অফবিট

কেন শনিদেবের পা ভেঙে দিয়েছিলেন রাবন?

নিউজ ডেস্কঃ শনিদেব যিনি ছিলেন খুবই ধার্মিক একজন দেবতা।যার কাছে ন্যায়বিচার ছিল সবার জন্যে সমান।আর সেই ন্যায়বিচার করতে গিয়েই ভেঙে দিয়ে ছিলেন তার পা। কে ছিলেন যে শনিদেবের পা ভেঙে দিয়েছিলেন এবং কেনই বা ভেঙে দিয়ে ছিলেন শনিদেবের পা?

জ্যোতিষ ভাষায় বলা হয় যে যখন কোন ব্যক্তির জন্ম হয় তখন ওইসময় গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থানের ওপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয় ওই ব্যক্তির কুণ্ডলী।তাই বলা যায় যে কোন ব্যক্তির সম্পূর্ণ জীবন তার কুণ্ডলীতে অবস্থিত গ্রহের উপর নির্ভর করে। এই গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয় যেই ব্যক্তির ভবিষ্যৎ। লঙ্কার রাজা রাবণ একজন তপস্বী মহাযোদ্ধা এবং মায়াবী রাজা ছিলেন।এছাড়াও তিনি জ্যোতিষ শাস্ত্রে ও পারদর্শী ছিলেন। রাবণ কঠোর তপস্যা করে একাধিক শক্তি অর্জন করেছিলেন। রাবন চেয়েছিলেন যে তার পুত্র দীর্ঘায়ু হোক এবং কোন দেবী  দেবতা প্রাণনাশ না করতে পারে। এইজন্য যখন রাবণের স্ত্রী মন্দোদরী গর্ভবতী ছিলেন তখন তিনি চেয়েছিলেন তার পুত্র শুভ নক্ষত্রে জন্ম গ্রহণ করুন। যার জন্য সে যেন একজন মহাপরাক্রমশালী ও তেজস্বী যোদ্ধা হয়ে উঠে।ঠিক এই ইচ্ছার কারণে রাবণ সমস্ত গ্রহ দেরকে মেঘনাথ এর জন্মের সময় শুভ ও সর্বশ্রেষ্ঠ স্থানে থাকার আদেশ দিয়েছিলেন। এই সব গ্রহ গুলির মধ্যে শনিদেবকে ন্যায়ের দেবতা বলে মনে করা হয়। তিনি সবার সাথে সমান স্বরূপ ব্যবহার করে ন্যায় বজায় রাখেন। পাপীদেরকে শাস্তি দেন এবং অসহায়দের সাহায্য করেন। রাবণের ভয়ে শনিদেব ছাড়া বাকি সব গ্রহ তাদের শুভ ও সর্বশ্রেষ্ঠ জায়গায় চলে যায়। কেবল শনিদেবই এমন একজন ছিলেন তিনি রাবণকে একটুও ভয় পেতেন না। রাবণ জানতেন যে শনিদেব আয়ু রক্ষা করেন এবং তিনি এটাও জানতেন যে শনিদেব সহজে তার কথা শুনে তার স্থান পরিবর্তন করবেন না। তাই রাবণ তার শক্তি প্রয়োগ করে শনিদেবকে তার সর্বশ্রেষ্ঠ স্থানে বেঁধে রেখেছিলেন কিন্তু শনি যে ন্যায়ের দেবতা। তাই তিনি রাবণের ইচ্ছামত স্থান পরিবর্তন করলেন ঠিকই কিন্তু মেঘনাথ এর জন্মের সময় তিনি তার দৃষ্টি বদলে ফেললেন। যার কারণে মেঘনাথ স্বল্পায়ু হয়ে গেলেন।শনিদেবের এই ব্যবহারে রাবণ প্রচন্ড রেগে গেলেন এবং ক্রোধে তিনি তার গদা দিয়ে শনিদেবের পায়ে সজোরে আঘাত করলেন যার কারণে শনিদেব খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলেন এবং তার গতি খুব কম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *