থেকেই শুরু করে প্রায় তিন মাস পর্যন্ত চলে।
গর্ভাবস্থায় হিঞ্চে শাকের রস খুবই উপকারি।তাই হিঞ্চে শাকের রস এক চামচ করে তিন বার খেলে বিশেষ উপকার হয়।
এই সময় ওই ব্যাক্তি যে খাদ্য খেতে চাই তাই খেতে দেওয়া ভালো ।তবে কোনোভাবেই যেন আনারস না খায়।এছাড়া লাউ বা কুমড়ো সেদ্ধ খেলে বমির ভাব কমে।
অরুচিঃ গর্ভাবস্থায় অনেকেরই খাবারে অরুচি হয়।খাবার দেখলেই বমি আসে এবং কোন খাবার খেতে ইচ্ছে করে না।
সকাল বেলা অল্প আদা নুন দিয়ে খেলে অরুচি ভাব কেটে যায়।
লাউ পাতা, কুমড়ো পাতা যেগুলি শাক হিসাবে খাই যে কোন একটি কলাপাতায় জড়িয়ে গরম ভাত দিয়ে সেদ্ধ করে নুন তেল দিয়ে ভাতের প্রথমে খেলে ক্ষুধা বৃদ্ধি পায় ও খাবারে রুচি আসে।
স্তনের বোঁটায় ব্যথাঃ গর্ভাবস্থায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্তনের বোঁটায় প্রচণ্ড ব্যথা হয়।স্তনের আগাটি ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে গাওয়া ঘি সামান্য গরম করে ঠাণ্ডা হলে মাখিয়ে রাখলে ব্যথা কমে যায়।
তলপেট কনকন করলেঃ পেটে নারিকেল তেল ও জল দিয়ে হালকা মালিশ করা ও ডাবের জল বা মিছরির শরবত খাওয়া। কোষ্ঠবদ্ধতা থাকলেঃ কোষ্ঠবদ্ধতা থেকে যে কোন মানুষের বিভিন্ন রোগের সূচনা হয়।বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের যদি এই রোগ থাকে তাহলে তাদের নিজেদের শরীর তথা শিশু শরিরেরও নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়।তাই যেতে কোষ্ঠকাঠিন্য না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।তাই প্রতিদিন রাতে শোয়ার আগে এক চামচ হরিতকির গুঁড়ো গরম জলে গুলে খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।