অফবিট

শরীরের দৈর্ঘ্যের ১০৮ গুণ দূরত্ব অতিক্রম বহন করতে সক্ষম মরুভূমির ছোট লাল পিঁপড়ে

নিউজ ডেস্ক – কীটপতঙ্গদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করা হয় পিঁপড়েদের। তবে এই ক্ষুদে প্রাণেও যে গতিবেগ এত সেটির জানলে অবাক হবেন বৈকি। তবে উত্তপ্ত তাপদাহ মধ্যে থেকে নিজের প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ার থেকে বাঁচাতে তৎপর হয় সকল প্রাণী। যাদের মধ্যে এবার বাদ পড়েনি পিঁপড়ে। সকলে দ্রুতগতিতে লাফিয়ে নিরাপদ স্থানে সংকটের হাত থেকে বাঁচার জন্য গেলেও খুদে পিঁপড়েরা তাদের ছোট ছোট পা নিয়ে বড় প্রাণীদের টেক্কা দিতে সমর্থক। তবে এবার মরুভূমির ছোট লাল পিঁপড়ের উপর বিচার বিশ্লেষণ করে বেশ কিছু অবাক তথ্য জানতে পেরেছেন বিশেষজ্ঞরা।

এই অবাক করা তথ্য গুলি সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন সাহারা মরুভূমিতে বিচরণকারী ছোট্ট উজ্জ্বল লাল রঙের পিঁপড়েগুলি সেকেন্ডে ২.৮ ফিট পর্যন্ত যেতে পারে অর্থাৎ সেকেন্ডে তাদের শরীরের দৈর্ঘ্যের ১০৮ গুণ দূরত্ব অতিক্রম করে। যা একজন সুস্থ সবল মানুষের ক্ষেত্রে ঘন্টায় ৪০০ মাইলের সমতূল্য। তবে বৈজ্ঞানিকদের অনুমান মরুভূমির উত্তপ্ত বালিকাময় স্থান থেকে বাঁচতেই দ্রুত গতিতে চলে তারা। ‌

তবে আসুন এবার সবিস্তারে জানানো যাক এই ক্ষুদে অথচ দ্রুতগামী কীটদের সম্পর্কে। এই লাল রংয়ের উজ্জ্বল পিঁপড়েদের দেহ স্পিন্ডল আকৃতির হয়। যেটি তাপ দূরে সরিয়ে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও পিঁপড়েদের দেহে বিশেষ এক ধরণের তিনকোনা চুল রয়েছে যা তাপমাত্রা প্রতিফলিত করে এবং যার ফলে তাদের গায়ের ধাতব রঙ দেখা যায়। তারা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে মরুভূমির পঁচা জীব।

এই সকল পিঁপড়েদের উপর গবেষণা করে জার্মানির উলম বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানী সারাহ পেফার ও তার টিম মেম্বাররা দেখেছেন, প্রতিকূল মরুভূমিতে বেঁচে থাকা ও তার দাবদাহের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে ছোট ছোট তিন জোড়া পা দিয়ে এক সেকেন্ডে অন্তত ৫০ কদম পা ফেলে নির্ধারিত গন্তব্যস্থলে পৌঁছায় তারা‌। দৌড়ানো অবস্থায় বা আরও দ্রুত গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে গেলে মাটিতে কোন রকম পায়ের স্পর্শ না করেই লাফিয়ে লাফিয়ে যায় তারা। তবে এখানেই শেষ নয় বর্তমানে এই সকল পিঁপড়েদের উপর গবেষণা করে  বিবৃতিতে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তবে তাদের ধারণা ভবিষ্যতে এই ছোট লাল পিঁপড়ে গুলি পর্যবেক্ষণ জারি রাখলে ভবিষ্যতে আরো কোন নতুন তথ্য প্রকাশিত হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *