ভারতের হাতে থাকা মোট আট্যাকিং হেলিকপ্টারের সংখ্যা কত? দেখেনিনি এক ঝলকে
নিউজ ডেস্কঃ ভারতের বায়ুসেনা যে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বায়ুসেনার মধ্যে একটি, তার পরিচয় অনেক আগেই পেয়েছে বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশগুলি। যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে এয়ার ক্র্যাফট ক্যারিয়ার, যুদ্ধ জাহাজ, সাবমেরিন, যথেষ্ট পরিমাণে আছে ভারতীয় সেনা বাহিনীর হাতে। ভারতীয় বায়ুসেনাকে প্রতিরোধ করার মতো ক্ষমতা রয়েছে খুব কম দেশেরই। কারন ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে অত্যাধুনিক মানের ফাইটার জেট থেকে শুরু করে হেলিকপ্টার যথে কিছুই কম নেই। অ্যাটাকিং হেলিকপ্টার কম সংখ্যক থাকলেও বাকি হেলিকপ্টার এর সংখ্যা যথেষ্ট। যা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতে শত্রু পক্ষের ঘুম উড়াতে সক্ষম। তবে ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে হেলিকপ্টার কটি? বা এগুলি কতপুরনো? বা কোন দেশ থেকে ক্রয় করা হয়েছে? উত্তরটা অনেকের কাছেই অজানা।
মিল মি ১৭- প্রস্তুতকারী দেশ- রাশিয়া- মোট আছে ১৪৯ টি – ১৯৭৭ সালের হেলিকপ্টার এটি। ভারতীয় সেনাবাহিনী সহ মোট ৬০ টি দেশ এই হেলিকপ্টারটি ব্যাবহার করে।
মিল মি ২৪- প্রস্তুতকারী দেশ- রাশিয়া- সংখ্যা ১৫টি একমাত্র আক্রমণকারী হেলিকপ্টার। ১৯৭২ সাল থেকে ব্যাবহার করা হলেও ভারত সহ মোট ৫০ টি দেশ ব্যাবহার করে।
মিল মি ২৬- রাশিয়া – মোট সংখ্যা ৩টি। ১৯৮৬ সালে প্রথম তৈরি। ভারত ছাড়া ইউক্রেন ও রাশিয়া বায়ুসেনা ব্যবহার করে থাকে।
হাল ধ্রুভ- ভারত – ৭৫ টি। ২০০২ সাল থেকে শুধু মাত্র ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ব্যাবহার করা হয়ে থাকে।
হাল চেতাক- ফ্রান্স – মোট সংখ্যা ৭৬ টি। ১৯৬০ সাল থেকে মোট ৪টি দেশের সেনা বাহিনীতে আছে।
হাল চিতা- ভারত- মোট সংখ্যা ১৬টি। ১৯৭১ সালে প্রথম ব্যাবহার হয়। একমাত্র ভারতীয় সেনা বাহিনীতে আছে।
বয়িং AH-64 – মোট ৬ টি অর্ডার দেওয়া হয়েছে আমেরিকা থেকে। ভারতীয় সেনা বাহিনীতে এখনও আসেনি। তবে ১৯৮৩ সাল থেকে অ্যামেরিকা, ইসরায়েল, ইজিপ্ট ও নেদারল্যান্ড বায়ুসেনা এটি ব্যাবহার করে থাকে।
CH-47 চিনহুক। মোট ১৫ টি অর্ডার দেওয়া হয়েছিল অ্যামেরিকা থেকে। ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে ২ টি এসে পৌঁছেছে। ১৯৬২ সাল থেকে অ্যামেরিকা, জাপান, নেদারল্যান্ড বায়ুসেনায় ব্যবহার করছে।