জলপথে চীনকে চাপে রাখতে নৌবাহিনীর জন্য আসতে পারে বিদ্ধংসি এই যুদ্ধবিমানটি
নিউজ ডেস্কঃ ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য নতুন যুদ্ধবিমান ক্রয় করা হবে তা ইতিমধ্যেই প্রকাশ পেয়েছে। যেখানে রাফালের মতো যুদ্ধবিমানের কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এই টেন্ডারটিতে অংশ নিতে চলেছে আমেরিকার সুপার হর্নেট।
ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য মোট ৫৭ টি ক্যারিয়ার বোর্ন ফাইটার জেট টেন্ডারের একটি পদক্ষেপ সম্পূর্ণ করল আমেরিকান অ্যাভিয়েশন জায়েন্ট বোয়িং।
বোয়িং তাদের সুপার হরনেট ফাইটার জেটকে নিয়ে ‘স্কাই-জাম্প’ টেষ্ট শুরু করেছে। সাধারণত আমেরিকান এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার থেকে EMALS লঞ্চিং এর মাধ্যমে ফাইটার জেটকে টেক-অফ করানো হয়। কিন্তু ভারতীয় এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার গুলিতে রাশিয়ান ডিজাইনের ‘স্কাই-জাম্প’ ডেকের মাধ্যমে এয়ারক্রাফ্টের টেক-অফ করানো হয়। সেই কারনে আমেরিকার সুপার হরনেটকে এই টেষ্ট এ পাস করাটা জরুরী।
বোয়িং, আমেরিকার নৌবাহিনীর সহায়তায় নেভাল এয়ার স্টেশনে একটি স্কাই জাম্প ডেক তৈরী করে সুপার হরনেটের সাথে শর্ট টেক-অফ টেষ্ট করছে। এছাড়াও তারা দেড়শ বারের বেশি ভারতীয় এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ারের ওপর ভিক্তি করে সুপার হরনেটের ফ্লাইট সিমুলেশন সম্পূর্ণ করেছে।
আমেরিকার সুপার হরনেট ছাড়াও,এই টেন্ডারে ফ্রান্সের রাফালে ও প্রতিযোগিতায় রয়েছে।
যুদ্ধবিমানটিকে ১৯৯৫ সালে প্রথমবার আকাশে উড়তে দেখা যায়। এরপর ২০০১ সালে সার্ভিসে আসে। আমেরিকা ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার বিমানবাহিনীতে এই বিমানটিকে দেখা যায়।
৬০ ফুট লম্বা বিমানটির উচ্চতা ১৬ ফুট। ইউং এরিয়া ৫০০ বর্গফুটের।
খালি অবস্থায় এর ওজন ১৪,৫০০ কেজি এবং মোট ২১৩২০ কেজি ওজন নিয়ে উড়তে সক্ষম, অর্থাৎ প্রায় ৭০০০ কেজি যুদ্ধাস্ত্র বহনে সক্ষম এই ধ্বংসাত্মক বিমানটি।
৪০,০০০ ফুট উচ্চতায় এটি প্রায় ২০০০ কিমি/ঘণ্টার গতিবেগে উড়তে সক্ষম অর্থাৎ ম্যাক ১.৬ এর সর্বচ্চ গতি। যদিও সর্বচ্চ ৫০,০০ ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় উড্ডয়ন করতে সক্ষম। পাশাপাশি একবার ফুয়েল বা জ্বালানি নেওয়ার পর ৩৩৩০ কিমি পর্যন্ত যেতে সক্ষম।
রাফালে, ইউরফাইটার টাইফুন, মিগ ২৯, মিগ ৩৩ কে যুদ্ধবিমানের সাথে তুলনা করা হয়ে থাকে।