জলের মধ্যে থেকেই আমেরিকার মূল ভূখণ্ডে আক্রমণ শানাতে পারবে রাশিয়া। কেন এমন টেকনোলজি হাতে রেখেছে রাশিয়া?
নিউজ ডেস্কঃ সামরিক শক্তিতে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর মধ্যে রাশিয়া অন্যতম। ধারাবাহিকভাবে তারা নিজেদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আর তারই জের ধরে এবার সমুদ্রের গভীরে চালাতে একটি ডুবন্ত নিউক্লিয়ার টর্পেডো তৈরি করছে রাশিয়া। বেশ কিছুদিন আগে এমন তথ্যই উঠে এসেছিল পেন্টাগনের রিপোর্টে। যে খবর ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বের মাথা ব্যাথার কারন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের তৈরি একটি রিপোর্টে অন্যান্য দেশের নতুন অস্ত্র ভাণ্ডার সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্ট থেকেই জানা গেছে, রাশিয়া এই ইন্টারকন্টিনেন্টাল, পরমাণু চালিত ও পরমাণু অস্ত্রবাহী, ডুবন্ত ও স্বয়ংক্রিয় টর্পেডো তৈরি করছে। সাধারণ ভাষায় এই ধরনের যুদ্ধযানকে‘স্টেটাস-৬’ আখ্যা দেওয়া হয়। একে ‘ডুমস-ডে ওয়েপন’ বা ধ্বংসের অস্ত্রও বলে থাকেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা।
এ ব্যাপারে মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, রাশিয়া একইসঙ্গে একটি ড্রোনের মত ডিভাইস তৈরি করছে , যা জলের তলায় কাজ করবে। এই ডিভাইস সমুদ্রের তলায় কয়েক হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রেও পৌঁছে যেতে পারে। এমনকি মার্কিন মিলিটারি বেসগুলোকেও টার্গেট করতে পারে বলে মার্কিন অফিসারদের দাবি। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, রাশিয়ায় এই মুহূর্তে ২০০০ নন-স্ট্র্যাটেজিক পরমাণু অস্ত্র রয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে শর্ট রেঞ্জের ব্যালিস্টিক মিসাইল, গ্র্যাভিটি বম্ব ইত্যাদি। বম্বার এয়ারক্রাফটের মাধ্যমে এই বোমাগুলো ব্যবহার করা সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি ডিফেন্স সেক্রেটারি প্যাট্রিক শানাহান জানিয়েছেন, ‘এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রকে পরমাণু অস্ত্র প্রতিরোধের ব্যবস্থা করতে হবে গুরুত্ব দিয়ে , একইসঙ্গে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।