ডিফেন্স

দ্রুত চোখের সামনে থেকে হারিয়ে যেতে পারে। ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলিকে বিধ্বংসী বলা হয় কেন?

নিউজ ডেস্কঃ ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান যুদ্ধবিমান হল সুখই সু ৩০। যুদ্ধবিমানটি যে শত্রুপক্ষের ঘুম কেড়ে নিতে পারে তা বলাই বাহুল্য। সেই কারনে এই যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা পেছনে পরে রয়েছে বহু বছর ধরে। তবে সেভাবে তারা কোনও গোপন নথি হাতে পায়নি এখনও পর্যন্ত। তবে ভেবে দেখুন যে এই বিমান কতোটা গুরুত্বপূর্ণ শত্রুপক্ষের কাছে। তবে শুধু শত্রুপক্ষের কাছেই নয় পৃথিবীর বহু দেশই ভারতের এই যুদ্ধবিমানকে যথেষ্ট সমীহ করে চলে।

রাফালের সাথে এয়ার এক্সার্সাইজে অংশ নেওয়ার জন্য একবার এই সুখই সু ৩০ ফ্রান্সে পাড়ি দিয়েছিল। ফরাসি রাফাল পাইলটরা রীতিমতো অবাক হয়ে গেছিলেন। এক ভারতীয় পাইলট জানতে চায় তারা কি দেখছে? ফরাসি পাইলটদের তরফ থেকে জানানো হয় যে তারা এটা ভেবে অবাক যে এই দৈত্যের মত চেহারার এ্যরোডায়নামিক আনস্টেবিলিটি কিভাবে সম্ভব হয়? সোজা কথায় বলতে গেলে সুখোই পৃথিবীর সব থেকে বড় যুদ্ধবিমান গুলির মধ্যে একটি। যদিও আয়তনের হিসাবে। এতবড় যুদ্ধবিমান হওয়ায় এর ক্ষমতা নিয়ে অনেকেরই অনেক প্রশ্ন রয়েছে। কিন্তু যখন ডগফাইটে সুখোই নামে তখন ম্যনুয়েভারেবিলিটি থাকে দেখার মত।

সেক্ষেত্রে যদিও কিছু অসুবিধাও রয়েছে। বড় হওয়ার অর্থ ভিজিবিলিটি(দেখা যায় বেশি) বেশি হওয়া। সাথে হিট সিগনেচার এবং রেডার সিগনেচার বেশি। মিগ-২১, তেজস ও রাফালের সুবিধা হল যে এরা খুব দ্রুত চোখে পড়ে না। মাঝ আকাশে ডগ ফাইটে চোখ থেকে হারিয়ে যায় দ্রুত। কিন্তু বড় ফাইটার ডগফাইটে সব সময় চোখে চোখে থাকে। এক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে কাউন্টারমেজর নেওয়া বেশ খানিকটা সহজ হয়। তেজস পৃথিবীর সব থেকে ছোট এ্যক্টিভ যুদ্ধবিমান। হাই অলিটিটিউডে আর বেশি গতীতে এই যুদ্ধবিমানের ভিজিবিলিটি কম হওয়ার পাশাপাশি ক্ষমতাও মারাত্মক! এর প্রধান কারন হল এর ডেল্টা উইং। ডেল্টার আসল প্লে গ্রাউন্ড হল হাই অলটিটিউড! যদিও রাফালের Close Coupled Canards আর ডিজিটাল ফ্লাই বাই যুদ্ধের কারনে লো ফ্লাইতে রাফাল দূর্দান্ত ম্যনুয়েভার করতে সক্ষম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *