মৃগী রোগে দারুন কাজ করে। পাথরকুঁচি পাতার অসাধারন কিছু কার্যকারিতা
নিউজ ডেস্কঃ বাংলায় এমন কিছু পাতা রয়েছে যা খেলে একাধিক রোগ সারে। অথচ আমাদের অনেকেরই জানা নেই তার খাদ্যগুন। পাথরকুচি ঠিক তেমনই এক পাতা।
মেহঃ সর্দিজনিত কারনে শরীরে নানা স্থানে ফোঁড়া দেখা দেয়। যাকে মেহ বলা হয়। এক্ষেত্রে পাথারকুচির পাতার রস এক চামচ করে সকাল বিকাল একসপ্তাহ খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
সর্দিঃ সর্দি পুরানো হয়ে গেছে? সেইক্ষেত্রে এটি বিশেষ উপকারি। পাথরকুচি পাতার রস করে সেটা একটু গরম করে এবং গরম অবস্থায় তার সঙ্গে একটু সোহাগার খৈ মেশাতে হবে। তিন চা চামচের সাথে ২৫০ মিলিগ্রাম যেন হয়।তা থেকে দুই চা চামচ নিয়ে সকাল ও বিকালে দুবার খেলে পুরানো সর্দি সেরে যাবে এবং সর্বদায় কাশি থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
কাটাকাটিতেঃ টাটকা পাতা পরিমান মতো হালকা তাপে গরম করে কাটা বা থেঁতলে যাওয়া স্থানে সেঁক দিলে আরাম পাওয়া যায়।
রক্তপিত্তঃ পিত্তজনিত ব্যাথা রক্তক্ষরন হলে দুই বেলা এক চা চামচ পাথরকুচির পাতার রস দুইদিন খাওয়ালে সেরে যাবে।
পেটফাঁপাঃ অনেক সময় দেখা যায় পেটটা ফুলে গেছে, প্রসাব আটকে আছে, আধোবায়ু সারছে না সেই ক্ষেত্রে একটু চিনির সাথে এক বা দুই চা চামচ পাথকুচির পাতার রস গরম করে সিকি কাপ জলের সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। এর দ্বারা মূত্রটা তরল হবে, আধোবায়ু নিঃসরণ হবে পেট ফাঁপাটাও কমবে।
মৃগীঃ মৃগী রোগাক্রান্তের সময়ে পাথরকুচির পাতার রস ২-১০ ফোঁটা করে মুখের দিতে হবে।একটু পেটে গেলেই রোগের উপশম হবে।
শরীরে জ্বালাপোড়াঃ দুই চামচ পাথরকুচি পাতার রস আধা কাপ গরম জলে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
