টেকনোলোজি হস্তান্তর নাকোজ। আমেরিকার সাথে বুঝে বন্ধুত্ব করা উচিৎ
নিউজ ডেস্কঃ আমেরিকার থেকে একাধিক যুদ্ধাস্ত্র ক্রয় করছে ভারত। এবং আমেরিকা এবং ভারতের বন্ধুত্ব যে চোখে পরার মতো তা বলাই বাহুল্য। তবে আমেরিকার সাথে মেশার আগে বেশ কিছু জিনিস সর্বদাই মাথায় রাখা উচিৎ। কারন সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে যা হচ্ছে তা খুবই দুঃখের বিষয়।
দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার যৌথ পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান প্রজেক্ট KAI KF-X তৈরির জন্য চারটি অত্যন্ত জটিল প্রযুক্তি দিতে অস্বীকার করেছে আমেরিকা। যা বেশ চাপের এই মুহূর্তে দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার পক্ষে। এই চারটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি হল এসা রেডার, EO টার্গেটিং পড, ইনফ্রারেড সার্চ এন্ড ট্র্যক সিস্টেম এবং রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি জ্যমার এই চারটি টেকনোলজি আমেরিকা দক্ষিণ কোরিয়া কে দেবে না বলে জানিয়েছে ইতিমধ্যে। মজার ব্যাপার হল যখন দক্ষিণ কোরিয়া F-35A চুক্তি স্বাক্ষর করে তখন লকহিড মার্টিন এই টেকনোলজি ট্রান্সফারের বিষয় রাজি ছিল কিন্তু এখন অস্বীকার করছে।
ভারতের একটি প্রোজেক্ট MMRC2 যেখানে ভারতের দেশীয় যুদ্ধবিমান AMCA কে নেওয়া হবে বলে ভাবা হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হল এটি অনেক দেরি হবে অর্থাৎ প্রথম প্রোটোটাইপ আসতে ২০২৫ বা ২০২৬ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে, আর যুদ্ধবিমানটি তৈরির কাজ শুরু হবে ২০২৯ সালে। আর সেই কারনে অনেক বিশেষজ্ঞের প্রশ্ন যে এতো দেরি না করে বেশ কিছু আমেরিকান যুদ্ধবিমান ক্রয় করা উচিৎ। তবে এখানে একটি প্রশ্ন থেকে যায় দেখুন আমেরিকা আজ যা কোরিয়ার সাথে করল তা আগামিদিনে ভারতের সাথে করবে না কি গ্যারান্টি আছে। এসব ক্রিটিক্যল টেকনোলজি তৈরি করতে সময় লাগে। সুতরাং এটা নিশ্চিত যে আপাতত দক্ষিণ কোরিয়ার পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান পোগ্রাম অনেকটাই পিছিয়ে গেল।